দুর্গাপুজোর আমেজ কাটতে না কাটতেই এসে পরে লক্ষ্মী পুজো। দুর্গোৎসব শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে দেবীর পুজোর আয়োজন করা হয়। কোজাগরী শব্দটি এসেছে ‘কে জাগরী’ থেকে। এর হল অর্থ ‘কে জেগে আছে?’ এমন বিশ্বাস রয়েছে যে কোজাগরীর রাতে মা লক্ষ্মী নাকি ধন-সম্পদ প্রদান করতে যে কোনও সময় বাড়ির দোরগোড়ায় এসে ‘কে জাগরী’ বলে হাঁক দেন। সে সময় যাঁরা জেগে থাকেন, তাঁরাই নাকি বিপুল ধনে অধিকারী হন। তাই তো কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন আজও অনেকে সারা রাত জেগে বসে থাকেন দেবীর ডাকের অপেক্ষায়। এদিন আলতা রাঙা পায়ের চিহ্ন আঁকা হয় ঘরে ঘরে। ধন-সম্পদ এবং সমৃদ্ধি লাভের আশায় সারা দিন উপোস থেকে লক্ষ্মী পুজোয় অংশ নেন গৃহিণীরা। ফুল, ফল, মিষ্টি, নৈবেদ্য দিয়ে আরাধনা চলে মায়ের। আম বাঙালির পাশাপাশি ধনদেবীর আরাধনার মেতে ওঠে টলিউডও (Tollywood)। শুটিং থেকে ছুটি নিয়ে আলপনা আঁকা থেকে বাড়ি সাজানো, সবই করেন আমাদের পরিচিত টলি শিল্পীরা। কেউ-কেউ তো আবার ভোগ রান্নাতেও অংশ নেন। তবে টলি শিল্পীদের লক্ষ্মী (Lakshmi) পুজোর কথা উঠলেই মনে পড়ে যায় মহানায়ক উত্তম কুমারের বাড়ির পুজোর কথা। তিনি বেশ ঘটা করে কোজাগরী (Kojagiri) লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করতেন। সেই পুজো আজও চলছে। আর একালে অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যর বাড়ির পুজো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই চলুন না একবার ঘুরে আসা যাক মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar) এবং অপরাজিতা আঢ্যের বাড়ির লক্ষ্মীপুজো থেকে।
মহানায়কের বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো শুরু হয় ১৯৫০ সালে
শোনা যায় অভিনেতা ছবি বিশ্বাসের বাড়ির কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো দেখার পরেই নাকি মহানায়ক নিজের বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। সময়টা ১৯৫০ সাল। সে বছরই মহানায়ক উত্তম কুমারের ভবানীপুরের বাড়িতে প্রথম বার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়। সে সময় ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন করতেন মহানায়ক। বিশেষ ভোগ-মিষ্টি রান্না হত চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে। মহানায়ক চলে যাওয়ার পরে পুজোর জাঁকজমক কমলেও সেই ধারা এখনও বজায় রয়েছে। এখন পুজোর দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন চট্টোপাধ্যায় পরিবারের নতুন প্রজন্ম। মহানায়কের নাতি গৌরব এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা হাতে হাত মিলিয়ে পুজোর আয়োজন করে থাকেন। ভক্তি-নিষ্ঠা সহকারে দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠেন মহানায়কের পরিবার। টলিপাড়ার অনেকে চেনা মুখই সেদিন ভিড় জমান উত্তমবাবুর বাড়িতে। এই ভাবেই কোজাগরীর আরাধনার মধ্যে দিয়ে মহানায়কের বাড়ি হয়ে ওঠে প্রকৃত মিলনস্থল।
ভোগ রান্না থেকে আলপোনা দেওয়া সবই নিজে হাতে করেন অভিনেত্রী
প্রতি বছরই ঘটা করে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করে থাকেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। ফল কাটা থেকে পুজো সংক্রান্ত ছোট-বড় সব কাজই নিজের হাতে করতেই অভ্যস্ত অপরাজিতা। এক মুখে হাসি নিয়ে নারকেল কুড়াতে কুড়াতে ভোগের রান্নার তদারকি, সবই সমান তালে করে থাকেন তিনি। আঢ্য পরিবারে ভোগের মেনুতে খিচুড়ি, আলুর দম এবং লাবড়া তো থাকেই। সঙ্গে পরিবেশিত হয় চাটনি এবং মিষ্টিও। অপরাজিতার পুজোতে টলিপাড়ার অনেকেই সামিল হন। পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে জমে ওঠে অপরাজিতার বাড়ির লক্ষ্মী পুজো। এবছরও যে এর অন্যথা হবে না, তা তো বলাই বাহুল্য।
picture courtesy: youTube
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…