অফিসে (office) থাকছেন দশ ঘণ্টা অথচ কাজ শেষ হচ্ছে না ঠিক সময়ে। উল্টে প্রতিদিন একটু একটু করে বেড়েই যাচ্ছে কাজের বোঝা। এরকম সমস্যার মুখোমুখি আমরা অনেক সময়ই হয়ে থাকি। ব্যাপারটা আর কিছুই না। হয়তো আপনি সঠিক সময়েই অফিসে যাচ্ছেন। কাজও করছেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনার প্রোডাক্টিভিটির (productivity) পরিমাপে। মনে রাখবেন অফিসে আমরা কাজ ছাড়াও আরও অনেক কিছু করি, যেগুলো ঠিক অফিস ওয়ার্কের মধ্যে পড়ে না। লাঞ্চ খাওয়া, বাথরুম যাওয়া, চা-কফি পান, সহকর্মীদের সঙ্গে মজা, হাসি ঠাট্টা এবং অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়ার অমোঘ আকর্ষণ। সবগুলো যোগ করলে যেটুকু সময় বেরিয়ে আসে, সেটাও কিন্তু অফিসের (office) সময়ের একটা অংশ। অথচ এর কোনওটাই আপনার অফিসের কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। তার মানে অবশ্য এই নয় যে আমরা আপনাকে বলছি দিনরাত ঘাড় গুঁজে কাজ করতে। একেবারেই নয়। আসল কথা হল অফিসে নিজের প্রোডাক্টিভিটি (productivity) বাড়ানো (increase)।বরং বুদ্ধি করে এমনভাবে সময়ের ব্যবহার করুন যাতে অফিসে আপনার নিজের প্রোডাক্টিভিটি (productivity) বৃদ্ধি (increase) পায়। দেখে নিন ঠিক কীভাবে সেটা করা যেতে পারে।
কাজের জন্য কতটা সময় দিচ্ছেন?
অফিসে গিয়ে আপনি কাজের জন্য ঠিক কতটা সময় দিচ্ছেন, তার একটা মোটামুটি হিসেব রাখুন। যদি সেটা খুব কম হয়, তাহলে দেখুন কেন কম হচ্ছে। আর যদি খুব বেশি হয়েও আপনার কাজ শেষ না হয়,তাহলে সেটাও ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে বের করুন। ছুতির দিনে বাড়িতে বসে নিজের কাজের সময় নির্ধারিত করে দিন। মনে মনে বলুন, এর মধ্যেই আপনি সব কাজ শেষ করবেন। অফিসে যতটা পারেন সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আড্ডাবাজ সহকর্মীদের এড়িয়ে চলুন।
টু মিনিটস রুল
অফিসে এমন অনেক ছোট ছোট কাজ থাকে যেটা করতে দু মিনিট বা তার চেয়েও কম সময় লাগে। আমরা সাধারণত সেগুলো পরে করব বলে সরিয়ে রাখি। এমনটা করবেন না। এতে কাজ জমে যাবে। আন্তেপ্রেনিওর স্টিভ ওলেন্সকি তাই তৈরি করেছেন টু মিনিটস রুল। অর্থাৎ দু মিনিট বা তার চেয়ে কম সময়ের কাজগুলো আগে সেরে নেওয়া।
যাতায়াতের সময়কে কাজে লাগান
আপনি যদি বাস, ট্যাক্সি বা নিজস্ব বাহনে আসা যাওয়া করেন, তাহলে সেই সময়কে কাজে লাগান। এখন মোটামুটি আমাদের সবার কাছে স্মার্টফোন আছে। সেখানে অফিসের টুকিটাকি কাজ অনায়াসে করে নেওয়া যায়। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট যদি যেতে বা আসতে লাগে সেটাকে কাজে লাগান। লেখক মিরাণ্ডা মারকুইট বলছেন এই সময়ে টুকটাক মেল বা ফোন কল সেরে নিতে। এতে অফিস এসে সেগুলো করতে হবে না।
মাল্টিটাস্কিং কোনও সমাধান নয়
যারা একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করেন, তারা মনে করেন এটা করলে তাদের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু মনোবিদরা জানাচ্ছেন বিষয়টি একদম ভুল। একসঙ্গে অনেক কাজ না করে একটা কাজ সেরে আরেকটা করলে প্রোডাক্টিভিটি অনেক বেশি হয়। একসঙ্গে অনেক কাজ করলে কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে। তখন সেই কাজটা আবার করতে হয়। বরং হাতের একটা কাজ সেরে তবে আরেকটা শুরু করুন।
এক্সারসাইজ ব্রেক নিন
অনেক অফিসেই বিশেষ করে আইটি কোম্পানিগুলোতে জিম থাকে। এটা কর্মীদের কথা ভেবেই করা হয়েছে। যদি আপনার অফিসে সেরকম ব্যাবস্থা থাকে তাহলে তার সুযোগ নিন। জার্নাল অফ অকুপেশানাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল মেডিসিন বলছে জিমে গেলে বা ছোট্ট করে হেঁটে এলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। মন ফুরফুরে হয়ে যায়। ফলে কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। জাপানে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে সাকুরা বা চেরি ফুল ফোটে। সেখানকার অফিসের সহকর্মীদের সেসময় এক ঘণ্টার ব্রেক দেওয়া হয় যাতে তারা কাজ করার উৎসাহ পান।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!