করোনা ভাইরাসে (coronavirus) আক্রান্ত বলিউড গায়িকা কণিকা (Kanika) কপূর। তিনি চিকিৎসাধীন। গত ২৯ মার্চ চতুর্থবার তাঁর পরীক্ষা হয়। তখনও করোনা পজিটিভ দেখা যায় কণিকাকে। সূত্রের খবর, মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। তার প্রতিফলন ঘটেছে ইনস্টাগ্রাম পোস্টেও। তিনি আশা করছেন, পঞ্চমবার টেস্ট হলে হয়তো তাঁর নেগেটিভ হবে।
কণিকা লিখেছেন, “আমি বিছানায় শুয়ে শুয়েই আপনাদের সকলকে ভালবাসা পাঠালাম। বাড়িতে থাকুন। সুস্থ থাকুন। আপনারা যে আমার এত খোঁজ নিচ্ছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তবে আইসিইউতে নেই আমি। আশা করছি পরের টেস্টটা নেগেটিভ হবে। অপেক্ষা করছি, কবে বাড়ি যেতে পারব। আমার পরিবার, আমার সন্তানরা রয়েছে। ওদের খুব মিস করছি।”
৪১ বছরের কণিকা কিছুদিন লন্ডনে থাকার পর লখনউতে ফিরে আসেন গত ১৫ মার্চ। দেশে ফেরার পর পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে একটি পাঁচতারা হোটেলে কণিকা পার্টি করেছেন বলে খবর। বেশ কিছু আমলা, রাজনীতিবিদরাও সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গত ২০ মার্চ কণিকার করোনা ধরা পড়ে।
এদিকে কণিকার বাবা রাজীব কপূর কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, লন্ডন থেকে লখনউ ফেরার পর একটা নয়, পর পর তিনটি পার্টিতে গিয়েছিলেন কণিকা। ফলে ভয়াবহ এই ভাইরাস আরও কতজনের দেহে সংক্রামিত হয়েছে, তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। রাজীব জানিয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ছয় জন সদস্যেরও টেস্ট হয়েছে। তাঁরা আইসোলেশনে রয়েছেন।
ইতিমধ্যেই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপের মুখে পড়েছেন কণিকা। যদিও তাঁর পরিবারের অন্য কোনও সদস্যের এখনও পর্যন্ত করোনা ধরা পড়েনি। সব মিলিয়ে আপাতত তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন অনুরাগীরা।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যু হল দ্বিতীয় করোনা-আক্রান্তের। রবিবার গভীর রাতে কালিম্পঙের বাসিন্দা ৪৪ বছরের ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ১৬ মার্চ ওই মহিলা চেন্নাই থেকে ফিরেছিলেন। তিনি চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন মেয়ের চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ফেরার পর থেকেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে স্থানীয় ভাবেই তিনি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু অসুস্থতা দিন দিন বাড়তে শুরু করে। জানা গিয়েছে, এর পর তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হলে গত ২৫ মার্চ তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনাভাইরাসের সব রকম লক্ষণই থাকায় তাঁর নমুনা নাইসেডে পাঠানো হয় সেখান থেকে। রিপোর্টও পজিটিভ আসে। কিন্তু কোনও চিকিৎসাতেই সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। ক্রমে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। এ দিকে নয়াবাদের প্রৌঢ়ের অবস্থাও সঙ্কটজনক। শ্বাসকষ্টের জন্য ভেন্টিলেশনে রয়েছেন তিনি। আপাতত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০২৪। মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!