এপার আর ওপার, দুই বাংলাতেই এখন তিনি পরিচিত মুখ। তাঁর সুরের মূর্ছনায় মুগ্ধ আপামর বাঙালি। তিনি যে লম্বা রেসের ঘোড়া, তা মেনে নিয়ে নিয়েছেন শান্তনু মৈত্রের মতো সুরকারও। ইতিমধ্যে সারেগামাপার মঞ্চে শান্তনুর সুরে গেয়ে ফেলেছেন মৌলিক গান। গেয়েছেন ‘ভিঞ্চি দা’এর মতো সিনেমাতেও। অল্প দিনেই এত সাফল্য পেয়ে কেমন লাগছে মইনুল হাসান নোবেলের? তাঁর এত দিনের জার্নিটাই বা কেমন ছিল? সারেগামাপার সেটে POPxo বাংলার সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিতে-দিতে সব প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন মইনুল হাসান নোবেল (Moinul Hasan Nobel)।
আপনার জনপ্রিয়তা তো আকাশ ছুঁয়েছে। ইতিমধ্যেই শান্তনু মৈত্রের মৌলিক গানও গেয়ে ফেলেছেন। এত সাফল্য পেয়ে কেমন লাগছে?
শান্তনু স্যারের সুরে মৌলিক গান গাওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে সত্যি ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। এমন সুযোগ পাব, তা ভাবিনি কখনও। কিন্তু কোনও কিছুকেই বড় করে দেখছি না। তাতে মনোযোগ নষ্ট হতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে গায়কীর উপরেও। তাই এই সব কিছু নিয়ে না ভেবে শুধু লক্ষ্য স্থির রেখে স্রোতের সঙ্গে ভেসে যেতে চাই। এই স্রোতে যাতে ভেসে থাকতে পারি, সেটাই চেষ্টা।
প্রায় প্রতিটা পারফরম্যান্সের পরেই বিচারকদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। শান্তনু মৈত্র যে আপনার সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুশি, তা অকপটে স্বীকারও করেছেন। ভাল কাজ করার প্রেরণা পান কোথা থেকে?
সেভাবে ভাবিনি কখনও। তবে একথা বলতে পারেন, শ্রোতারা যাতে কখনও নিরাশ না হন, সেই চেষ্টাই করে যাই। হয়তো এই ভাবনা থেকেই উৎসাহ পাই।
সারেগামাপার (saregamapa) মঞ্চে গান গাইবেন, এমন স্বপ্ন কি বরাবরই ছিল?
গানের চর্চা শুরু করেছিলাম অনেক আগে থেকেই। একটা ব্র্যান্ডও ছিল। কিন্তু কখনও ভাবিনি যে, কলকাতায় এসে এত লোকের সামনে গান গাওয়ার সুযোগ পাব। সারেগামাপার মতো রিয়্যালিটি শোয়ে আসার পরিকল্পনাও ছিল না। সবটাই হঠাৎ করে ঘটে যায়।
আরও পড়ুন: সারেগামাপার মঞ্চে প্রথম মৌলিক গান গেয়ে ইতিহাস নোবেলের! দাঁড়ালেন অ্যাসিড-আক্রান্তদের পাশে
হঠাৎ বলছেন কেন?
আসলে মায়ের খুব ইচ্ছে ছিল আমি সারেগামাপার মঞ্চে গান গাই। তাই বাংলা দেশে অডিশন শুরু হতেই সেখানে পৌঁছে যাই। নির্বাচিত হওয়ার পরে আসি কলকাতায়। তার পরের জার্নিটা তো সবারই জানা।
তার মানে ছোট থেকেই বাবা-মায়ের সাপোর্ট ছিল?
দ্বাদশ শ্রেণির পরে আর পড়াশোনা করিনি। বলতে পারেন, ছোট থেকেই পড়াশোনায় তেমন একটা মন ছিল না। গান নিয়েই মজে থাকতাম। তাই বলে ভাববেন না বাড়িতে গানের পরিবেশ ছিল। কিন্তু একথাও ঠিক যে, মায়ের উৎসাহেই আমার কলকাতায় আসা।
শুনেছি কলকাতার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক নাকি আজকের নয়?
একেবারে ঠিক শুনেছেন। আমার স্কুলিং কলকাতায়। হাজরার কেমব্রিজ স্কুলে পড়তাম আমি। সে সময় থেকেই গানের চর্চা শুরু।
কলকাতায় থাকাকালীনই নাকি প্রথম গিটার কিনেছিলেন?
একেবারেই! কলকাতায় আসার পরেও গানের চর্চা থেমে থাকেনি। সেসময়ই অনেকে মিলে চুটিয়ে গান গাইতাম। তখনই গিটার কেনার কথাটা মাথায় আসে। ৬০০ টাকায় কিনেও ফেলি একটা গিটার। গান-বজনা চলতে থাকে। তখনও ভাবিনি এত বছর পরে আবার কলকাতায় এসে গান গাইব।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!