করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়েছে। এইদিকে টেস্টের সংখ্য়াও বাড়ানো হয়েছে। ICMR-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ১৯ লাখ ২০ হাজার ১০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৯ এপ্রিল, ২০২১ পর্যন্ত ২৮ কোটি ৬৩ লাখ ৯২ হাজার ৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে সংক্রমণে গ্রাফ যেমন উর্ধ্বমুখী, ঠিক সেই সময়েই প্রকাশ্যে আসছে অক্সিজেন সরবরাহে ঘাটতির উদাহরণ। স্বাস্থ্য়ব্যবস্থার দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে।
সংক্রমণের হার বাড়লেও অধিকাংশ আক্রান্তই বাড়িতেই সুস্থ হচ্ছেন। তার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে সঠিক আইসোলেশন ও যত্ন। অনেকের পরিবারেই এমন দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি করোনা পজিটিভ হলেও বাকিদের মধ্য়ে হয়তো কোনও উপসর্গ নেই। কিন্তু সেই পজিটিভ ব্যক্তির যত্নের ও চিকিৎসার প্রয়োজন। তাহলে বাড়িতে করোনা রোগীর চিকিৎসা (covid-19 patients at home) কীভাবে করবেন কিংবা বাড়িতে কোরনা রোগী থাকলে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে, আসুন সেই নিয়ে আরও একবার আলোচনা করে নেওয়া যাক। এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO)-এর পরামর্শ কী, সেদিকেও দৃষ্টিপাত করব আমরা।
বাড়িতে রোগী হলে কীভাবে যত্ন করবেন?
বাড়িতে কোরনা রোগী – কী বলছে WHO
কোভিড-১৯ পজিটিভ হলে কি তার বাড়িতেই যত্ন করা যেতে পারে?
যাঁদের মধ্য়ে করোনার কোনও উপসর্গ নেই, তাঁরা বাড়িতে থাকতে পারেন। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ও বাকিদের থেকে আইসোলেটেড থাকতে হবে। ৬০-এর নীচে যাঁদের মধ্যে সামান্য উপসর্গ রয়েছে, তাঁরাও বাড়িতেই থাকতে পারেন। তবে এও খেয়াল রাখতে হবে যে, তাঁদের হার্টের কোনও সমস্যা, ফুসফুসজনিত অসুখ, ডায়াবিটিস মেলিটাস, ক্যানসার বা কিডনির সমস্যা নেই।
পরিবারের অন্য়ান্য সদস্যকেও দূরত্ব ও সমস্ত কোভিড প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, হাইজিন মানতে হবে। চিকিৎসকের সঙ্গে সবসময়ে যোগাযোগ রাখতে হবে। যদি শারীরিক অবস্থার কোনও অবনতি হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে (covid-19 patients at home) ।
যে বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন, সেই বাড়ির অন্যান্য সদস্য কী কী নিয়ম মেনে চলবেন যাতে তাঁরাও আক্রান্ত না হন
- অসুস্থ ব্যক্তিকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে তাঁর থেকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। সেই অসুস্থ ব্যক্তি ও সেই ঘরের অন্যান্য সদস্যকে মেডিকেল মাস্ক পরে থাকতে হবে।
- বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যে ঘরে করোনা সংক্রমিত ব্যক্তি থাকবেন, সেই ঘরে ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা যেন ভাল হয়। যেন বাতাস চলাচল করতে পারে। প্রয়োজনে জানলা খোলা রাখতে পারেন। কখনও বদ্ধ ঘরে থাকবেন না।
- অসুস্থ ব্যক্তি যদি একটি ঘরে থাকেন, তবে তাঁকে যতটা সম্ভব মাস্ক পরে থাকতে হবে। সেই ঘরে অন্য কেউ এলে তাঁর থেকে অন্তত এক মিটার দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
- অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে কেউ ঢুকবেন না। অর্থাৎ, বাইরের কেউ যেন বাড়িতে না আসে (covid-19 patients at home) ।
- যিনি আক্রান্ত ব্যক্তির দেখভাল করছেন, তাঁর থেকেও অন্যদের দূরত্ব মেনে চলতে হবে। একজন
- করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে দেখার জন্য় একজন ব্য়ক্তিই যথেষ্ট।
- আক্রান্ত ব্যক্তির ঘরে যিনি ঢুকবেন, তাঁকে মাস্ক পরে থাকতে হবে। মাস্কে হাত দেওয়া যাবে না। ঘর থেকে বের হওয়ার পর মাস্ক খুলে নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে। ঘর থেকে বের হওয়ার পর হাত জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। প্রয়োজনে পোশাক ছেড়ে স্নানও করে নিতে পারেন।
- আক্রান্ত ব্যক্তির বাসন আলাদা হবে। বিছানার চাদর, ব্যবহারের তোয়ালেও আলাদা হবে। সেটি অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না।
- আক্রান্ত ব্য়ক্তির ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে দিনে একাধিকবার পরিষ্কার করতে হবে।
- হাঁচি ও কাশির সময় কনুই দিয়ে মুখ ঢাকবেন আর না হলে ডিসপোজেবল টিশু দিয়ে মুখ ঢাকবেন।
সংক্রমিতের (covid-19 patients at home) ব্যবহৃত জিনিস যা ফেলে দেওয়া হবে তা অবশ্যই ডিসপোজেবল প্যাকেটে মুরিয়ে ফেলবেন।
বাড়ির অন্যান্য সদস্য বার বার হাত জীবাণুমুক্ত করবেন এইসব ক্ষেত্রে –
- কাশি ও হাঁচির পর
- রান্না করা ও খাবার খাওয়ার আগে
- টয়লেট ব্যবহার করার পরে
- অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখ ভাল করা আগে ও পরে
সমগ্র তথ্য সৌজন্য – WHO (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!