সম্পর্কে আমাদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। একাধিক কঠিন সময় আসে, যখন আমাদের দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই দৃঢ় সিদ্ধান্তগুলি নেওয়ার সময় আমাদের সবসময় নিজের ভাল থাকাকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ, আপনি ভাল থাকলেই সবাই ভাল থাকবে। অনেকসময় আপনার ও আপনার সঙ্গীর মধ্যে সম্পর্কে প্রাইভেসি(privacy) নিয়ে অশান্তি নয়। কখনও আপনি তাঁর ব্য়ক্তিগত পরিসরে চলে যান, আবার কখনও তিনি আপনার ব্যক্তিগত পরিসর-এ ঢুকে পড়েন। আসলে দুজন মানুষ একসঙ্গে থাকতে থাকতে নিজেদের ব্যক্তিগত পরিসরটি( privacy in a relationship অনেকটাই এক হয়ে যায়।
তবু ব্যক্তিগত পরিসর তো ব্যক্তিগত পরিসরই। তাই একটু এধার ওধার হলেও কখনও বিষয়টি যেন এমন না হয়ে যায় যে, আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আপনার পার্টনার বারবার প্রশ্ন করছেন। যদি তা হয়ে থাকে, তা ঠিক নয়। অনেক সম্পর্কেই বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড ফেসবুক, ই-মেল, মোবাইলের পাসওয়ার্ড একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করেন। কেউ সম্মতিতে করেন, আবার অনেক সময়ে পার্টনার পাসওয়ার্ড (privacy) শেয়ার করার জন্য জোর করেন। এখানেই মুশকিল। তখন আমরা এই দ্বন্দ্বে পড়ি, আমাদের কি পাসওয়ার্ড শেয়ার করা উচিত না কি নয়! এছাড়াও আপনি কী পরবেন, কী করবেন সেই নিয়েও সিদ্ধান্ত জানাতে থাকেন আপনার সঙ্গী। তা হলেও সমস্যা।
সঙ্গী পাসওয়ার্ডের জন্য জোর (privacy) করেন?
আপনারও কি এরকম পরিস্থিতি? পার্টনার প্রতি মুহূর্তে আপনার ফেসবুক ও ই-মেল পাসওয়ার্ডের জন্য জোর করছেন? না হলে সম্পর্ক ভেঙে দেবে বলছেন? আপনি কী করবেন, বুঝতে পারছেন না তাই তো? প্রথমেই বলি, আপনার ফেসবুক বা ই-মেল অত্যন্ত ব্যক্তিগত। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পাসওয়ার্ড বা দরকারি ই-মেলের পাসওয়ার্ড কখনও কারও সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। কিন্তু আপনি যদি মনে করেন, সম্পর্ক বাঁচানোর জন্য পাসওয়ার্ড শেয়ার করাই যায়…তবে ভুল করছেন। ফেসবুক পাসওয়ার্ডে সম্পর্কের বিশ্বাস নির্ভর করে না। আমাদের সবসময়ই নিজেদের ভাল থাকা, নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। আপনার পার্টনার যদি সামান্য পাসওয়ার্ড শেয়ারেরে জন্য আপনার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দিতে চান, তবে সেই সম্পর্কের ভিত আদৌ মজবুত তো?
আপনি কোথায় যাবেন, কার সঙ্গে কথা বলবেন সেই নিয়ে মতামত জানাতে চান
আপনি কোনও বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গেলেও তাকে জানিয়ে যেতে হয়। আপনার জীবন নিয়ে সব সময়ই তিনি মতামত দিতে চান। একইভাবে আপনি কার সঙ্গে কথা বলবেন কার সঙ্গে কথা বলবেন না তাও ঠিক করে দিতে চান তিনি। এই নিয়ে আপনাদের মধ্য়ে অশান্তি চলতে থাকে।
আপনার ব্যক্তিগত পরিসর বলে কিছু নেই
আপনার জীবনে গোপনীয়তা বলে কিছু নেই। আপনার সঙ্গী সব সময়ই আপনাকে ফোন বা মেসেজ করতে থাকে। আপনার অফিসের কাজের মধ্য়ে কিংবা আপনার পড়াশোনার মধ্য়েও প্রায়ই তাঁর ফোন আসতে থাকে। তাঁকে বার বার বলার পরেও তিনি সেই কথা শুনতে রাজি নন। তাঁর সঙ্গে ছাড়া পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো সময় আপনার কাছে থাকে না।
সবসময় মনে রাখবেন, আপনার ব্যক্তিগত পরিসর (privacy) আপনার একান্তই নিজের (privacy in a relationship)। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের রাইট টু প্রাইভেসি রয়েছে। আপনারও রয়েছে। আপনি সেটি কখনও ভুলে যাবেন না। আপনার সম্পর্কের ভিত তৈরি হয় বিশ্বাস ও ভরসা দিয়ে। যদি কেউ আপনাকে বিশ্বাস না করতে পারেন, তবে সেটা তাঁর সমস্যা। আপনার নয়। আপনি নিজের ভাল থাকায় গুরুত্ব দিন, নিজেকে ভাল রাখুন সবার আগে। যিনি আপনাকে ভালবাসবেন, তিনি আপনাকে বিশ্বাস করবেন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!