ঝকঝকে রান্নাঘর কে না চায়, তার জন্য় একটু পরিশ্রমও করতে হবে তো!
রান্না করতে গেলে তো একটু মশলা স্ল্যাবে পড়বেই । একইভাবে কড়াইতে মাছ ছাড়লে তেল ছিটকে কিছুটা টাইলসে লাগবে । আবার ওভেনও পড়বে কিছুটা । যত রান্না হবে, রান্না ঘর ততই কালিমাখা হবে । কিন্তু তা হতে দিলে কি আর চলে ? রান্নাঘর পরিষ্কার না থাকলে যে রান্না করতেই মন চায় না । পাশাপাশি নোংরা হলে বাড়ে আরশোলার উপদ্রব । নিয়মিত রান্নাঘর পরিষ্কার করতে হবে । সবসময় ঝকঝকে রান্নাঘর পাওয়ার জন্য মেনে চলতে হবে কয়েকটি ছোট্ট টিপস ( kitchen cleaning tips ) !
টাইলস সব সময় পরিষ্কার রাখুন ( kitchen cleaning tips )
রান্নার পরপরই টাইলস পরিষ্কার করে নিন । ( kitchen cleaning tips )নিয়মিত পরিষ্কার না করলে তরকারির ঝোল, দাগ টাইলসের গায়ে জমতে থাকবে । ওই দাগ জমে শক্ত হয়ে গেলে তা ওঠানো মুশকিল । রান্নার সময়ে পাশে কাপড় রাখুন । কিছু ছিটকে দেওয়ালে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে মুছে নিন। নয়তো তা শুকিয়ে গেলে ওঠানো মুশকিল হবে ।

স্ল্যাব নিয়মিত পরিষ্কার করুন
রান্নার গ্যাসের আশপাশের অংশ রান্নার শেষে অবশ্যই মুছবেন । অল্প গরম জলে ডিসওয়াশার মিশিয়ে নিয়ে তা দিয়ে স্ল্যাব মুছে নিতে পারেন । এতে দাগ লেগে থাকবে না । একইভাবে ওয়াইপ-স্পঞ্জে এক ফোঁটা ডিশওয়াশার মিশিয়ে ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডারের বাইরের অংশ রোজ পরিষ্কার করতে পারলে ভাল হয় । নিয়মিত না করলে শুকনো ময়দা, তরকারির ঝোল স্ল্যাবে লেগে থাকবে । তা তুলতে কষ্ট হবে ।
ওভেন পরিষ্কার রাখুন ( kitchen cleaning tips )
রান্নাঘরে (kitchen ) সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ আপনার ওভেন । সেটি যেন কখনওই অপরিষ্কার না থাকে । কারণ, ওখানেই আপনি রান্না করছেন । রান্না করার সময় বা রান্নার পর পরই ওভেন মুছে নিন । কোনও দাগ জমতে দেবেন না । মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ক্ষেত্রে একটি বাটিতে জলের মধ্যে ভিনিগার বা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে তা ওভেনে গরম করুন । কয়েক মিনিট পরে বার করে নিন । সেই বাষ্প ওভেনের ভিতর চারপাশে লেগে যাবে । কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
সিঙ্কে জল জমতে দেবেন না
রান্নাঘরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সিঙ্ক । সারাদিনের যাবতীয় বাসন জমা হতে থাকে । এই নালি দিয়েই আরশোলা উঠে আসতে পারে আপনার রান্না ঘরে । খাবারের অবশিষ্টাংশ কখনওই সিঙ্কে ফেলবেন না । তা নালিতে আটকে গিয়ে জল আটকে দিতে পারে । ফলে সিঙ্ক থেকে জল পরিষ্কার করা খুবই কষ্টের হবে । বাসন থেকে খাবারের অবশিষ্টাংশ ডাস্টবিনে ফেলে দিন । সেই বাসন সিঙ্কে রাখুন । যত দ্রুত সম্ভব বাসন ধুয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন । সিঙ্কে জল জমতে দেবেন না । সবশেষে ডিশওয়াশার সিঙ্কের নালিতে একটু দিয়ে দিতে পারেন । জল চালিয়ে দিন । পাইপটিও ধুয়ে যাবে ।
ব্যবহার করুন আরশোলা মারার ওষুধ
রান্নাঘরে আমরা খাবার রাখি । কাঁচা সবজি ও ফলও খোলা রাখা থাকে । তাই সব সময় খেয়াল রাখা প্রয়োজন, রান্নাঘরে (kitchen ) যেন কোনওভাবেই না পোকামাকড় বা আরশোলার উপদ্রব না বাড়ে । তাহলেই বিপদ ! কোনওভাবে খাবারে জীবাণু ছড়ালে তা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর হয়ে ওঠে । তাই রান্নাঘরের প্রতিটা কোণে, সিঙ্কের পাইপের নিচে এবং সিঙ্কের পাইপের মধ্যেও স্প্রে করুন আরশোলা মারার ওষুধ । যেন কোনওভাবে ওরা আপনার রান্নাঘরে ঠাঁই না পায় ( kitchen cleaning tips ) । খাবার কখনও খোলা রাখবেন না ।
কৌটো ঢাকা জায়গায় রাখুন ( kitchen cleaning tips )
রান্নাঘর খোলামেলা হলে জিনিস চিটে কম হয় । ফ্রিজ, ওভেন, মশলার তাক সুদৃশ্য ঢাকনায় ঢেকে রাখলে ভাল হয় । ছোট রান্নাঘরের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ হয়তো থাকে না । সে ক্ষেত্রে মশলার কৌটো ক্যাবিনেটে ভরে রাখুন । পাল্লাও বন্ধ রাখুন । এতে সেগুলি রান্নার তাপ ও ঝুল থেকে রেহাই পাবে । মশলার কৌটো নিয়মিত পরিষ্কার করুন । তাক পরিষ্কারের ( kitchen cleaning tips ) জন্য বাজারে প্রচুর লিকুইড ক্লিনার মেলে । তাতে স্ক্রাবার ভিজিয়ে সপ্তাহে যতবার সম্ভব পুরো জায়গাটা মুছে নিন । তাতে রান্নাঘর জীবাণুমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন থাকবে ।

ঝুল পরিষ্কার করুন
ওভেন, স্ল্যাব, সিঙ্কের পাশাপাশি রান্নাঘরের দেওয়াল ও সিলিংও পরিষ্কার রাখা জরুরি । রান্নার তেল ও ধোঁয়ায় প্রচুর কালো ঝুল হয় দেওয়ালে । যা আপনার দেওয়াল নোংরা তো করেই, পাশাপাশি দেখতেও খুব খারাপ লাগে । সপ্তাহ শেষে কাজের চাপে হয়তো সেই ঝুল পরিষ্কার করা হয়ে ওঠে না । কিন্তু মাসে অন্তত একবার সেই ঝুল পরিষ্কার করুন । রান্নাঘরে চিমনি, হুড, এগজস্ট ফ্যান থাকলে ধোঁয়া, তেল বাষ্প হয়ে বাইরে বেরিয়ে যাবে । তবে সেগুলোরও নিয়মিত সাফাই জরুরি । পেশাদারকে ডেকে বছরে দু’বার চিমনি সার্ভিসিং করান । চিমনির চারপাশ রোজ ভিজে কাপড়ে মুছে দেবেন ।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!