বিয়েতে এত ঝুট ঝামেলা সামলানোর পরেও আবার কোন দায়িত্ব থাকে শুনি? থাকে, বন্ধু থাকে! যেমন ধরুন, বিয়ে-বউভাতে যে বেনারসিটা পরেছেন, সেটা ড্রাই ক্লিনিংয়ে দেবে কে? নিশ্চয়ই আপনার শাশুড়ি নন, কাজটা আপনাকেই দায়িত্ব নিয়ে করতে হবে। তা ছাড়া বিয়ের পরে যদি পদবি বদলাতে চান, তা হলে তো শিরে সংক্রান্তি। সেক্ষেত্রে আধার-প্যানের পাশাপাশি ভোটার কার্ডেও পদবি বদলাতে আপনাকেই ছুটতে হবে। এই কাজটা করতে যত দেরি করবেন, তত কিন্তু ঝক্কি বাড়বে। তাই চটজলদি সেরে ফেলাই মঙ্গলের। দাঁড়ান দাঁড়ান, চললেন কোথায়! এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও ছোট-বড় বহু কাজ রয়েছে, যা বিয়ের পর পরই সেরা ফেলা উচিত। কী-কী কাজের কথা বলছি একটু বলুন দেখি?
১. অত্মিয়-বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না যেন
কাছের-দূরের আত্মীয়-বন্ধুরা হই হুল্লোর করেছে বলেই না আপনাদের বিয়ে-বউভাত এতটা জমে উঠেছে। তাই বউভাতের পরেই দিনই কাছের মানুষদের ধন্যবাদ জনাতে ভুলবেন না যেন। এক্ষেত্রে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ লেখা একটা ডিজাইনার কার্ড তৈরি করে তা হোয়াটসঅ্যাপে অথবা মেলে পাঠিয়ে দিতে পারেন। আর যদি হাতে সময় থাকে, তা হলে সবার সঙ্গে ফোনে একবার কথা বলে নিলে কিন্তু মন্দ হয় না।
২. পদবি বদলের প্রক্রিয়া শুরু করে দিন
ভোটার কার্ডে পদবি বদল করা কিন্তু বেশ ঝক্কির কাজ। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ম্যারেজ সার্টিফিকেট সহ বাকি ডকুমেন্টগুলি ঠিক-ঠিক দফতরে জমা দিতে দেরি করবেন না যেন! সেই সঙ্গে আধার এবং প্যান কার্ডেও পদবি বদলানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে হবে। এই কাজগুলি মিটে যাওয়া মাত্র ব্যাংকের পাস বইয়েও পদবি বদলে ফেলতে হবে। সঙ্গে নতুন সইটা কেমন ভাবে করবেন, সেই নিয়েও একটু মাথা ঘামাতে হবে বই কী! তবে খেয়াল করে সবকটা কাজ বিয়ের দিনকুড়ির মধ্যেই সেরে ফেলতে ভুলবেন না যেন!
৩. ঝটপট বিয়ের ফটোগুলো বেছে নিতে হবে
বিয়েতে (wedding) যে লক্ষ-লক্ষ ছবি তুললেন, সেগুলি কি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই? তা হলে ফোটোগ্রাফারের সঙ্গে কথা বলতে দেরি করছেন কেন? এক্ষেত্রে যত দেরি করবেন, ততই কিন্তু কাজটা ঝুলে থাকবে। তাই এখনই ফোটোগ্রাফারকে ফোন লাগান আর ‘র’ ফাইলটা চেয়ে নিন। তারপর ছবি বাছাই করে তাঁকে পাঠিয়ে দিন। সম্ভব হলে বউভাতের পরের দিনই কাজটা সেরে ফেলুন। তাতে বিয়ের মাসদেড়েকের মধ্যে অ্যালবাম আর ভিডিওটা হাতে পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা একটু বাড়বে!
৪. কত খসলো সেটা জানতে হবে তো
বিয়ের আনন্দে নিশ্চয়ই হাত খুলে খরচ করেছেন! তা মোট কত টাকা খরচ হল, তার হিসেবে রয়েছে কি? যদি না থাকে, তা হলে বিয়ে মিটলেই মাথা ঠান্ডা করে খরচের হিসেবটা কষে নিতে দেরি করবেন না যেন! সেই সঙ্গে আর একটা কাজও করতে হবে। কী কাজ? পরের মাস থেকে সংসারের খরচ মেটাতে স্বামী-স্ত্রী মিলে কত টাকা দেবেন এবং কত টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টে রাখবেন, সেই সংক্রান্ত একটা আলোচনা সেরে নেবেন। তাতে কারও উপরেই বেশি চাপ যেমন পরবে না, তেমনই ফিক্সড ডিপোজিটও মাসে মাসে বাড়তে থাকবে।
৫. গিফটগুলো গুছিয়ে ফেলা একটা মস্ত বড় কাজ
হনিমুনের আগে ভুলেও গিফটগুলো খুলতে যাবেন না যেন! তাতে ঝামেলা আরও বারবে। বরং একটা কাজ করতে পারেন। ঘুরে আসার পরে কোনও একটা ছুটির দিনে দু’জনে মিলে বসে একটা ডাইরিতে কে কোন গিফট দিয়েছে, সেটার একটা লিস্ট তৈরি করে ফেলুন। সেই সঙ্গে গিফটগুলো খুলে নিয়ে কোনও একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিন। ঘর সাজাতে বা রান্নার কাজে আসবে এমন সব গিফটগুলিকে হাতের কাছে রাখুন। বাকিগুলো বক্স খাটের পেটে ঠিক মতো গুছিয়ে রেখে দিন। পরে যখন যেমন প্রয়োজন পড়বে, সেই মতো বের করে নেবেন।
মূল ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম (পুষ্টিকা সমাদ্দার ও সন্দীপন ফোটোগ্রাফি)
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!