শীতকালে আর্দ্রতা কমে যাওয়ার কারণে ত্বকের হাল বেহাল হতে সময় লাগে না। ফলে মুখ-হাতের সৌন্দর্য তো কমেই, কারও-কারও পা থেকেও চামড়া উঠতেও শুরু করে। তাতে করে পছন্দের স্যান্ডেল বা ফ্লিপ ফ্লপের কথা ভুলে গিয়ে পা ঢাকা জুতো পরা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। একই সমস্যার শিকার কি আপনিও? তাহলে তো এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে একবার কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। তাতে পায়ের চামড়া আর্দ্র থাকবে। ফলে সৌন্দর্যও বাড়বে। তাই আর অপেক্ষা কীসের, চলুন তা হলে ঝটপট ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
১. নারকেল তেল
রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে পায়ে তেল মালিশ করুন। দেখবেন, উপকার পাবেন। আসলে নারকেল তেলে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদানের গুণে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরে আসে, যে কারণে চামড়া ওঠা বন্ধ হয়ে যায়। ফাটা গোড়ালির সমস্যা থাকলে তাও নিবারণ হয়।
২. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
অফিস থেকে ফেরার পরে এক বালতি জলে হাফ কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে তাতে মিনিটপনেরো পা চুবিয়ে বসে থাকুন। সময় হওয়া মাত্র তোয়ালে দিয়ে পায়ের পাতা মিনিট খানেক ঘষে নিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে পা ধুয়ে নিন। এবার ময়েশ্চারাইজার লাগানোর পালা। নিয়মিত এই ভাবে পায়ের যত্ন নিলে উপকার পাবেই পাবেন। কেন জানেন? অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে উপস্থিত malic acid-এর গুণে পায়ের পাতায় জমে থাকা মৃত কোষের আচ্ছাদন ধুয়ে যায়। সেই সঙ্গে ত্বকের ভিতরে pH balance ঠিক থাকতে বাধ্য হয়, যে কারণে ত্বকের শুষ্কতা (Dry Skin) দূর হতে সময় লাগে না।
৩. এসেনশিয়াল তেল, নারকেল তেল এবং চিনি
চামচ চারেক নারকেল তেলের সঙ্গে হাফ চামচ ব্রাউন সুগার এবং কয়েক ড্রপ টি-ট্রি তেল মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি পায়ের পাতায় এবং গোড়ালির আশেপাশে লাগিয়ে সার্কুলার মোশনে মিনিটপাঁচেক মালিশ করুন। তাতে ত্বকের উপরে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর যেমন সরে যাবে, তেমনই টি-ট্রি তেল এবং নারকেল তেলের গুণে হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতাও ফিরে আসবে। ফলে পায়ের সৌন্দর্য বাড়বে বই কী! তবে এত সব উপকার পেতে সপ্তাহে বার দুয়েক এই ভাবে পায়ের যত্ন নিতে হবে, তবেই উপকার মিলবে।
৪. মাউথ ওয়াশ এবং ভিনিগার
এক্কবারে ঠিক শুনেছেন! শীতের মরসুমে পায়ের সৌন্দর্য ধরে রাখতে ভিনিগারের কোনও বিকল্প নেই। আর তার সঙ্গে যদি অল্প করে মাউথ ওয়াশ মিশিয়ে নিতে পারেন, তাহলে তো কোনও কথাই নেই! এক্ষেত্রে হাফ কাপ সাদা ভিনিগারের সঙ্গে সম পরিমাণ মাউথ ওয়াশ মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি এক বালতি গরম জলে ঢেলে নিয়ে তাতে মিনিটপনেরো পা চুবিয়ে রাখতে হবে। সময় হওয়া মাত্র পায়ের পাতা একটু ঘষে নিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না যেন! সপ্তাহে বার দুয়েক এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে কাজে লাগাতে হবে, তাহলেই সমস্যা কমতে শুরু করবে।
৫. মধু
পায়ের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে একটা কাজ করতে পারেন। কী কাজ? প্রতিদিন পায়ের পাতায় অল্প পরিমাণে মধু লাগিয়ে মিনিট খানেক মালিশ করে মিনিট দশেক অপেক্ষা করুন। সময়ে হয়ে গেলে গরম জল দিয়ে পা ধুয়ে নিন। নিয়মিত এই ভাবে পায়ের পরিচর্যা করলে ত্বক নরম এবং আর্দ্র থাকবে। সৌন্দর্যও বাড়বে। তাই আজ থেকেই এই ঘরোয়া চিকিৎসাটি শুরু করে দিন। দেখবেন, অল্প দিনেই পা থেকে চামড়া ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!