স্বপ্ন না সত্যি এখনও ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে যদি এটা হয় তাহলে যে হইহই কাণ্ড আর রইরই ব্যাপার হবে সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছে। ভারতের প্রথম আন্ডার (under) ওয়াটার (water) ট্রেন (train) প্রোজেক্টের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে এই কলকাতা (kolkata) শহরেই। হ্যাঁ, আপনি একদম ঠিক পড়েছেন। এই ঘোষণা করেছেন স্বয়ং রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। নিজের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে উনি হিন্দিতে একটি টুইট করেন। দেখুন রেলমন্ত্রীর বক্তব্য
इसके बनने से कोलकाता निवासियों को सुविधा, और देश को गर्व का अनुभव होगा।
भारत की पहली अंडर वॉटर ट्रेन शीघ्र ही कोलकाता में हुगली नदी के नीचे चलना आरंभ होगी। उत्कृष्ट इंजीनियरिंग का उदाहरण यह ट्रेन देश में निरंतर हो रही रेलवे की प्रगति का प्रतीक है।
इसके बनने से कोलकाता निवासियों को सुविधा, और देश को गर्व का अनुभव होगा। pic.twitter.com/MDzj42s5XZ
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) August 8, 2019
হ্যাঁ, এই বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে পুরো ব্যাপারটা খুব তাড়াতাড়ি ঘটতে চলেছে। রেলমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, হুগলি নদীর নীচ দিয়ে এগিয়ে চলবে এই ট্রেন। যেভাবে রেলের দক্ষ ইঞ্জিনিয়াররা এই বিষয় নিয়ে কাজ করছেন এবং ক্রমশ সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলেছেন, তা সত্যিই প্রশংসা করার মতো। এর থেকে প্রমাণ হয় যে, ভারতীয় রেলওয়ে কতটা উন্নত। যেদিন সবার স্বপ্ন সফল করে কলকাতায় এই ট্রেন চলবে সেদিন ভারতের ইতিহাসে এক গর্বের দিন হবে। কলকাতার মানুষদের কাছে অবশ্যই এটা একটা খুব ভাল খবর। বিশেষ করে নিত্যযাত্রী যারা, তাঁরা রীতিমতো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। প্রতিদিন কলকাতায় যে হারে জ্যাম আর যানজটের প্রকোপ বাড়ছে , নিত্যযাত্রীদের রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা হয়েছে। ১৬ কিলোমিটার লম্বা এই ইস্ট-ওয়েস্ট লাইন সল্ট লেকের সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত দুরন্ত গতিতে ছুটে চলবে। এখন এই প্রোজেক্টের ফেজ ওয়ানের কাজ খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ফেজ ওয়ান অনুযায়ী সল্ট লেকের সেক্টর ফাইভ থেকে সল্ট লেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত চলবে এই মেট্রো রেল। রেলমন্ত্রী আশা করছেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই ফেজ ওয়ান খুব তাড়াতাড়ি জনতার জন্য খুলে দেওয়া হবে। হুগলি নদীর জল যাতে কোনওভাবে এই টানেল বা সুড়ঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে তার জন্য আলাদা করে চারটি স্তরে এই টানেলকে সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভারতের বাইরে অন্যান্য দেশে জলের তোলা দিয়ে সুড়ঙ্গের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থা আছে। জাপানের সেইকান চ্যানেল বা সুড়ঙ্গ হল বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গ। এটি হোক্কাইডো দ্বীপ থেকে শুরু হয়ে আমোরি প্রিফেকচার পর্যন্ত গেছে। চিনেও নদীর নীচে রাস্তা তৈরি করার একটি বৃহত্তম প্রোজেক্ট শুরু হয়েছে। কিন্তু হুগলি নদীর নীচ দিয়ে ট্রেন চললে সেটা নিঃসন্দেহে একটি দারুণ ব্যাপার হবে কলকাতাবাসীর কাছে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!