সে কোন যুগে সেফ আলি খান (Saif Ali Khan) নিজের হাতের উপর লিখেছিলেন…না, না দিওয়ার ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের মতো নিজের বাবাকে নিয়ে উনি কিছু লেখেননি। তখন সদ্য হাঁটুর বয়সি করিনার (Kareena Kapoor) প্রেমে পড়ে হাতের উপর খুব ঘটা করে সংস্কৃত না পালি ভাষায় লিখলেন করিনা (Kareena)! ব্যস!সেই নিয়ে কী আদিখ্যেতা, মাগো মা! তাপ্পর মিডিয়া করল এর নামের ল্যাজা আর ওর নামের মুড়ো দু’খানা জুড়ে বানিয়ে দিল সইফিনা! বাবা, আর পারি না!! তারপর থেকে ওই দু’খানা নাম জুড়ে যুগলে নাম দেওয়া এক্কেবারে ফ্যাশন হয়ে গেল। হলিউডে ব্র্যাঞ্জেলিনার জুটি তো ভেঙে গেছে। এখানেও সবাই ভেবেছিল সেরকম কিছু একটা হবে। একে তো সইফ (Saif Ali Khan) পেত্থমবার বিয়ে করলেন এমন একজনকে, যিনি তাঁর চেয়ে বয়সে বড়। তখনও সবাই এ মা, ছি ছি করল। বলে, এ বাবা বউ বড়, বর ছোট। পরের বার উল্টোটা করলেন, তাতেও ছেলের নিস্তার নেই গো। নিন্দুকে-নিন্দুকে দেশটা ভরে গেছে। সেই কোন ছোট্টবেলায় দিদি করিশমার কোলে চেপে বেবি অবস্থায় বেবো সিনেমার শুটিং দেখতে আসতেন। আর সইফ তখন খুকিকে গুলুগুলু বলে আদর করতেন আর টফি কিনে দিতেন, সেই সব ছবি সামনে এল। কোত্থেকে যে এসব ছবি লোকে খুঁজে পায়, কে জানে বাবা।
ছবি সৌজন্য ইনস্টাগ্রাম
সবাই বলল, দেখবে এ বিয়ে একদম টিকবে না। তা শত্তুরের মুখে ছাই দিয়ে সেই বিয়ে দিব্যি টিকে গেল। অবিশ্যি এখন অন্য বলিউডি যুগলরা যা করেন, মানে লোক দেখিয়ে এবং লোকের সামনে টুকুর-টুকুর ভাব ভালবাসা দেখানো, ওসব সেফ আর করিনা করেননি খুব একটা। ওঁরা রাজা… থুড়ি নবাব তো, তাই ওঁদের ব্যাপার আলাদা। তবে নিজেরা বেশি প্রেম পিরিতি না দেখালেও মিডিয়া যাতে চব্বিশ ঘণ্টা ওত পেতে বাড়ির সামনে বসে থাকে তার ব্যবস্থা করে রেখেছেন দু’জনে। এমন একখানা ব্রহ্মাস্ত্র ছেড়ে রেখেছেন যাতে মিডিয়া আর অন্য কারও ছবি তোলার ফুরসতই না পায়। আর সেই মিসাইলের নাম তৈমুর আলি খান! সে নীল জামা পরে লাল হাঁচি দিল কিংবা তার দুধের বোতলে মাছি পড়ল, খবর হয়ে গেল। উনোর মধ্যে ধুনো দিতে আছে তৈমুরের ন্যানি। তার মাইনে কত, রাজার ছেলে সামলাতে তার কেমন লাগে, সেসব নিয়েও খবর হয়! ভাবুন একবার! আমার তো মনে হয়, তৈমুরের ন্যানিকে দেখার জন্য সেফ আর করিনা আরও দশটা ন্যানি রেখে দিয়েছেন!
তবে বউ তো এদ্দিনে পুরনো হয়ে গেছে, আর বর তো সেই শালগ্রাম শিলার মতো আছেনই অনেকদিন ধরে। এখন একটু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম দেখালে দোষ নেই। আর সেটাই করলেন করিনা। সেফ একখানা মস্ত গোঁফ রেখেছেন, তা দেওয়ার জন্য। আর সেই গোঁফ নিয়েই বউ একটু মুচ নেহি তো কুছ নেহি খেললেন! মুহূর্তে সেই ছবি ভাইরাল। আমাকে তুলে নাও ভগবান!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!