বর্তমান যুগে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। সঙ্গে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি। সামলানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। ফলে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত নানা বিষয় নিয়ে আজ আমরা কম-বেশি সবাই চিন্তিত। এর সঙ্গে প্য়ানডেমিক পরিস্থিতিতে তৈরি হয়েছে আর্থিক সংকট। অনেকেই দুশ্চিন্তা তাই বেশি করছেন। এই চিন্তার প্রভাব পড়ছে আমাদের রোজের জীবনের উপরেও। ভাঙছে সম্পর্ক, বাড়ছে ডিপ্রেশন আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। তাই তো সময় থাকতে থাকতে যদি আর্থিক দুশ্চিন্তা (financial stress) বা টাকা-পয়সা সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা কমিয়ে ফেলা না যায়, তাহলে সব দিক থেকে বিপদ। প্রশ্ন হল এমন চিন্তা দূর করার উপায় কী?
মাইনের দিনই যদি একটা বাজেট তৈরি করে নিতে পারেন, তাহলে অবান্তর খরচ কিছুটা হলেও কমবে। তাছাড়া বাজেট করে নিলে কোথায় কোথায়, কত টাকা খরচ করছেন, তারও একটা পরিষ্কার হিসেব থাকবে। আর বাজেটের বাইরে খরচ না করার কারণে স্বাভাবিকভাবে সেভিংসও বাড়বে। আর এমনটা হলে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত চিন্তা কমতে যে সময় লাগবে না (Follow These Tips To Relieve Your Financial Stress)।
প্রয়োজনের তুলনায় পকেটে যদি টাকা কম থাকে, তাহলে একথা মানতেই হবে যে খরচ হচ্ছে বেশি (financial stress symptoms)। তাই এবার থেকে সেই অতিরিক্ত খরচ কমাতে একটা স্ট্র্যাটেজি নিতে হবে। কী সেই স্ট্রাটেজি? যখন যা খরচ করছেন, তা যতই কম টাকা হোক না কেন একটা খাতায় লিখে রাখবেন। এমনটা করলে খরচের হিসেব যেমন মিলবে, তেমনি অপ্রয়োজনীয় খরচ সম্পর্কেও একটা ধারণা করতে পারবেন। আর তারপর সেই অপ্রয়োজনীয় খরচগুলি যদি কমিয়ে ফেলতে পারেন, তাহলেই কেল্লা ফতে!
বিপদ বলে আসে না। তাই সেই বিপদের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে তো! আর তার জন্যই কিছু টাকা জমিয়ে রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর তেমনটা করতে মাইনে হওয়া মাত্র কিছু টাকা আলাদা করে ফিক্স ডিপোজিটে রেখে দিতে হবে (financial stress) । কোনও পরিস্থিতিতেই সেই টাকায় হাত দেওয়া চলবে না। এইভাবে কয়েক মাস জমালেই দেখবেন আপনা থেকেই টাকা-পয়সা সংক্রান্ত চিন্তা দূরে সরে যাবে।
স্ট্রেস কিন্তু গুপ্তঘাতক। তাই দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমাদের অজান্তেই শরীর ভাঙতে শুরু করবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক রোগ ঘাড়ে চেপে বসার আশঙ্কা যাবে বেড়ে। তাই দুশ্চিন্তাকে কোনও ভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না (reduce financial stress)। বরং ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া করতে হবে (financial stress) । পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে এবং সবথেকে বড় বিষয় হল প্রাণ খুলে হাসতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না লক্ষ জন্ম পেরিয়ে এই মানব জন্ম পেয়েছি আমরা। একবার এই সুযোগ চলে যাবে, তো আবার সব শূন্য। তাই এই জীবনের প্রতিটি দিন আনন্দের সঙ্গে বাঁচতে হবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়!ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন
#POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন
নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!