আমরা মহিলারা নিজেদের ব্যাপারে সব সময়েই বড্ড বেশি উদাসীন। পরিবারের দায়িত্ব পালন করা, অফিস বা নিজের কাজের জগতে দায়িত্ব পালন করার বিষয়ে পিছপা না হলেও, নিজেদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনও জরুরি পদক্ষেপ নিতে গেলে যেন আমাদের গায়ে জ্বর আসে। টুকটাক জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা – এইসব বিষয়গুলোকে অনায়াসে অবহেলা করে থাকেন বেশিরভাগ মহিলাই। যতক্ষণ না পর্যন্ত ‘ছোটখাটো’ শারীরিক সমস্যাগুলো রীতিমত বড় আকার ধারণ করছে, ততক্ষন পর্যন্ত না আমরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাই, না চিকিৎসকের দ্বারস্থ হই।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কিন্তু ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাছাড়া, আমাদের এখন যা জীবনযাত্রা, সেখানে অসুখে পড়তে বয়সটা খুব একটা ম্যাটারও করে না। বয়স ২৫ পেরলেই নানা রোগব্যাধি এসে শরীরে বাসা বাঁধে। চারদিকের দূষণ, খাবারে ভেজাল, অনিদ্রা, ধকল, কাজের চাপ এবং মানসিক উদ্বেগ – যে-কোনও মহিলার শরীরকে ভিতর থেকে বেশ দুর্বল করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কাজেই, পঁচিশ বছর বয়স হয়ে গেলে প্রত্যেক মহিলার উচিত (Womens Health Checklist), বছরে অন্তত একবার করে কিছু কিছু বিষয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া। পঁচিশ বছর বয়সের পর মাঝেমধ্যে কী কী স্বাস্থ্য পরীক্ষা অবশ্যই করানো প্রয়োজন (Important Medical Tests For Women), সে বিষয়ে একটি তালিকা দেওয়া হল; সঙ্গে এও জানানো হল যে ঠিক কী কারণে প্রতিটি মহিলার এই মেডিক্যাল টেস্টগুলো করানো প্রয়োজন।
ছবি সৌজন্যে: শাটারস্টক
পুরুষদের তুলনায় মহিলারা অনেক বেশি আক্রান্ত হন ক্যান্সারে, আর বেশিরভাগ সময়েই তা হয় ইউটেরাস বা জরায়ুতে। বহু চিকিৎসকের মতে, মহিলাদের বয়স ২৫ পেরলেই বছরে একবার অন্তত প্যাপ স্মেয়ার টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত। এতে যদি জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার কোনওরকম আশঙ্কা থেকেও থাকে, তাহলে তা সময় থাকতে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। বাইরে থেকে দেখে কখনই বোঝা সম্ভব নয় যে মহিলাদের জরায়ুতে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে কি না। তবে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে (Important Medical Tests For Women) খুব ভালভাবেই বোঝা যায় সমস্যাটি।
কখন এই পরীক্ষা করাবেন যদি জিজ্ঞেস করেন, তা হলে বলব, আপনার বয়স যদি ২৫ বছর বা তার বেশি হয়, তা হলে আপনি যে-কোনও সময়েই প্যাপ স্মেয়ার (PAP Smear Test) টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন। যদি আপনার শরীরে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি (Womens Health Checklist) দেখা যায়, তা হলে তো দেরি না করে অবশ্যই করাবেন এই টেস্ট!
একটি গোল স্প্যাচুলা আপনার জরায়ুর বাইরের অংশে খানিক ঘষে তার থেকে যে কোষ পাওয়া যায় তা পরীক্ষা করার পরেই বোঝা যায় যে আপনার আদৌ ভয় পাওয়ার কোনও কারণ আছে কিনা।
অনেকসময়েই এমন হয় যে মহিলাদের স্তনে একটি ছোট্ট লাম্প বা ফোলাভাব দেখা যায়। বেশিরভাগ মহিলাই অবশ্য প্রথমেই এই ছোট লাম্পটিকে পাত্তা দেন না, কিন্তু এই গাফিলতির কারণে যদি কোনও সময়ে এই ছোট্ট লাম্পটিই বড় আকার ধারণ করে এবং তা স্তনের ক্যান্সারে পরিণত হয়, তাহলে কিন্তু হাত কামড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। অনেকসময়েই স্তনের ফোলাভাবটি কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট হয়। কাজেই যদি কখনও স্তনে ব্যথা হয় বা কোনও অবাঞ্ছিত অংশ বা মাংসপিন্ড দেখা যায়, তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের সাহায্য নিন এবং ম্যামোগ্রাম টেস্ট (Important Blood Tests For Women) করিয়ে নিন।
অনেকেই হয়ত বলতে পারেন যে ২৫ বছর বয়সে কীভাবে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে! কিন্তু প্রথমেই যে বললাম, বর্তমান জীবনযাত্রা, খাওয়া-দাওয়া এবং চারদিকের দূষণের জন্য যে-কোনও বয়সেই যে-কোনও রোগ যে-কারও শরীরে হতে পারে (Important Blood Tests For Women)। আগেকার দিনে বেশিরভাগ মানুষ বাড়িতে রান্না করা খাবার খেতেন এবং তাদের যথেষ্ট শারীরিক পরিশ্রমও হত; কিন্তু এখন প্রযুক্তির যত বেশি উন্নতি হচ্ছে, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততা এবং শারীরিক রোগব্যাধি। এখন ফাস্টফুড খাওয়ার চল অনেকটাই বেড়ে গেছে, সঙ্গে শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রাও কমেছে। ফলে শরীরে ফ্যাট ও কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়েছে। সুস্থ থাকার জন্য কোলেস্টেরল টেস্ট (Womens Health Checklist) মাঝেমধ্যেই করিয়ে নেওয়াটা ভাল।
ছবি সৌজন্যে: শাটারস্টক
আমাদের শরীরে টক্সিনের পরিমাণ অনেকটাই নির্ভর করে আমাদের লিভারের কার্যক্ষমতার উপরে; অর্থাৎ, আমাদের লিভারের কার্যক্ষমতা যদি ভাল হয় সেক্ষেত্রে আমাদের হজম সঠিকভাবে হয় এবং শরীরে টক্সিন জমতে পারে না; উল্টোদিকে যদি আমাদের লিভার দুর্বল হয় তখন আমাদের হজম ক্ষমতাও কমে যায় এবং শরীরে টক্সিন জমা হতে শুরু করে। কাজেই বছরে একবার অন্তত লিভার ফাংশনিং টেস্ট (Important Medical Tests For Women) করিয়ে নেওয়াটা খুব প্রয়োজন।
সেক্ষেত্রে আপনার লিভার কতটা সুস্থ তা জানার জন্য এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রয়োজন।
শুধুমাত্র বাইরের কাজ করেই কিন্তু একজন মহিলার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, তাকে ঘরটাও সামলাতে হয় সমান দক্ষতায়। ঘরের কাজ ও নিজের পেশাগত জগতের চাপ সব কিছু মিলে কখনও কখনও রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। তবে, সঠিক সময়ে যদি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে কিন্তু নানা রোগব্যাধি শরীরে বাসা বাঁধতে বাধ্য।
আপনি চশমা পরলে তো অবশ্যই মাঝে মাঝে আপনার চোখের পাওয়ার পরীক্ষা করানো প্রয়োজন, কিন্তু যদি চশমা নাও পরেন, সেক্ষেত্রেও বছরে একবার করে চোখের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। অনেকসময়ে আমাদের চোখে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে আবার অনেক সময়েই অন্যান্য কোনও সমস্যা। বয়স ২৫ পেরলে ছানির সমস্যা না হলেও, পরবর্তীকালেও যাতে আপনার চোখের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া কিন্তু আপনারই দায়িত্ব। এখন আমাদের বেশিরভাগ সময়টাই কাটে ল্যাপটপ বা মোবাইলের স্ক্রিনে চোখ রেখে কাজেই বুঝতেই পারছেন, চোখের উপরে কতটা চাপ পড়ছে!
ছবি সৌজন্যে: শাটারস্টক
আমরা যদিও নিয়মিত দাঁত মাজি, কিন্তু অনেকসময়েই খাবারের টুকরো আমাদের দাঁতে আটকে থাকে। পর সেগুলো জমতে জমতে দাঁতের এবং মাড়ির নানা সমস্যা শুরু হতে পারে। আবার অনেকসময়ে শরীরে নানা ভিটামিন ও খনিজের অভাব থেকেও দাঁত ও মাড়ির সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে বছরে একবার করে দাঁতের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটা ভাল। আফটার অল, দাঁত ঝকঝকে না হলে কি আর হাসলে ভাল লাগবে?
বেশিরভাগ ভারতীয় মহিলাই একটা কমন সমস্যায় ভোগেন – অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা। কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট টেস্ট (Important Medical Tests For Women) করিয়ে কিন্তু অনায়াসে জানা যায় যে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ শরীরে ঠিক কতখানি। এছাড়াও যদি শরীরের ভিতর কোথাও কোনও ইনফেকশন, অনিয়মিত ঋতুস্রাব অথবা বিশেষ ধরনের কোনও ক্যান্সার উৎপাদনকারী কোষ থাকে, তাও জানা যায়। যদি আপনার চিকিৎসক জানান যে আপনার কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট রিপোর্টে কোনও সমস্যা নেই, সেক্ষেত্রে বছরে একবার করে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
অনেক মহিলারই রক্তে শর্করার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বেশি থাকে এবং তখন তাকে বলা হয় ডায়েবেটিক। এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাটি (Blood Tests Every Woman Should Have) করার আগে অন্তত ১২ ঘণ্টা কিছু খাওয়া যায় না, কাজেই ভোরবেলা এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য সবচেয়ে ভাল সময়। সাধারণত
যদি আপনার কাউন্ট ১১০-এর বেশি হয় সেক্ষেত্রে সাধারণত চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন প্রতি তিন মাসে একবার করে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে, আর যদি কাউন্ট ৯৯-এর নীচে থাকে তাহলে বছরে একবার করে মেডিক্যাল টেস্ট করালেই চলে।
ছবি সৌজন্যে: শাটারস্টক
থাইরয়েডও একটি লাইফস্টাইল ডিজিজ যা অবশ্য শুধুমাত্র মহিলাদেরই নয়, পুরুষদেরও হতে পারে। আমাদের শরীরে থাইরয়েডের মাত্রা বেশি থাকলে অর্থাৎ গলায় থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে এই হরমোনটি বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হলে তাকে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিজম। এতে মহিলাদের মধ্যে ওজন বেড়ে যাওয়ার একটা অদ্ভুত প্রবণতা দেখা যায়। আর যদি থাইরয়েড কম পরিমাণে নিঃসৃত হয় তাকে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিজম, এতে ওজন ও মেদ অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে (Blood Tests Every Woman Should Have)। এই দুটি সমস্যার মধ্যে যদি যে-কোনও একটিতে আপনি ভোগেন তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতি তিন মাসে একবার করে এই মেডিক্যাল টেস্টটি করান। যদি থাইরয়েডের মাত্রা ঠিক থাকে তাহলে বছরে একবার সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সময়েও এই টেস্টটি করাতে পারেন।
হার্ট, লিভার, সারভিক্স বা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মতো কিডনি বা বৃক্কও কিন্তু আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের শরীরের বেশিরভাগ টক্সিন কিডনির মাধ্যমেই শরীর থেকে বেরোয়, কাজেই বছরে একবার করে কিডনির জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো যেতেই পারে।
জেনেটিক ডিসঅর্ডার কিন্তু বহু প্রজন্ম আগে থেকেও সন্তানের মধ্যে আসতে পারে। হয়তো আপনার বা আপনার হবু স্বামীর মধ্যে কোনও জিনগত সমস্যা নেই। কিন্তু আপনাদের ডিএনএ-তে কয়েক প্রজন্ম আগের কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, তা জানাও জরুরি আপনাদের সুস্থ সন্তানের জন্য। এছাড়াও জেনেটিক টেস্টের (Blood Tests Every Woman Should Have) মাধ্যমে সহজেই জানা যায় যে ভবিষ্যতে কোনও বড় শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা।
১। কতদিন অন্তর এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করানো উচিত?
উত্তর – আপনার বয়স, ওজন, পারিবারিক স্বাস্থ্যের ইতিহাস, শারীরিক সমস্যা ইত্যাদির উপরে নির্ভর করছে যে আপনি কতদিন অন্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবানে। যদি আপনার নির্দিষ্ট কোনও শারীরিক সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিত। সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে বছরে একবার করে অবশ্যই প্রতিটি মহিলার উচিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে চেক আপ করানো।
২। যেকোনোও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ঠিক কতক্ষণ আগে জল খাওয়া উচিত?
উত্তর – এক এক রকমের মেডিক্যাল টেস্টের এক এক রকম নির্দেশিকা থাকে। কোনও কোনও স্বাস্থ্য পরীক্ষা খাবার খেয়ে করা যায় আবার কোনও কোনও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার আগে প্রায় আট ঘন্টা পেট খালি রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। যদি আপনি থাইরয়েড বা ব্লাড সুগারের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে চান, সেক্ষেত্রে আপনাকে খালি পেটেই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। আবার কোনও কারণে যদি আলট্রাসোনোগ্রাফি করাতে হয় সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত জল খেয়ে পেট ভরাতে হবে, তা না হলে সঠিক রেজাল্ট জানতে পারবেন না। যখনই কোনও সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন অথবা কোনও নির্দিষ্ট সমস্যার জন্য মেডিক্যাল টেস্ট করাবেন, তার আগে চিকিৎসক অথবা যিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন, তার থেকে ভাল করে জেনে নিন নির্দেশিকাগুলি।
৩। প্রতি বছর কোন কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো উচিত?
উত্তর – বয়স ২৫ পেরোলে প্রতিটি মহিলারই উচিত নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা। যদি কারও কোনও নির্দিষ্ট সমস্যা থাকে, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো তো অবশ্যই প্রয়োজন, তবে তা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে। আবার ২৫ বছর বয়সের পরে অনেকেই কোনওরকম শারীরিক সমস্যায় হয়ত ভোগেন না, তবে সেসব মহিলাদেরও উচিত বছরে অন্তত একবার করে কিছু কিছু মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে নেওয়া। যেমন ধরুন –
৪। মহিলাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর – মহিলাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলতে কী বোঝায়, এ কথার উত্তর এক বাক্যে দেওয়া সম্ভব নয়। এক এক বয়সের মহিলার এক এক রকমের সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা মেডিক্যাল টেস্ট হয়। তবে শুধুমাত্র বয়সের উপরেই সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার তালিকা নির্ভর করে না। কোনও পুরনো অসুখ, পারিবারিক স্বাস্থ্যের ইতিহাস, ওজন, এগুলোর উপরেও নির্ভর করে যে কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষাটি সেই মহিলার প্রয়োজন। তবে, মোটামুটি রক্ত পরীক্ষা, থাইরয়েডের মাত্রা, রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা, হাড়ের ঘনত্ব, প্রস্রাব, কান, চোখ ও দাঁতের সামগ্রিক পরীক্ষা সার্বিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার অন্তর্ভুক্ত।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!
Image Source: Shutterstock