বাবা, মা ও সন্তান। তিনজনকে নিয়েই পরিবার। বলা যায়, ছোট পরিবার ও সুখী পরিবার। কিন্তু আদৌ কি সুখী পরিবার? সেই নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সন্তান বড় হয়ে গেলে বাবা, মাকে অবশ্যই সেই চিন্তা করতে হয় না। কারণ, সন্তান তখন বাবা ও মায়ের ব্যস্ততা (nuclear family)বুঝতে শেখে। কিন্তু বাবা, মা পাশে না থাকায় একাকিত্ব বোধ করে ছোটবেলাতেই। নিজেকে একা দেখতে দেখতে অনেক সন্তান অনেক সময় অবসাদে ভোগে। কিন্তু তার বাবা ও মা কিছুতেই তার মনোভাব বুঝতে পারে না।
তাঁরা ভাবেন, শিশুকে যা দেওয়ার সব কিছুই দিয়েছেন তাঁরা, তবে ঘাটতি কোথায় রয়েছে? কিন্তু তাঁদের বোঝা প্রয়োজন, শিশুর প্রয়োজন সময়ের। আর সেই সময়টুকুই তাঁরা দিয়ে উঠতে পারেন না। নিউক্লিয়ার পরিবার হওয়ায় দাদু ও ঠাকুমার সহচর্যও শিশুরা সঠিক ভাবে পায় না। দিনের শেষে একাই বাড়িতে সময় কেটে যায় তাদের। নিউক্লিয়ার পরিবারের সন্তানকে (nuclear family)কীভাবে সামলাবেন চাকুরিজীবী মা ও বাবারা। আজ তারই কয়েকটি টিপস রইল।
সন্তানকে সময় দেবেন
আপনি আপনার চাকরি জীবন নিয়ে যতই ব্যস্ত থাকুন, আপনার সন্তানের দায়িত্ব আপনারই। আর এই কথা আপনার বোঝার প্রয়োজন রয়েছে। তাই দিনের শেষে বা ছুটির দিনে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। আপনার সন্তানের আপনার সহচর্য ও সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। তার সঙ্গে গল্প করুন। অফিস থেকে বাড়ি ফিরে তার সঙ্গে বসে একটু খেলতেও পারেন। কিংবা, তাকে প্রশ্ন করুন তার সারাদিন কেমন কাটল। নিজের অভিজ্ঞতা নিয়েও গল্প বানিয়ে তাকে বলুন। সময় পেলে তাকে নিজের হাতে খাইয়ে দিন। ছুটির দিনে তাকে নিয়ে কাছেই কোথাও ঘুরতে যান। তার যেন বিশ্বাস হয়, আপনারা তার সঙ্গেই আছে। সে একা নয়। এই বিশ্বাস রাখতে পারলেই সেও আরও বেশি করে আপনাদের আঁকড়ে ধরবে (nuclear family)।
বই পড়া অভ্য়াস করান
এখন বেশির ভাগ বাবা, মা ভুলে যান যে সন্তানদের ছোট থেকেই বই পড়ানো অভ্য়াস করা উচিত। তার পরিবর্তে মোবাইল দিয়ে যেন শিশুদের ভুলিয়ে না রাখেন। সন্তান একদম ছোট হলে তাকে ছবির বই কিনে দিন। সন্তান একটু বড় হলে তাকে কমিক্সের বই কিনে দিন। তাকে শিখিয়ে দিন, একা থাকার সময় যেন সে এই বইগুলো পড়ে। আবার আপনিও তাকে বই পড়ে শোনাতে পারেন (nuclear family)।
তার বায়না শুনবেন না
নিউক্লিয়ার পরিবারে(nuclear family) যেহেতু বাচ্চা একা একাই বেশিরভাগ সময়টা থাকে, বাবা ও মা তাদের অনুপস্থিতি সব সময় পছন্দের খেলনা ও অন্যান্য চাহিদার জিনিস দিয়ে ভুলিয়ে রাখতে চায়। সেই জন্য বাচ্চা যখন যা বায়না করে, বেশিরভাগ সময়েই বাচ্চার সেই বায়না রাখে বাবা ও মা। কিন্তু সেটাই মা ও বাবা ভুল করে। অভিভাবকরা যেন কখনওই শিশুদের অকারণ বায়নাকে প্রশ্রয় না দেন। কারণ, আপনি যদি প্রতিটা বায়না শোনেন তবে সেটিকেই কাজে লাগাবে আপনার সন্তান। তাই এইদিকটিও খেয়াল রাখুন। বায়না না মেনে নিলে জেদ করতে পারে, কান্নাকাটি করতে পারে। সেটিও হ্যান্ডেল করার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!