ADVERTISEMENT
home / বলিউড ও বিনোদন
হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ ইরফান খান, মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি

হঠাৎই গুরুতর অসুস্থ ইরফান খান, মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি

দিন কয়েক আগে মাকে হারিয়েছেন ইরফান (Irrfan) খান। কিন্তু লকডাউনের কারণে শেষ দেখা হয়নি। এবার নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন। অভিনেতার অসুস্থতা এতটাই যে তাঁকে তড়িঘড়ি মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালের আইসিইউতে (ICU) ভর্তি করাতে হয়েছে। সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী সুতপা শিকদার এবং দুই ছেলে।

মাত্র চার দিন আগে ইরফানের মা সঈদা বেগম জয়পুরে মারা যান। লকডাউনের কারণে সেখানে পৌঁছতে পারেননি ইরফান। ব্রেনে টিউমার নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে লড়াই করছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই নাকি মায়ের শেষকৃত্যে পৌঁছতে পারেননি অভিনেতা। অসুস্থতার কারণেই কিছুদিন আগে তাঁর অভিনীত আংরেজি মিডিয়াম ছবির প্রোমোশনে থাকতে পারেননি। আপাতত তাঁর সুস্থতা কামনা করছে গোটা ইন্ডাস্ট্রি। 

ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর লন্ডনে দীর্ঘ চিকিৎসা চলেছে ইরফানের। সে সময় তাঁর পাশে ছিলেন স্ত্রী সুতপা। গত বছর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই লড়াইয়ের কাহিনি শেয়ারও করেছিলেন তিনি। সুতপা লিখেছিলেন, ‘গত বছরটা ছিল আমাদের জীবনের দীর্ঘতম বছর। যন্ত্রণা এবং আশা নিয়ে এক সঙ্গে সময় কাটে না। আমরা সবে জীবনে ফিরেছি। কাজে ফিরেছি। আর সারা পৃথিবী থেকে বন্ধুরা, আত্মীয়রা প্রার্থনা, শুভ কামনা জানিয়েছেন। শক্তি দিয়েছেন।… এটা অবিশ্বাস্য। এই প্রার্থনা আমাকে শক্তি দিয়েছে। এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁদের নামও জানি না, কিন্তু ঈশ্বরের মতো কাজ করেছেন। আলাদা করে সকলকে হয়তো উত্তর দিতে পারছি না। কিন্তু আপনারা আমাদের জীবনে যে কতটা, তা আমি জানি…।’

২০১৮তএ ইরফানের শরীরে বাসা বাঁধে নিউরোএন্ডোক্রিন টিউমার। চিকিৎসার প্রাথমিক স্তরে তিনি অসহিষ্ণু ছিলেন। ধীরে ধীরে চিকিৎসকদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে শুরু করেন। ইরফান বলেছিলেন, “সমস্যাটা তৈরি হচ্ছিল তখন, যখন লোকে আলোচনা করছিল, আমি এই রোগ থেকে আদৌ বেরিয়ে আসতে পারব তো? কিন্তু এটা তো আমার হাতে নেই। প্রকৃতি যেটা চাইবে সেটাই হবে। আমার হাতে যেটুকু আছে, সেটা নিয়ে আমি ভাবতে পারি। আমি ৩০ বছর মেডিটেশন করেছি। ফলে এটা আমি ভালই পারি।”

ADVERTISEMENT

ইরফানের অসুস্থতার কথা প্রকাশ্যে আসার পর চিকিত্সকরাও জানিয়েছিলেন, ‘নিউরোএন্ডোক্রিন টিউমার’ শরীরের যে কোনও জায়গায় হতে পারে। তবে মূলত অন্ত্র, ফুসফুস, অগ্ন্যাশয় ও এন্ডোক্রিন গ্ল্যান্ডগুলোতে হয়। এন্ডোক্রিন গ্ল্যান্ড ও স্নায়ুতন্ত্র থেকে এই ধরনের টিউমার তৈরি হয়। টিউমারগুলো থেকে ‘সেরোটনিন’ নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যার ফলে রোগীর শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন, আচমকা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক মাত্রায় বুক ধড়ফড়, হট-ফ্লাশ। শরীরের ঠিক কোন জায়গায় টিউমারটি হয়েছে, তার উপরেও নির্ভর করে উপসর্গ ঠিক কী হবে।

আপাতত একটাই প্রার্থনা। যত দ্রুত সম্ভব সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরুন অভিনেতা। 

https://bangla.popxo.com/article/a-chat-with-singer-iman-chakraborty-in-bengali

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

 

28 Apr 2020

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT