ভারতীয় ফ্যাশনের ক্ষেত্রে শাড়ি (saree) হল এমন একটি পোশাক যেটি সব মহিলাই পরেন। প্রতিদিন না পরলেও জীবনে অন্তত একবার আমরা সবাই-ই শাড়ি পরেছি। কিন্তু যেমন তেমনভাবে শাড়ি পরে নিলেই তো হয় না, পরিপাটি করে শাড়ি পরা জরুরি। আবার আপনি কোন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন বা কী পারপাসে শাড়ি পরছেন সে বিষয়েও খেয়াল রাখা জরুরি। জেনে নিন, শাড়ি পরার (perfect way) আগে ঠিক কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন যাতে আপনিও হয়ে ওঠেন অপরূপা!
শাড়ি পরার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত
১। প্রত্যেকটি মানুষের শরীরের গঠন আলাদা হয়। কেউ বেশ ছিপছিপে আবার কেউ বা বালকি। যখনই কোনও পোশাক পরবেন সব সময়ে নিজের শরীরের গঠন অনুযায়ী পরুন, এতে দেখতে ভাল লাগে। যেমন ধরুন আপনার গড়ন যদি একটু ভারির দিকে হয় সেক্ষেত্রে লিলেন, শিফন বা হালকা সিল্কের শাড়ি পরুন যা শরীরের বাইরে ফুলে থাকবে না। আবার যদি আপনি খুব রোগা হন সেক্ষেত্রে তাঁতের শাড়ি পরুন বা এমন ফ্যাব্রিক বাছুন যা বেশ ফুলে থাকে।
২। কী রঙের শাড়ি পরছেন তার উপরেও কিন্তু অনেকসময়ে নির্ভর করে যে আপনাকে দেখতে কেমন লাগছে। ধরুন আপনি দুপুরবেলা রোদের মধ্যে একটা চকচকে গোলাপ বা সবুজ রঙের শাড়ি পরে কোথাও গেলেন! নিজেই একবার ভাবুন, কেমন হবে ব্যাপারটা। সময়, স্থান, কাল, পাত্র বুঝে শাড়ির রং বাছুন। যদি আপনি সন্তানের স্কুলে কোনও মিটিংয়ে যান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই হালকা রঙের সোবার শাড়ি পরুন। আবার সন্ধের পার্টির জন্য পরুন জমকালো শাড়ি।
৩। শাড়ির কুচি যদি বেশি হয়, সেক্ষেত্রে পেটের কাছের অংশটি ফুলে থাকে যা দেখতে মোটেও ভাল লাগে না। সেক্ষেত্রে কম কুচি করুন কিন্তু কুচি বেশ বড় করুন। যদি আপনার শাড়িটি বেশ লম্বা হয় এবং কুচির সংখ্যা কম করা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে যেকোনোও এক পাশে কোমরের কাছে শাড়ির কুচি করুন। এতে পেটের কাছে ফুলে থাকবে না।
৪। অনেকেই ভীষণ ঢিলে ভাবে শাড়ি পরেন। এতে দেখতে তো খুবই খারাপ লাগে আর শাড়ি কোমর থেকে খুলে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। যখনই শাড়ি পরবেন আগেই পেটিকোটের দড়ি শক্ত করে বেঁধে নিন। এবারে বেশ টেনে টেনে শাড়ি পরুন। এতে শাড়ি তো খুলবেই না, উপরন্তু শরীরের সঙ্গে লেপ্টে থাকায় দেখেতও বেশ রোগা লাগে।
৫। শাড়ি পরলেন অথচ পিন আপ করলেন না, কেমন হবে ব্যাপারটা! শাড়ি পরার পর শুধুমাত্র আঁচলে না, কুচিতেও পিন লাগিয়ে নিন। এতে কুচি এলোমেলো হবে না।
৬। শাড়ি পরার সময়ে আমরা অনেকসময়ে যে মারাত্মক ভুলটা করে থাকি তা হল যেমন তেমন একটা পেটিকোট পরে নেওয়া। এক এক রকমের শাড়ির ফ্যাব্রিকের সঙ্গে কিছু আলাদা পেটিকোট পরা উচিত। আলাদা পেটিকোট বলতে ফ্যাব্রিক এবং কাটের কথা বলা হচ্ছে। যদি আপনি রাফল শাড়ি পরেন বা এমন কোনও শাড়ি যার নীচের দিকে বেশ অনেকটা ঘের রয়েছে সেক্ষেত্রে ফিশটেল কাটের পেটিকট পরুন।