এক কথায় যদি বলতে হয়, চুলের প্রচন্ড অযত্ন করলে চুল রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যায় আর তখনই তাকে ফ্রিজি হেয়ার বলা হয়। এবার ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলি। ভেবে দেখুন, যদি আপনি খাবার এবং জল না খান, তাহলে যেমন আপনার শরীর শুকিয়ে যাবে, পুষ্টির অভাবে শরীর ভেঙে পড়বে; ঠিক তেমনই চুল যদি যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি এবং ময়শ্চার না পায় তাহলে চুলও শুষ্ক হয়ে যাবে এবং নানা সমস্যা দেখা দিতে দিতে চুলের আরও বড় ক্ষতি হতে থাকবে। আর তখনই চুল ম্যাড়ম্যাড়ে এবং প্রাণহীন দেখায়। তবে চিন্তা নেই, ফ্রিজি হেয়ারের ট্রিটমেন্ট করাতে আপনাকে কষ্টের টাকা খরচ করে দামী পার্লারে যেতে হবে না। নারকেল ও ঘরোয়া কয়েকটি উপকরণের (how to use coconut to repair frizzy hair) সাহায্যেই আপনি ড্যামেজ হয়ে যাওয়া চুল মেরামত করে তাতে প্রাণসঞ্চার করতে পারবেন
নারকেল তেলের হেয়ার মাস্ক

নারকেল তেল খুব ভাল কন্ডিশনারের কাজ করে যার ফলে চুল নরম ও সিল্কি হয়ে ওঠে এবং ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ফলে চুলের পুষ্টিতে কোনও অভাব হয় না। ফ্রিজি হেয়ারের জন্য এই মাস্কটি খুবই উপকারী।
কী কী উপকরণ প্রয়োজন – চার চা চামচ অরগানিক নারকেল তেল এবং একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
কীভাবে ব্যবহার করবেন – দুটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন, খেয়াল রাখবেন যেন ভালভাবে মিশে যায়। এবারে যে ভাবে নারকেল মাথায় মাখতে হয় ঠিক সেভাবে মাসাজ করুন। অন্তত ১৫ মিনিট মাসাজ করবেন স্ক্যাল্পে, চুলের গোড়ায় এবং বাকি অংশেও। মিনিট ৪০ রেখে শ্যাম্পু করে নিন।
কতদিন ব্যবহার করবেন – সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন।
নারকেলের দুধের হেয়ার মাস্ক
ড্যামেজ হয়ে যাওয়া নিষ্প্রাণ চুল মেরামত করতে একমাত্র নারকেলের দুধই কাজে আসে। যাঁদের চুল একেবারে ড্যামেজ হয়ে গেছে এবং প্রচণ্ড শুষ্ক হয়ে ফ্রিজি হয়ে গেছে তাঁরা এই ঘরোয়া টোটকাটি অবশ্যই ট্রাই করুন। চুল মোলায়েম, সিল্কি এবং মজবুত করতে নারকেলের দুধের কোনও জুড়ি নেই! (how to use coconut to repair frizzy hair)
কী কী উপকরণ প্রয়োজন – তিন টেবিল চামচ নারকেলের দুধ
কীভাবে ব্যবহার করবেন – একটি পাত্রে নারকেলের দুধ নিয়ে সামান্য গরম করে নিন এবং একটু ঠান্ডা হলে (তবে উষ্ণ থাকা চাই) স্ক্যাল্প থেকে শুরু করে চুলের ডগা পর্যন্ত মেখে নিন। আধ ঘন্টা পর মাইল্ড কোনও সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
কতদিন ব্যবহার করবেন – সপ্তাহে দু’বার করে নিয়মিত ব্যবহার করুন।
নারকেল তেল ও অ্যালো ভেরা জেলের হেয়ার মাস্ক

চুলের ময়শ্চার ধরে রাখতে অ্যালোভেরা জেলের কোনও তুলনা হয় না, আর এর সঙ্গে নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েল মিশলে যে চুলের রুক্ষতা দূর হয়ে স্মুদ হবে, সে কথা আর নতুন করে বলে দিতে হবে না নিশ্চয়ই!
কী কী উপকরণ প্রয়োজন – এক টেবিল চামচ প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা জেল এবং সমান পরিমাণে নারকেল তেল
কীভাবে ব্যবহার করবেন – নারকেল তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল (অ্যালোভেরা পাতা থেকে সরাসরি জেল বার করে লাগাবেন না, এতে জ্বলুনি হবে এবং চুল উঠে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে, ভাল কোনও ব্র্যান্ডের অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন) মিশিয়ে নিয়ে স্ক্যাল্পে, চুলের গোড়ায় এবং ডগায় মাসাজ করুন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন।
কতদিন ব্যবহার করবেন – ফ্রিজি হেয়ারের সমস্যা দূর করতে সপ্তাহে একদিন এই মাস্ক (how to use coconut to repair frizzy hair) ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!