সেই কোন সকালে ঘুম থেকে উঠতে হয়। তারপরে বাড়ির কাজ মোটামুটি গুছিয়ে, বাচ্চাকে স্কুলের জন্য তৈরি করে, বরের অফিসের খাবার গুছিয়ে নিজে তৈরি হয়ে অফিসে বেরতে হয়। অফিসে যাওয়ার পর সারাটা দিন যে কীভাবে চূড়ান্ত ব্যস্ততায় কেটে যায় সেটা বোঝার আগেই লাঞ্চের সময় হয়ে যায়। লাঞ্চের আগে আর পরে সেই ঘাড় গুঁজে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে কাজ… লাঞ্চের পর থেকে এক এক দিন যেন আর চোখ খুলে রাখাটাই একটা কঠিন কাজ বলে মনে হয়। আবার কোনও কোনও দিন ঘুম তাড়ানোর জন্য কাপের পর কাপ কফি খেয়ে যাওয়াই যেন একমাত্র রাস্তা বলে মনে হয়। কিন্তু ঘুম যেন কিছুতেই আমাকে ছেড়ে যায় না!
কি, খুব চেনা চেনা লাগছে কথাগুলো? আসলে অতিরিক্ত ঘুম পাওয়ার সমস্যার সম্মুখীন (How To Stop Sleeping Too Much) আমরা মোটামুটি সবাই-ই হই। যারা কর্মরতা, শুধুমাত্র যে তাদেরই ব্যস্ততায় দিন কাটে, তা কিন্তু নয়। যারা বাড়িতে থেকে সারাদিন ধরে সংসারটা সামলান, তাঁদের কিন্তু কাজ বা ব্যস্ততা কোনও অংশে কম থাকে না। কাজেই মাঝে মধ্যে দুপুরের দিকে ঘুম পাওয়াটা (Too Much Sleeping) খুব একটা অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। কিন্তু যদি আপনার সারাক্ষণই ঘুম ঘুম পায় এবং আপনি ঘুমিয়েও পড়েন, তাহলে কিন্তু সেটা বেশ চিন্তার বিষয়।
ছবি সৌজন্যে: শাটারস্টক
আগেই যেমন বলা হল যে শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তিবোধ থেকে অনেকসময়েই আমাদের অতিরিক্ত ঘুম পায়, সেরকমই আরও বেশ অনেকগুলো কারণ কিন্তু রয়েছে এই যা এই সমস্যার জন্য দায়ী (Reasons of Sleeping Too Much)। দেখে নিন কারণগুলো –
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না। আর এটি যেমন অতিরিক্ত ঘুম পাওয়ার একটি কারণ, ঠিক সেরকমই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, সঠিক সময়ে না ঘুমানো। কাজেই, রাতে ঠিক সময়ে ঘুমানো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোটা খুব জরুরি।
আপনি কর্মরতা হন অথবা গৃহবধু, দুপুরে যদি খুব বেশি ভারী খাবার খান, তাহলে কিন্তু দিনের বেলা ঘুম পেতে বাধ্য। আসলে আমাদের খাবার হজম হতে কিন্তু বেশ খানিকটা সময় লাগে, আবার সব খাবার হজম হতে যে একই সময় নেবে তা নাও হতে পারে। বেশি তেল-মশলাযুক্ত খাবার, হাই প্রোটিন খাবার – এগুলো হজম হতে বেশ খানিকটা সময় নেয়। আবার দুপুরে যদি বেশ অনেকটা ভাত খান, তাহলেও শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কার্বোহাইড্রেট জমা হলেও ঘুম পেতে পারে। একবারও বলছি না পেট খালি রাখুন বা আধপেটা খান, কিন্তু আপনার শরীরে যতটা প্রয়োজন তার থেকে বেশি না খাওয়াই ভাল।
আজকালকার ব্যস্ত জীবনে আমরা বেশিরভাগ সময়েই নানারকম লাইফস্টাইল ডিজিজের শিকার (Reasons of Sleeping Too Much)। অনেক মহিলার থাইরয়েড, পি সি ও ডি, মধুমেহ ইত্যাদি সমস্যা থাকে। এগুলোও কিন্তু শরীরে ক্লান্তি আনে এবং ফলস্বরূপ অতিরিক্ত ঘুম পায়। এই লাইফস্টাইল ডিজিজগুলো শরীরকে ভিতর থেকে দুর্বল করে দেয় ফলে দুর্বলতা থেকেও অতিরিক্ত ঘুম পেতে পারে।
ছবি সৌজন্যে: ইউটিউব
কাজের চাপ হোক বা টাকাপয়সার চিন্তা অথবা অন্য কারও থেকে শোনা কটুক্তি – কারণ যাই হোক না কেন, অনেকেরই একটা সময়ের পরে অবসাদ আসে। শুধুমাত্র শরীর খারাপ থাকলেই যে অতিরিক্ত ঘুম পায় তা কিন্তু না। অনেকসময়েই মানসিক ক্লান্তিতেও আমাদের বড্ড বেশি ঘুম পায়। আবার অনেকে আছেন যারা জীবনের নানা সমস্যা দূর করার একটা সহজ পথ হিসেবে যখন তখন ঘুমিয়ে পড়াকে বেছে নেন।
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী আমাদের শরীরের তিন প্রকার দোষ হতে পারে – বাতা, পিত্ত এবং কফ। বাত অর্থাৎ যাঁদের শরীরে হাওয়া বা গ্যাসের পরিমাণ বেশি, পিত্ত অর্থাৎ যাঁদের শরীর খুব বেশি গরম থাকে এবং কফ অর্থাৎ যাঁদের শরীরে জলীয়ভাব বেশি। এঁদের মধ্যে যাঁদের শরীরে জলের পরিমাণ বেশি তাদের মধ্যে সব সময়েই একটা ক্লান্তিবোধ লেগেই থাকে।
যখন আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হয় না, সে যে কারণেই হোক না কেন, তখন আমাদের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই একটা ক্লান্তি আসে। আবার অনেকের নানারকমের অসুখের জন্য ঘুম বেশি পায়। অনেকসময়ে আবার অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলেও শরীরে ও মনে ক্লান্তিবোধ হয় এবং ঘুম পায়। কাজেই বলা যেতে পারে যে ক্লান্তির সঙ্গে অতিরিক্ত ঘুমের একটা যোগাযোগ আছে। কিন্তু অনেকসময়েই আমরা ঠিক বুঝতে পারি না যে আমাদের ক্লান্তি থেকে অতিরিক্ত ঘুম পাচ্ছে নাকি অন্য কোনও কারণে।
সারাক্ষণ ক্লান্তিবোধের লক্ষণগুলিও অনেকসময়েই আমাদের চোখের সামনেই থাকে, কিন্তু আমরা তা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না –
এগুলো সবই কিন্তু ক্লান্তির লক্ষণ, আর আগেই যেমন বলা হয়েছে যে নানা কারণে ক্লান্তিবোধ হতে পারে এবং তার থেকে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা দেখা যেতে পারে; এখানে কিছু কারণ উল্লেখ করা হল। দেখুন তো আপনার সঙ্গে কোনওটিরও মিল পাচ্ছেন কিনা –
আমরা অনেকেই মনে করি যে কী আর হয়েছে একটু না হয় বেশিই ঘুম পায়, এ নিয়ে আর এত চিন্তার কী আছে! কাজেই এ’রকম তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার এবং ওষুধ খাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। ঠিক আছে, অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা নিয়ে যদি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে না চান, অন্তত কিছু ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে দেখুন, যাতে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পান। কারণ, বিষয়টা আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ বলে মনে হলেও, সমস্যাটা কিন্তু বেশ সিরিয়াস!
ছবি সৌজন্যে: শাটারস্টক
সারাদিন যদি সব সময়েই অতিরিক্ত ঘুম পায়, তাহলে মাঝে মাঝে কফি খেতে পারেন (ঘুম তাড়ানোর উপায়)। ক্যাফেইন আমাদের শরীরে এনার্জি লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। তবে চেষ্টা করুন দুধ ছাড়া কফি খেতে এবং চিনি যতটা সম্ভব কম খাওয়ার।
অতিরিক্ত ক্যাফেইন আমাদের শরীরের পক্ষে ঠিক নয়। যদি আপনি একটা হেলদি ডায়েট মেনে চলতে চান, সেক্ষেত্রে ক্লান্তিবোধ দূর করতে এবং অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দিনে দুই থেকে তিনবার গ্রিন টি খেতে পারেন। এই ঘরোয়া টোটকাটি (How To Stop Sleeping Too Much) ঘুম তাড়ানোর জন্য বেশ কার্যকর।
ছবি সৌজন্যে: শাটারস্টক
দুই-তিন ফোঁটা পিপারমিন্ট বা টি-ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল স্নানের জলে মিশিয়ে স্নান করতে পারেন (ঘরোয়া টোটকা), অথবা ডিফিউজারে দিয়ে সারা বাড়ি সুগন্ধে ভরিয়ে তুলতে পারেন। অনেক আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের মতে, এসেনশিয়াল অয়েল কিন্তু আমাদের স্ট্রেসমুক্ত হতে সাহায্য করে। অনেকসময়েই অতিরিক্ত স্ট্রেস বা ধকল থেকে আমাদের একটা মানসিক ক্লান্তি আসে এবং সারাক্ষণ ঘুম পায়।
শরীরে এনার্জি লেভেল বাড়াতে খাবারের উপরে নজর দেওয়া কিন্তু খুব জরুরি। আপনি যদি খাওয়া-দাওয়া ঠিকভাবে করেন তাহলেই দেখবেন অতিরিক্ত ঘুম পাওয়ার সমস্যাই শুধু না, আরও নানা সমস্যা দূর হবে। কলা, ওটমিল, মাল্টিগ্রেন ব্রেড, কাঠবাদাম, শাক-সব্জি এবং ম্যাগনেশিয়ামযুক্ত খাবার (ঘরোয়া টোটকা) রোজকার ডায়েটে যোগ করতে পারেন।
সারাদিনে বেশ অনেকটা জল খান (How To Stop Sleeping Too Much)। একবারে যে এক লিটার জল ঢকঢক করে খেয়ে নেবেন তা কিন্তু নয়, সিপ করে করে জল খান এবং সারাদিনে প্রায় আড়াই থেকে তিন লিটার জল খেলে ভাল।
ছবি সৌজন্যে: শাটারস্টক
প্রতিদিন সকালে একটা গোটা পাতিলেবুর রস এক গ্লাস উষ্ণ জলে মিশিয়ে খেলে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা দূর হয়, ক্লান্তিবোধ কমে এবং সারাদিনের কাজের জন্য এনার্জি পাওয়া যায়। আসলে লেবু এবং উষ্ণ জল আমাদের শরীরের ভিতর থেকে ময়লা ও টক্সিন দূর করে ফলে আমাদের শরীর ও মন দুই-ই থাকে ফুর্তিতে ভরপুর।
চিনির বদলে মধু খেতে পারেন। যে যে খাবার বা পানীয়ে আপনি চিনি ব্যবহার করেন, তাতে মধু দিয়ে দিন। চিনি খেতে সুস্বাদু হলেও আমাদের শরীরে টক্সিন জমা কর, ফলে সারাক্ষণ ঘুম পায়।
মাঝেমধ্যে বাড়িতে থাকলে ছোট্ট করে একটা ন্যাপ নিয়ে নিন। এতে অনেকটা ক্লান্তি কাটে। অনেকসময়েই হয় যে কোনও না কোনও কারণে হয়ত রাতে ঠিকভাবে ঘুম না হলে পরের দিন ঘুম পায়। সেক্ষেত্রে পাঁচ-দশ মিনিটের একটা ছোট্ট ন্যাপ নিয়ে নিলে কিন্তু ক্লান্তি ও অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা অনায়াসে দূর করা সম্ভব (How To Stop Sleeping Too Much)।
একটু নড়াচড়া করুন। সারাদিন যদি ঘুম পায় আর ক্লান্তি আসে, তাহলে একটু ব্যায়ম করলে বা হাঁটাহাঁটি করলে কিন্তু শরীর ঝরঝরে লাগবে। জিমে গিয়ে যদি ব্যায়ম নাও করতে পারেন, বাড়িতেই একটু স্ট্রেচ করুন বা সিঁড়ি দিয়ে কয়েকবার ওঠানামা করুন।
দিনের বেলা যখনই ঘুম পাবে, কিছু না কিছু একটা কাজ করুন। যে কাজটা করতে খুব ভাল লাগে, সেটাই করুন। কারও হয়ত ছবি আঁকতে ভাল লাগে, আবার কারও সিনেমা দেখতে তো কারও ভাল লাগে বাগান করতে। দিবানিদ্রা না দিয়ে বরং নিজের পছন্দের কাজ করুন দেখবেন সময়ও কাটবে আর অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যাও দূর হবে।
ছবি সৌজন্যে: শাটারস্টক
এর পরেও যদি দেখেন যে সারাক্ষণ ঘুম পাচ্ছে, তাহলে আপনাকে নিজেকেই একটু সচেতন হতে হবে। বেশ কয়েকটি জরুরি টিপস (ঘুম তাড়ানোর উপায়) এখানে দেওয়া হল যাতে যখন তখন ঘুম পেলে আপনি সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা থেকে মুক্তি (How To Stop Oversleeping) পেতে পারেন –
রাতে যখন ঘুমাতে যাবেন, তার আগে টেলিভিশন দেখা বা মোবাইল ঘাটার অভ্যেস থাকলে তা ত্যাগ করতে হবে। যতই আপনি দিনের বেলা ঘুমান না কেন, রাতের ঘুম যদি ঠিকভাবে না হয়, তাহলে সারাটা দিন ক্লান্তিবোধ হয় এবং ঘুম ঘুম পায়। কাজেই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অন্য আর কোনও কাজ নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সারাদিনে একটানা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট যাতে তিনি সারাদিন কাজ করার এনার্জি পান। মাঝে মধ্যে অবশ্য এই রুটিনের পরিবর্তন হতে পারে, তবে যদি প্রতিদিন বা বেশিরভাগ দিনই পাঁচ ঘন্টার কম ঘুমোন, তাহলে স্বাস্থ্যের উপরে কিন্তু তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।
মাঝে মাঝে অতিরিক্ত ঘুমনো শরীরের পক্ষে ভাল, কিন্তু সব সময়ে ঘুম পেলে মুশকিল। যদি প্রতিদিনই এমন হয় তাহলে নিজেকেই সচেতন ভাবে জেগে থাকতে হবে (How To Stop Oversleeping)। টেলিভিশন দেখতে পারেন অথবা নিজের পছন্দের কোনও কাজ করতে পারেন। বই পড়া বা গান শোনার মতো কাজগুলো করবেন না এসময়ে, তাতে ঘুম আসতে পারে।
খুব প্রয়োজন না হলে, না নেওয়াই ভাল। খাবারে প্রাকৃতিক ভিটামিন ও মিনারেল যোগ করুন।
যখনই ঘুম পাবে, চোখে জলের ঝাপটা দিন। চোখ এবং পায়ের পাতা ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষন। প্রয়োজনে ডাক্তারের সাহায্য নিতে হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পক্ষে সারাদিনে আট ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট। কোনও সময়ে শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবশ্য মাঝেমধ্যে ঘুম একটু বেশি হতে পারে। কিন্তু যদি সারাদিন ক্লান্তিবোধ হয় এবং ঘুম পায় তাহলে তাকে অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা বলা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সদ্যজাত শিশুদের সারাদিনে ১৪ থেকে ১৭ ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট, আবার যারা স্কুলে যায় তাদের পক্ষে ১১ ঘন্টা ঘুম যথেষ্ট, প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের পক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট আর বয়স্ক মানুষদের সারাদিনে নয় ঘন্টা ঘুমালেই চলে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!
Image Source: Shutter Stock, Youtube