উফ, কপাল করে এসেছেন বটে এই প্রিয়ঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra)! মেয়ের শিবপুজোর জোর ছিল বলতে হবে! এমন একটি স্বামী পেয়েছেন, যিনি স্ত্রীকে চোখে তো হারানই, সব সময় তাঁকে বগলদাবা করে ঘোরেন, তার জন্য হিল্লি-দিল্লি করে বেড়ান, তার সঙ্গে ইয়টে পার্টি করেন, ফ্যাশন উইকে যান, ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের রেড কার্পেটে হাঁটেন, হোটেলের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পিৎজা খাইয়ে দেন, মেট গালাতে উৎকট সেজে ঘোরেন, বউয়ের মাথায় লাসিথ মালিঙ্গার মতো চুল থাকলেও তার দিকেই আকুল নয়নে চেয়ে থাকেন, আবার শাশুড়ি-শ্যালিকাকে সুদূর মুম্বই থেকে মিয়ামি উড়িয়ে নিয়ে এসে জন্মদিনের চোখধাঁধানো পার্টি দেন!
বিয়ের পরে স্ত্রীয়ের প্রথম জন্মদিন যে নিক ঘটা করে সেলিব্রেট করবেন, তা তো জানাই ছিল। ভারতে যেমন বিয়ের পরে প্রথম হোলি, প্রথম দিওয়ালি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ থাকে, আমেরিকায় বোধ হয় প্রথম থ্যাঙ্কসগিভিং, প্রথম জন্মদিনের আলাদা মাহাত্ম্য! তাই নিক জোনাস (Nick Jonas) বউয়ের জন্য ইয়া ব্বড় একখানা বার্থডে ব্যাশ প্ল্যান করেছিলেন, তা-ও আবার মিয়ামির সমুদ্দুরের ধারে! সেই পার্টির থিম ছিল লাল। না, না, একটু ভুল বলা হল, পুরো পার্টির থিম লাল ছিল না। লাল রং অ্যালাওড ছিল শুধু বার্থডে গার্ল আর বার্থ ডে কেকের জন্য! বাকিদের নাকি স্ট্রিক্টলি বলেও দেওয়া হয়েছিল সেই কথা। প্রতিটি ছবিতে যাতে নিকের জানেমনকে এক্কেবারে আলাদা করে চেনা যায়, তাই এই সাবধানতা!
তা পিগি চপসও ভারী মন দিয়ে সাজুগুজু করেছিলেন, থিম মাথায় রেখেই। তা তো রাখবেনই। তা আমার স্বামী যদি আমার জন্য অমন চোখধাঁধানো লাল টুকটুকে বার্থ ডে (birthday) ব্যাশ করত, তা হলে আমি তো সারা জীবন লাল ছাড়া অন্য কোনও রং পরতামই না! যাক গে, আমার কথা থাকুক, প্রিয়ঙ্কার কথা শুনুন। তিনি পরেছিলেন লাল রংয়ের Catherine Sequin Mini Dress, ব্র্যান্ডের নাম 16arlington। পোশাকটি দৈর্ঘ্যে ছোট হলেও, তার দামটি মন্দ নয়, মাত্র ৭৫০ পাউন্ড! মানে, ভারতীয় মুদ্রার হিসেবে প্রায় ৬৫ হাজার টাকার মতো!
আর নীচের ছবিতে তাঁর হাতে যে ছোট্ট ক্লাচটি ঝুলছে বলে দেখছেন, সেটি আসলে ডিজাইনার ব্র্যান্ড জুডিথ লিবার এনওয়াই-এর তৈরি Couture Seductress Crystal Lipstick Clutch Bag। দাম, মাত্র ৫৪৯৫ ডলার, মানে ভারতীয় টাকায় মাত্র ৩, ৮০,০০০ টাকার মতো! বলা বাহুল্য, এই সবই নিক জোনাস তাঁকে জন্মদিনে উপহারস্বরূপ দিয়েছেন!
এখানেই শেষ নয়। যে বার্থডে গার্ল লেখা টিয়ারাটি পরেছেন প্রিয়ঙ্কা, সেটিও ডিজাইনার ব্র্যান্ড জেস্ট জুয়েলস-এর তৈরি Crystal Birthday Girl Headband, তবে এটির দাম সাধ্যের মধ্যে, মাত্র ২০ ডলার, মানে ওই ১,৪০০ টাকার মতো!
জুতো সম্পর্কিত কোনও তথ্য এখনও আমাদের কাছে আসেনি, এলে আপনাদের জানিয়ে দেব!
প্রিয়ঙ্কার বিয়ের আগে নিন্দুকে বলেছিলেন, জোনাস পরিবার নাকি প্রায় দেউলিয়া হতে বসেছে! তাই প্রিয়ঙ্কাকে বিয়ে করে খড়কুটো আঁকড়ে বাঁচতে চাইছেন তাঁরা! তা কেউ যদি দেউলিয়া হয়ে বউয়ের জন্মদিনে জামা-ব্যাগের পিছনে মাত্র লাখপাঁচেক টাকা খরচ করতে পারে, তা হলে ভাই অমন দেউলিয়াকে সকলেই বিয়ে করতে চাইবে!
এবার বলি কেকটির কথা। আগেই বলেছি, কেকটির রং ছিল লাল। চারতলা এই কেকটি বানিয়েছিল মিয়ামির বিখ্যাত কনফেকশনারি ডিভাইন ডেলিকেসিজ, পাঁচতলা এই কেকে ২৪ ক্যারেট এডিবল গোল্ড দিয়ে কারুকার্য করা হয়েছিল!
তা এনগেজমেন্ট রিং কেনার জন্য যিনি টিফানি অ্যান্ড কোং-এর একটা আস্ত দোকান বন্ধ করে ফেলতে পারেন, সেই নিক জোনাসের কাছ থেকে এমন একটি পার্টিই প্রত্যাশিত ছিল! চলুন, দেখে নেওয়া যাক এই চোখধাঁধানো বিচ পার্টির কিছু ছবি (pictures) ও ভিডিয়ো (video)…
এ তো গেল কেক কাটিংয়ের ছবি। এবার নাচাগানার পালা! মেয়ে-জামাইয়ের সঙ্গে পা মিলিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কার মা মধু চোপড়াও। ছিলেন প্রিয়ঙ্কার ফেভারিট কাজিন পরিণীতিও। দেখে নিন, তারই কয়েক ঝলক…
ছবি তো অনেক হল, এবার আঁখোঁ দেখা হাল, মানে ভিডিয়ো! এগুলি না দেখলে বুঝতে পারবেন না যে স্ত্রীকে নিয়ে ঠিক কতটা আদিখ্যেতা করেছেন নিক জোনাস!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!