ইশা বেশ কিছুদিন ধরেই স্কিনের (skin) সমস্যায় (problems) ভুগছে. যথেষ্ট যত্ন করা সত্ত্বেও মুখে দানা বেরোচ্ছে আর লাল হয়ে যাচ্ছে মুখটা (face). প্রথমে ভেবেছিলো যে নতুন ফেসওয়াস (facewash) ব্যবহার (use) করে হয়তো এটা হচ্ছে, তাই আবার পুরোনো ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ (facewash) ব্যবহার (use) করতে আরম্ভ করেছিল. কিন্তু তাতেও ত্বকের (skin) সমস্যার (problems) কোনো সুরাহা হচ্ছে না. অগত্যা গেল ডার্মেটোলোজিস্টের কাছে. স্কিনের নানারকম পরীক্ষা করে তিনি যেটা বললেন, তাতে ইশা সত্যিই চমকে গেছে. ওর মুখের (face) সব সমস্যার মূলে রয়েছে ওর ফেসওয়াশ (facewash) ব্যবহার করার পদ্ধতি! আজ্ঞে হ্যাঁ, আমরা যদিও প্রতিদিন ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ (face) ধুই, কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই কিন্তু ফেসওয়াশ ব্যবহার (use) করার সঠিক পদ্ধতিটি জানিনা; এবং এর ফলেই আমাদের মুখের (face) স্কিনে (skin) নানা ধরণের সমস্যা (problems) হয়. আপনিও যদি এই ভুলগুলো করে থাকেন, তাহলে সময় থাকতে শুধরে নিন, তা না হলে পরে গিয়ে কিন্তু ত্বকের (skin) নানা সমস্যা (problems) হতে পারে.
প্রি-ক্লিনসিং না করা
আমরা অনেকেই বাইরে বেরোনোর সময়ে একটু আধটু মেকাপ করি. কিন্তু বাড়ি ফিরে অনেকসময়ই মেকাপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়ি. এতে কিন্তু ত্বকের (skin) সাংঘাতিক ক্ষতি হয়. আবার অনেকসময়ই শুধুমাত্র মেকাপ রিমুভিং ওয়াইপ দিয়ে মেকাপ তুলে নি. কিন্তু আপনি কি জানেন যে মাকেপি রিমুভিং ওয়াইপ শুধুমাত্র আপনার মুখের (face) ত্বকের (skin) বাইরেটা পরিষ্কার (clean) করে, ভেতরের পোরস ক্লিন (clean) করেনা! সেই জন্যই ফেসওয়াশ (facewash) দিয়ে ভালো করে মুখ পরিষ্কার (clean) করা প্রয়োজন, যাতে লোমকূপের ভেতরের ময়লাও বেরিয়ে যায় এবং আপনার ত্বক (skin) শ্বাস নিতে পারে. আবার অনেকে মেকাপ তোলার জন্য সরাসরিভাবে ফেসওয়াশ (facewahs) দিয়ে মুখ (face) পরিষ্কার (clean) করতে যান. আজকাল বেশিরভাগ মেকাপের প্রোডাক্ট ওয়াটার-প্রুফ, ফলে শুধুমাত্র জল আর ফেসওয়াশে মেকাপ ওঠার কোনো প্রশ্নই আসেনা. তাই সঠিকভাবে মুখ (face) পরিষ্কার (clean) করাটা কিন্তু ভীষণ জরুরি.
২. ভুল প্রোডাক্ট ব্যবহার করা
আপনি কি আপনার স্কিন-টাইপ জানেন? মানে, আপনার ত্বক (skin) তেলতেলে (oily) নাকি শুস্ক (dry) নাকি কম্বিনেশন সেটা কি জানেন? আপনার স্কিন-টাইপের ওপর ভিত্তি করে ফেসওয়াশ (facewash) বাছুন. যাদের ত্বক তেলতেলে তাদের জন্য ওয়াটার-বেসড কিংবা অয়েল-ক্লিনসিং ফেসওয়াশ সবচেয়ে ভালো. আবার যাদের ড্রাই স্কিন, তারা অয়েল-বেসড ফেসওয়াশ ব্যবহার (use) করলে ভালো. অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, ফেসওয়াশ (facewash) ব্যবহার (use) করার পরে যদি মুখে (face) টান ধরে, তাহলে বুঝতে হবে যে সেই ফেসওয়াশ আপনার ত্বকের (skin) জন্য সঠিক নয়. এটা কিন্তু বেশ সহজ একটা পদ্ধতি, নিজের জন্য ফেসওয়াশ বাছার.
৩. অতিরিক্ত ফেসওয়াস ব্যবহার করা
অনেককেই দেখে থাকবেন যে ঘন ঘন ফেসওয়াশ (facewash) দিয়ে মুখ (face) ধোয় (clean). এতে ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্তভাব চলে যায় এবং বয়েসের আগেই মুখে (face) বয়েসের ছাপ পড়ার সম্ভাবনা থাকে. বলিরেখা, ড্রাই স্কিন, রেডনেস এবং আরো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে. দিনে ২বার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ (face) ধোয়া (clean) যেতে পারে, কিন্তু তার বেশি নয়.
৪. অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠান্ডা জলে ফেসওয়াস করা
অনেককেই বলতে শুনবেন যে গরম জল ব্যবহার করলে লোমকূপ খুলে যায় তাই ভালো করে মুখ (face) পরিষ্কার (clean) করতে হলে গরম জলে মুখ ধোয়া উচিত. একেবারে ভুল কথা! গরম জল মুখের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব শুষে নেয় এবং এর ফলে ত্বক (skin) রুক্ষ এবং শুস্ক হয়ে যায়. নাতিশীতোষ্ণ জলে মুখ ধুলে সেটা সবচেয়ে ভালো.
৫. ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করা
ফেসওয়াশ (facewash) ব্যবহার (use) করার পর ময়েশ্চারাইজার লাগানোটা খুব প্রয়োজন. আপনি আয়ুর্বেদিক ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার (clean) করুন কিংবা কেমিক্যালযুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে, জেনে রাখা ভালো যে যেকোনো ফেসওয়াশই কিন্তু মুখের (face) ত্বকের (skin) ন্যাচারাল অয়েল বার করে নেয়. তাই ত্বকের ন্যাচারাল অয়েল ব্যালান্স করতে ফেসওয়াশ (facewash) দিয়ে মুখ ধোবার পরে মনে করে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন.
ছবি সৌজন্যে- Youtube, Giphy
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!