আটপৌরে শাড়ি। ফ্রিল দেওয়া ব্লাউজ। কায়দার খোঁপা, সোনার গয়নার সাজে উজ্জ্বল সিঁদুর টিপ। তবে সবথেকে নজর কাড়ে তাঁর কাজল কালো চোখ। সে অবশ্য তাঁর চোখের প্রেমে পড়েছেন অনেকেই। টেলিভিশনে তাঁর প্রথম কাজ ‘ঝাঁঝ লবঙ্গ ফুল’ থেকে বড়পর্দার ‘সোয়েটার’। সবেতেই দীঘল কালো চোখ ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রে। তিনি অর্থাৎ অভিনেত্রী ইশা (Ishaa) সাহা। ‘হইচই’-এর আসন্ন ছবি ‘ডিটেকটিভ’-এ (Detective) একেবারে অন্য লুকে ইশা। মুক্তি পাবে আগামী ১৪ অগস্ট।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাহিনি অবলম্বনে এই ছবি পরিচালনা করেছেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। ইশা অভিনয় করেছেন সুধামুখীর চরিত্রে। তাঁর কথায়, “রবি ঠাকুরের গল্প তো, অনেকেই নিশ্চয়ই পড়েছেন। তাই আলাদা করে গল্প বলে দেওয়া যাবে না। মহিমের বউ সুধামুখীর চরিত্রে অভিনয় করেছি। বিয়ের পর থেকে বরের হাবভাব ঠিক বুঝে উঠতে পারে না মেয়েটি। সে কারণেই একটু সন্দেহবাতিক। প্রায় সমবয়সী এক ননদ রয়েছে। সেই চরিত্রে ত্রিণা অভিনয় করেছে। তাকে সব সময় জিজ্ঞেস করে সুধামুখী, তোর দাদা কী করে বলত, ডিটেকটিভ নয়তো?”
এই ছবির মুখ্য চরিত্র মহিমচন্দ্র। অনির্বাণ ভট্টাচার্য রয়েছেন প্রধান চরিত্রে। প্রথমে থিয়েটার রিলিজের কথা ভেবেই এই ছবি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ডিজিটাল রিলিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ। ‘ডিটেকটিভ’ এসভিএফ-এরও প্রথম ডিরেক্ট ওটিটি রিলিজ। এই প্রসঙ্গে সংস্থার যুগ্ম কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি বলেন, “এই ছবিটার ডিজিটাল রিলিজ নিয়ে সত্যিই আমি উত্তেজিত। এটিই প্রথম বাংলা ছবি হইচই-তে যার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে। আমরা থিয়েটার রিলিজের কথাই ভেবেছিলাম। কিন্তু প্যানডেমিকের কারণে ডিজিটাল রিলিজ করতে হল।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনও লেখার উপর তৈরি ছবিতে এই প্রথম কাজ করলেন ইশা। জানালেন, তা নিয়ে একটু টেনশনও রয়েছে। লকডাউনের আগে দু’দিন শুটিং হয়েছিল। তারপর করোনা আতঙ্কে কাজ বন্ধ ছিল। ফের আনলক ওয়ানে শুটিং করেছে গোটা টিম। সাহিত্যের আধারে ছবি তৈরি হলে, পাঠকদের কাছে সেই চরিত্রদের নিয়ে আগে থেকেই একটা কল্পনা থাকেই। ফলে শিল্পী হিসেবে সেই কাজ কতটা চ্যালেঞ্জিং? এই প্রশ্নের উত্তরে ইশা বললেন, “বইতে যা লেখা রয়েছে, একেবারে সেটাই তো ছবিতে দেখানো যায় না। সিনেম্যাটিক লাইসেন্স বলে তো একটা ব্যাপার রয়েছে। ফলে আমি দর্শকের কাছে অনুরোধ করব, কম্পেয়ার না করাই ভাল।”
এই মুহূর্তে আরও কিছু কাজের কথা চলছে ইশার। কিন্তু তা নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চাইলেন না। ‘সহবাস’ তৈরি হয়ে গিয়েছে। করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউন পরিস্থিতি না হলে, এতদিনে হয়তো ‘গোলন্দাজ’-এরও শুটিং শেষ হয়ে যেত। ফলে এই বছর ইশার এই দুটি ছবি মুক্তি পেত। আপাতত তা স্থগিত রয়েছে। ওয়েব প্ল্যাটফর্মে তাঁর নতুন ছবিতে কী ফিডব্যাক আসে, সেটাই এখন দেখার।