ঈশান খট্টর (Ishaan Khatter)। বলিউডের (Bollywood) আপকামিং হিরো। না! আপকামিংই বা বলি কী করে? মাজিদ মাজিদির পরিচালনায় যাঁর অভিনয়ের হাতে খড়ি, তাঁকে আর নতুনই বা বলা যায় কী করে? বিখ্যাত পরিচালকের হাত ধরে শুরু করেছিলেন ঠিকই। কিন্তু সে ছবি সাধারণ মানুষের মনে তেমন ছাপ ফেলতে পারেনি। সেই সুযোগও এসেছে ঈশানের কেরিয়ারে।
শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী কপূরের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘ধড়ক’-এ অভিনয় করেন ঈশান। রোম্যান্টিক জুটি হিসেবে দর্শক মহলে প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিলেন তাঁরা। সেই থেকে শুরু অনুরাগীদের অপেক্ষা। নতুন ভক্ত তৈরি হয় নায়কের। ফলোয়ারের সংখ্যা সোশ্যাল মিডিয়ায় হু-হু করে বাড়তে থাকে। শুরু হয় নতুন অপেক্ষা। কবে আবার ঈশানকে বড়পর্দায় দেখা যাবে, তা নিয়ে কৌতূহল শুরু হয় সিনে মহলেও।
সেই অপেক্ষার এবার অবসান। নতুন প্রজেক্টের কথা নিজেই জানালেন ঈশান। এ বারও বড় ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ঈশানের পরের ছবি মীরা নায়ারের (Mira Nair) পরিচালনায়। ছবির নাম ‘আ সুটেবল বয়’। এটি বিক্রম শেঠের বিখ্যাত উপন্যাসের স্ক্রিন অ্যাডাপ্টেশন। সেখানে মন কপূরের ভূমিকায় অভিনয় করবেন তিনি।
ঈশান গতকাল নিজের সোশ্যাল ওয়ালে লিখেছেন, “বলতে ভাল লাগছে, মীরা নায়ারের পরের ছবিতে অভিনয় করছি। চরিত্রের নাম মন কপূর। এটি বিক্রম শেঠের লেখা আ সুটেবল বয়ের অ্যাডপ্টেশন। এটা আমার কাছে শুধু আনন্দের খবর নয়। খুব গর্বেরও বিষয়। মীরা নায়ারের মতো একজন অসাধারণ পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাব। তা ছাড়া দুর্দান্ত টেকনিশিয়ানদের টিমও থাকবে। আশা করছি ভাল ভাবে কাজটা করতে পারব। আর গ্লোবাল অডিয়েন্সের কাছে চরিত্রের যথার্থতা তুলে ধরতে পারব।’’
ব্ল্যাক টি শার্ট পরা ছবি পরে এই মেসেজটি শেয়ার করেছেন ঈশান। সেখানে তাঁকে বয়সের তুলনায় অনেক বেশি পরিণত এবং ফোকাসড দেখতে লাগছে বলে মত সিনেপ্রেমীদের। মীরার ছবিতে তাঁর সঙ্গে কারা অভিনয় করবেন, তারও একটা আভাস দিয়েছেন ঈশান। তিনি তব্বু এবং নতুন মুখ তান্না মানিকতার ছবি শেয়ার করেছেন ওই একই পোস্টে। অর্থাৎ মীরার ছবি কাস্ট লিস্ট অনেকটাই রিভিল হল।
‘আ সুইটেবল বয়’ স্বাধীন ভারতের প্রেক্ষাপটে লেখা একটি গল্প। যেখানে কয়েকটি পরিবার মেয়ের বিয়ে দিতে চায় ‘সুইটেবল’ অর্থাৎ মানানসই পাত্রের সঙ্গে। নিঃসন্দেহে ঈশানের কাছে এটি চ্যালেঞ্জিং রোল। তিনি শেখারও প্রচুর সুযোগ পাবেন। আর তা ষোলো আনা কাজে লাগাবেন বলেই মনে করেন তাঁর অনুরাগীরা।
সম্পর্কে ঈশান হলেন শাহিদ কপূরের ভাই। শাহিদ কেরিয়ারের দিক থেকও সিনিয়র। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মীরা বা মাজিদির ক্যাম্পে ছবি করার শিকে ছেঁড়েনি। শাহিদ নিজেকে প্রমাণ করেছেন। বক্স অফিসেও ভাল রেজাল্ট করেছে তাঁর ছবি। কিন্তু ক্লাস অডিয়েন্সের কাছে এখনও বোধহয় সে ভাবে পৌঁছনো হয়নি। অথচ তাঁর ভাই পর পর ভাল সুযোগ পাচ্ছেন। সেই অর্থে তিনি এখনও তেমন ব্যবসায়িক সাফল্য দিতে পারেননি। অর্থাৎ ইন্ডাস্ট্রিতে নতুনই বলা যায়। তা হলে একের পর এক এত ভাল সুযোগ পাচ্ছেন কোন রসায়নে, তা নিয়েও আলাদা চর্চা শুরু হয়েছে ইন্ডাস্ট্রির কোনও কোনও মহলে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!