চুলের যত্ন করার জন্য আমরা কত কী-ই না করি! আজ এই তেল, কাল ওই মাস্ক, পরশু অন্য এক শ্যাম্পু – ইত্যাদি ইত্যাদি! (how to use vitamin e capsules in hair care) তবে তাতে বেশিরভাগ সময়েই চুলের যত না উপকার হয়, তার চেয়ে বেশি অপকার হয়। অনেকেই পার্লারে গিয়ে দামি-দামি ট্রিটমেন্ট করান, কিন্তু তাতে জলের মতো পয়সা খরচ হয় এবং সাময়িক সমাধান হলেও গোড়া থেকে সমাধান হয় না। আবার অনেকে এর-ওর থেকে শুনে অনেক রকমের ঘরোয়া টোটকা ট্রাই করেন চুলের সমস্যা সমাধান করতে, কিন্তু তাতেও হিতে বিপরীত হয় কখনও। তা হলে করবেনটা কী?
আপনি নিজেও হয়তো কখনও শুনেছেন যে, ভিটামিন ই ক্যাপসুল ত্বক ও চুলের জন্য খুব উপকারী। বেশিরভাগ ডারমেটলজিস্ট ত্বক ও চুলের নানা সমস্যা সমাধানে এই ক্যাপসুল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন এবং চুলের নানা প্রোডাক্টেও ভিটামিন ই (how to use vitamin e capsules in hair care) ব্যবহার করা হয়। তবে আপনি কিন্তু বাড়িতেও খুব সহজে কয়েকটি হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং আরও কিছু ঘরোয়া উপকরণ মিশিয়ে, যাতে আপনার চুলের নানা সমস্যা তো দূর হবেই সঙ্গে চুলের হারিয়ে যাওয়া জেল্লাও ফিরে পাবেন।
চুল বাউন্সি হয়ে উঠবে
যা যা উপকরণ লাগবে: দুই টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জুস, দুটো ভিটামিন ই ক্যাপসুল, দুই টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল এবং একটি গোটা লেবুর রস
কীভাবে ব্যবহার করবেন: সবকটি উপকরণ ভাল করে ব্লেন্ড করুন এবং মিনিট ১৫ স্ক্যাল্পে মাসাজ করুন। চুলেও এই মিশ্রণ লাগান এবং একটি নরম তোয়ালে বা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন এক ঘন্টা। এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন।
কত দিন ব্যবহার করবেন: সপ্তাহে একবার করে এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন, দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই চুলের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরে এসছে এবং আগের তুলনায় চুল বাউন্সি ও মোলায়েম হয়ে উঠেছে।
স্ক্যাল্পে আর্দ্রতা ধরে রাখতে
যা-যা উপকরণ লাগবে: দুই চা চামচ ভিনিগার, এক চা চামচ গ্লিসারিন এবং দুটো ভিটামিন ই ক্যাপসুল
কীভাবে ব্যবহার করবেন: আগের মাস্কটির মতোই একটি কাচের বাটিতে ভিনিগার, গ্লিসারিন এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল (how to use vitamin e capsules in hair care) মিশিয়ে নিন। একটি কাঠের চামচ দিয়ে খুব ভাল করে মেশান যাতে সব উপকরণ ভালভাবে ব্লেন্ড হয়ে যায়। এবারে স্ক্যাল্পে, চুলের গোড়ায় এবং চুলে লাগিয়ে খুব ভাল করে চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। মাসাজের সময়ে কিন্তু আঙুলের ডগা দিয়ে মালিশ করবেন, ঘষবেন না। ৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে নিন।
কত দিন ব্যবহার করবেন: সপ্তাহে দু’বার এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন, যাঁদের চুল এবং স্ক্যাল্প শুষ্ক, তাঁদের জন্য এই হেয়ার মাস্কটি খুব উপকারী।
হেয়ারফল বন্ধ করতে
যা-যা উপকরণ লাগবে: দুটো ডিম, দুটো ভিটামিন ই ক্যাপসুল, দুই টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
কীভাবে তৈরি করবেন: একটি কাচের বাটিতে সব উপকরণ ঢেলে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, যেন খুব বেশি পাতলা না হয় মিশ্রণ এবং সবক’টি উপকরণ যাতে খুব ভালভাবে মিশে যায়। এবার ওই মিশ্রণটি তেলের মতো করে মাথায় লাগান। গোটা স্ক্যাল্পে এবং চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে লাগাবেন। স্ক্যাল্পে প্রায় ২০ মিনিট মালিশ করে আরও আধঘণ্টা রেখে তারপর মাইল্ড কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুল ধোওয়ার জন্য ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন।
কত দিন ব্যবহার করবেন: সপ্তাহে একবার করে এই হেয়ার মাস্কের ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুল ভাঙবে না এবং চুল পড়াও বন্ধ হবে।
মূল ছবি সৌজন্য- ইধিকা পাল
ছবি সৌজন্য – মনামি ঘোষ
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!