কম বেশি আমরা সবাই মোমো খেতে খুব ভালবাসি। কয়েক বছরে কলকাতার স্ট্রিট ফুডের তালিকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই খাবার। রমরমিয়ে চলেছে তার লোভনীয় পসার। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার শরীরের জন্য়েও মোমো ক্ষতিকারক হতে পারে? মাংস কিংবা সবজির পুরে ঠাসা এই নরম লোভলীয় খাবার সত্য়িই কিন্তু ক্ষতিকারক (momos are dangerous) । কেন খুব বেশি মোমো না খাওয়াই ভাল, তারই কয়েকটি কারণ জানাব আপনাকে। মোমো খাওয়া ক্ষতিকারক কেন বুঝবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট এবং ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট,ক্যাটারিং অ্যান্ড নিউট্রিশন-এর আধিকারিকদের করা এক সমীক্ষায় বেশ কয়েকটি তথ্য় প্রকাশ্যে এসেছে। সেই তথ্য অনুযায়ী, সাধারণত যে যে উপকরণগুলি ব্যবহার করে মোমো তৈরি (momos are dangerous for you) করা হয়ে থাকে, সেগুলির একটাও স্বাস্থ্যকর নয়। দিনের পর দিন এই সব ক্ষতিকর উপাদানগুলি শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করলে তো আরও বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
সমীক্ষায় এই বিষয়টি পরিষ্কার যে, বেশিরভাগ দোকানেই মোমো তৈরিতে যে রিফাইন্ড ময়দা ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাতে মজুত থাকে প্রচুর মাত্রায় অ্যাজোডিকার্বোনামাইড, কলরিনেগাস, বেনঞ্জল পারঅক্সাইড সহ আরও নানাবিধ ক্ষতিকর কেমিক্যাল যা মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে অগ্ন্যাশয়ের। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় বেড়ে।
একাধিক রিপোর্টে এই উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে যে, স্ট্রিটফুড হিসেবে যে মোমো বিক্রি হয়, বেশিরভাগ দোকানেই মৃত মুরগির মাংস ব্যবহার (momos are dangerous for you) করা হয়ে থাকে। এমন ধরনের খারাপ মানের মাংস দিনের পর দিন খেয়ে গেলে কী হতে পারে, তা নিশ্চয় আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না! এই কারণেই এমন রাস্তার খাবার খেতে মানা করছেন চিকিৎসকেরা।
খারাপ মাংস ব্যবহার করেই থেমে থাকেন না এই সব বিক্রেতারা। আরও বেশি মাত্রায় লাভের আশায় কম দাম দিয়ে কিনে আনেন কেমিক্যাল এবং জীবাণু ভর্তি খারাপ মানের সবজিও। আর তাই দিয়েই বানিয়ে ফেলা হয় মোমোর পুর। শুধু তাই নয়, সবথেকে ভয়ের বিষয় হল এই ধরনের সবজিতে সন্ধান মিলেছে ই.কোলাই-এর মতো ব্যাকটেরিয়ার, যা শরীরে একবার প্রবেশ করা মানে সংক্রমণ নিশ্চিত।
গরম গরম স্টিম মোমোর সঙ্গে ঝাল ঝাল চাটনি, উফফ এই কম্বিনেশনটা জাস্ট ফাটাফাটি, তাই না? তা তো বটেই! কিন্তু জানা আছে কি এই এমন চাটনি বানাতে যে লঙ্কার গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তা ১০০ শতাংশ ভেজাল, যা দিনের পর দিন পেটে গেলে শরীর খারাপ হতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য!
কী এই এম এস জি? সহজ কথায় হল মনো সোডিয়াম গ্লটেমেট, যা খুঁজে পাওয়া গেছে রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া বেশির ভাগ মোমো এবং জাঙ্ক ফুডে। তাই জেনে রাখা ভালো যে এই ক্ষতিকর উপাদানটি যদি দিনের পর দিন শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করে, তাহলে কিন্তু ভীষণ বিপদ (momos are dangerous for you) ! কারণ সেক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!