ADVERTISEMENT
home / বলিউড ও বিনোদন
চলতে চলতে থেমে গেলে হবে না, ভিডিও শেয়ার করে বার্তা দিলেন হৃতিক

চলতে চলতে থেমে গেলে হবে না, ভিডিও শেয়ার করে বার্তা দিলেন হৃতিক

লকডাউন। গত কয়েক সপ্তাহে সদ্য শিখে ফেলা এই শব্দটাই এখন যেন আমাদের জীবনে ভয়ের বার্তা বাহক। করোনা (Coronavirus) আতঙ্কে গৃহবন্দি সকলে। কবে এই ভাইরাস চিরতরে নির্মূল হবে, এখনও তার কোনও হদিশ দিতে পারেননি চিকিৎসকেরা। আর এর থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় রাখা। তার জন্য একমাত্র উপায় লকডাউন। 

এই পরিস্থিতিতে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছে অনেকেই। সেটাই তো স্বাভাবিক। একে ভাইরাসের প্রভাব। তার উপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হবে, তার মোকাবিলা কীভাবে সম্ভব তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সকলে। এর মধ্যেই অনুরাগীদের সাহস দিলেন হৃতিক (hrithik) রোশন। তাঁর জীবনের কঠিন মুহূর্তের কথা শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। 

হৃতিক জানিয়েছেন, তাঁর কেরিয়ারেও খারাপ সময় এসেছে। একের পর এক ছবি ফ্লপ হয়েছে। কিন্তু ধৈর্য্য ধরে ভাল সময়ের জন্য অপেক্ষা করেছেন। ‘সুপার থার্টি’ ছবিতে আনন্দ কুমারের ভূমিকায় অভিনয় এবং ‘ওয়ার’-এর কবীরের চরিত্র হৃতিকের জীবনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল। লক্ষ্যে পৌঁছতে তিনি কঠিন পরিশ্রম করেছিলেন। তাঁর কথায়, থেমে গেল চলবে না। চলতেই হবে আমাদের। 

 

ADVERTISEMENT

 

যে কোনও চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে নিজের ২০০ শতাংশ দেওয়াতে বিশ্বাসী হৃতিক। পরিশ্রম করে যেতেই হবে। কীভাবে তিনি নিজেকে তৈরি করেন, তার নমুনা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তিনি। এই অন্ধকার সময় কেটে যাবে, শুধু ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করেন হৃতিক। 

এর আগেই মুম্বইয়ে পৌরসভার কর্মীদের হাতে হৃতিক তুলে দিয়েছিলেন N95, FFP3 মাস্ক। এনজিও ‘অক্ষয় পাত্র’র সঙ্গে হাত মিলিয়ে দরিদ্র মানুষদের খাবার দেওয়ার কাজে এগিয়ে এসেছেন। এই সংস্থা বাড়িতে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন এমন মানুষের কাছে যাঁদের পেট ভরানোই এখন সমস্যা হয়ে উঠেছে। এই তালিকায় আছেন বৃদ্ধাশ্রমের মানুষ, দিন আনা-দিন খাওয়া শ্রমিক। অর্থ দানের পর সংস্থার তরফে টুইট করে হৃতিককে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। হৃতিকের অর্থ সাহায্যে তৈরি করা খাবার প্রতিদিন পৌঁছে যাবে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের কাছে। এই সংস্থা জানিয়েছেন যতদিন না অবধি লকডাউন স্বাভাবিক হয় ততদিন তাঁরা খাবার দিয়ে যাবেন বৃদ্ধাশ্রমে এবং দিনমজুরদের।

গোটা দেশ জুড়ে এখন আক্রান্তের সংখ্যাটা ৫ হাজার ৭৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যাও ১৭ জন বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত গোটা দেশে মোট ১৬৬ জন করোনার শিকার হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এর মধ্যে সুস্থও হয়ে উঠেছেন ৪৭২ জন। করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে জোরালো আঘাত হেনেছে মহারাষ্ট্রে। ওই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল বুধবারই। এ দিন সেই সংখ্যাটা হয়েছে ১ হাজার ১৩৫ জন। শুধু মাত্র মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। এর পরেই রয়েছে গুজরাত। সেখানে মোট ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। পশ্চিমবঙ্গে মৃতের সংখ্যা ৫।

ADVERTISEMENT

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

09 Apr 2020

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT