অফিস কাছাড়ি থেকে বিয়েবাড়ি- দিব্যি আরামসে পরে চলে যাওয়া যায় যে পোশাকটা, সেটা হল কুর্তি (Kurti)। তাই বরাবরই কুর্তি (Kurti) পরতে পছন্দ করে টমবয় ঐশী। ও শাড়ি পরতে পছন্দ করলেও ঠিক ম্যানেজ করে উঠতে পারে না। তাই জিন্স-টপ আর কুর্তিই ওর ভরসা। এখন অবশ্য কুর্তিটাই বেশি পরে ঐশী। কারণ অফিস থেকে হামেশাই পার্টি, অনুষ্ঠান, বন্ধুদের আড্ডা- সব জায়গায় দারুণ দারুণ কুর্তি পরে চলে যায় ও। তবে একটা বিষয়, ও কখনও কুর্তি কেনে না। কারণ ঐশীর কেনা কুর্তি সে ভাবে পছন্দ না। তাই ও বরাবরই নানা রকম ডিজাইন (Kurti Design) দিয়ে কুর্তি বানিয়ে নেয়। কোনওটার নেকস্টাইল (Neck Style) ডিফরেন্ট, তো কোনওটার কাট আলাদা। আর যে হেতু ওর ফিগার ভাল, তাই সব স্টাইলের কুর্তিতেই ওকে বেশ মানিয়ে যায়। ওর কুর্তিগুলো প্রশংসাও পায় বেশ। আর ঐশী যে হেতু কুর্তি (Kurti) বানিয়ে পরে, তাই একঘেয়েও লাগে না।
আসলে কুর্তিটা (Kurti) যে কোনও মরসুমে, যে কোনও অনুষ্ঠানে পরে চলে যাওয়া তো যায়ই। আর যে কোনও বয়সের মহিলাই কুর্তি পরতে পারেন। সব থেকে বড় কথা, কুর্তি ক্যারি করতেও যেমন সুবিধা, আর বেশ আরামদায়কও বটে! এ বার জেনে নিন, কী ভাবে স্টাইলিশ (Stylish) কুর্তি (Kurti) বানিয়ে নেবেন।
অসাধারন কয়েকটি কুর্তির নেকস্টাইল
টেল কাট কুর্তি (Tail Cut Kurti) অনেকটা অ্যাসিমেট্রিকাল কুর্তির মতোই। পার্থক্যটা হল, টেল কাট কুর্তির পিছনের অংশটা একটু লম্বা। লাস্ট কয়েক সিজন ধরে স্টাইলিশ (Stylish) এই কুর্তি (Kurti) বেশ পপুলার। কমবয়সি থেকে মধ্যবয়সি- মহিলাদের এই স্টাইলটায় (Style) দারুণ লাগে। তবে লম্বা মহিলাদের এতে বেশি মানায়। পেটাইট, আওয়ার গ্লাস, পিয়ার ও ট্রাইঅ্যাঙ্গল শেপড বডিতে দারুণ যায় টেল কাট কুর্তি। তবে রাউন্ড বডি টাইপ হলে কখনওই ট্রাই করবেন না। আর অফিসে একেবারেই নয়, পার্টি অথবা কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানে লেগিংস অথবা জেগিংস এই ধরনের কুর্তি পরেই মধ্যমণি হয়ে উঠতে পারেন।
এই স্টাইলের (Style) কুর্তিও অ্যাসিমেট্রিক্যাল কুর্তির মধ্যেই পড়ে। অনেকটা টেল কাটের মতো। এটা স্ট্রেট স্টাইলের কুর্তির সামনের দিকের ঝুলটা পিছনের দিকের ঝুলের থেকে কম। এটাও কম থেকে মধ্য বয়সি মহিলাদের মানায়। আর এর পজিটিভ দিক হল- সব রকম বডিটাইপে এই কুর্তি (High Low Kurti) মানায়। ফুল অ্যাঙ্কল লেংথ লেগিংস, প্রিন্টেড জেগিংসের সঙ্গে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতে পরে চলে যান। তবে অফিস অথবা ফর্ম্যাল ইভেন্টে নৈব নৈব চ!
ফ্লেয়ার্ড কুর্তি (Flared Kurti) ভীষণই এলিগ্যান্ট (Elegant) আর স্টাইলিশ (Stylish)। আমার অত্যন্ত পছন্দের স্টাইল (Style)। আর সব থেকে ভাল ব্যাপার হল, এটা আপনি সব রকম ভাবে পরতে পারবেন। ফ্লেয়ার্ড কুর্তির (Kurti) ফ্লেয়ার বা ঘের সেটাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। কমবয়সি থেকে মধ্যবয়সি মহিলারা এটা ট্রাই করতে পারেন। তবে যাঁদের হাইট কম, তাঁদের না-ট্রাই করাই ভাল। এ ছাড়া, পিয়ার, ট্রাইঅ্যাঙ্গল শেপড বডিতে এটা দারুণ মানায়। ফর্ম্যাল কোনও ইভেন্টে এই স্টাইলের কুর্তি এড়িয়ে যান। অফিস, কলেজে রোজকার পরার জন্য একদম পারফেক্ট।
গরম আসছে, ফলে এই সময় হালকা-খোলামেলা কুর্তি (Kurti) দারুণ লাগবে। তা হলে ট্রাই করে ফেলুন, কাফতান স্টাইল কুর্তি (Kaftan Style Kurti)। এই স্টাইলের কুর্তি বেশ ঢিলেঢোলা। পরেও বেশ আরাম। নিঃসন্দেহে স্টাইলিশও (stylish) বটে! কম থেকে মধ্যবয়সি লম্বা মহিলাদের ভাল মানাবে। পিয়ার, রাউন্ড ও ট্রাইঅ্যাঙ্গল শেপড বডি হলে দিব্যি পরে নিতে পারেন। তবে কোনও ফর্ম্যাল ইভেন্টে কিন্তু পরবেন না। কলেজ অথবা রোজকার ড্রেস হিসেবে ট্রাই করতে পারেন। ফুল লেংথ লেগিংস বা জিন্সের সঙ্গে ভাল যায়।
এই স্টাইলটা (Style) ট্রাই করে দেখতে পারেন। আপনার রেগুলার কুর্তিই (Kurti), কিন্তু তাতে হালকা টুইস্ট। আর এই টুইস্টটাই আপনার পোশাকে একটা আলাদা মাত্রা যোগ করে। আর একটা স্বাতন্ত্র্য এনে দেয়। কুর্তির সামনের দিকে স্লিট অথবা সাইডে স্লিট আপনার কুর্তিকে স্টাইলিশ (Stylish) করে তোলে। তবে লেগিংসের সঙ্গে না, পালাজো বা ফ্লেয়ার্ড প্যান্টসের সঙ্গে ভাল লাগে ফ্রন্ট স্লিট কুর্তি (Front Slit Kurti)। এটাও আগেরগুলোর মতোই কম থেকে মধ্য বয়সি মহিলাদের মানাবে। বিশেষ করে যাঁদের ভাল হাইট, তাঁদের! পিয়ার, আওয়ারগ্লাস, ট্রাইঅ্যাঙ্গল শেপড বডিতে ভাল যাবে। আপনার রাউন্ড টাইপ বডি হলে এড়িয়ে চলুন। অফিসে, ডেলি ওয়্যার আর পার্টি ওয়্যার হিসেবে দারুণ।
শার্ট স্টাইল কুর্তি (Shirt Style Kurti) বেশ পপুলার। এক দিকে স্টাইলিশ, আবার অন্য দিকে কমফোর্টেবল। আসলে এই স্টাইলের কুর্তিগুলো ট্র্যাডিশনাল ও কনটেম্পোরারি স্টাইলের মিশ্রণ। স্টাইলিশ ভাবে সহজেই ক্যারি করতে পারা যায়। প্রায় সব বয়সের সব বডি টাইপের মহিলাদেরই ভাল লাগে। পার্টিতে এই ধরনটা এড়িয়ে যান। কারণ খুবই সিম্পল হয়ে যাবে সেটা। এমনিতে ডেইলি ওয়্যার, অফিস আর কলেজে পরে যেতে পারেন। ভাল লাগবে জিন্সের সঙ্গে। এ ছাড়া লেগিংস, জেগিংসের সঙ্গেও ট্রাই করতে পারেন।
বহু প্রাচীন কাল থেকে এই স্টাইলটা চলে আসছে। আর ফ্যাশনে সব সময়ই প্রায় ইন। এই স্টাইলের কুর্তিও আমার বেশ পছন্দের। স্টাইলিশ এই কুর্তি সব বয়সের সব বডি টাইপের মহিলাদেরই মানাবে। ডেইলিওয়্যার, পার্টি ওয়্যার, অফিসওয়্যার হিসেবে যাবে এই স্টাইলটা। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অঙ্গরক্ষা স্টাইলের জমকালো কাজ করা কুর্তি পার্টি বা অনুষ্ঠানের জন্য তুলে রাখুন। আর সুতির, প্রিন্টেড অঙ্গরক্ষা কুর্তি (Angrakha Kurti) ডেলিওয়্যার (Daily Wear) হিসেবে ব্যবহার করুন। আর ফুল লেংথ লেগিংসের সঙ্গে পরুন। তবে ক্যারি করতে পারলে পালাজোর সঙ্গেও দারুণ লাগে।
আনারকলি স্টাইলের কুর্তি (Anarkali Kurti) ভীষণ ভাবে ফ্যাশনে ইন। আর এথনিক লুকের জন্য এই স্টাইলের (Style) কুর্তি (Kurti) এক্কেবারে পারফেক্ট। আর কুর্তির ফ্যাব্রিক আর এমব্রয়ডরির অনুযায়ী প্রায় সব জায়গায় পরতে পারেন আনারকলি কুর্তি। কম থেকে মধ্যবয়সি ও যে কোনও বডি শেপের মহিলাদের জন্য ভাল। আর অ্যাঙ্কল লেংথ বা ফুল লেংথ লেগিংসের সঙ্গে দারুণ যাবে এই স্টাইলের কুর্তি।
প্রায় সব মহিলার ওয়্যার্ড্রোবেই পাওয়া যাবে এই স্টাইলের (Style) কুর্তি। যে কোনও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যে কোনও অনুষ্ঠানে চলে যাবে লং স্ট্রেট স্টাইলিশ কুর্তি (Long Straight Kurti)। সব বয়সের মহিলাদের জন্য পারফেক্ট। লম্বা, আওয়ারগ্লাস, পিয়ার শেপড, রাউন্ড আর ইনভার্টেড ট্রাইঅ্যাঙ্গল বডি টাইপে ধরনের কুর্তি দারুণ স্টাইলিশ (Stylish) লাগবে। ফ্যাব্রিক আর এমব্রয়ডরি অনুযায়ী সব জায়গাতেই ট্রাই করা যায় এই স্টাইলটা। পালাজো, ফুল অথবা অ্যাঙ্কল লেংথ লেগিংসের সঙ্গে পরতে পারেন লং স্ট্রেট কুর্তি।
এটা হালফ্যাশনে খুবই পপুলার। এই স্টাইলটা (Dhoti Style Kurti) আসলে হাই-লো, অ্যাসিমেট্রিক্যাল ও কাউল কাটের মিশ্রণ। ধুতি প্যান্টস (Dhoti Pants) অথবা লেগিংসের সঙ্গে কোনও পার্টিতে পরে চলে যান। সকলের নজর থাকবে আপনার উপরেই। আর সব বয়সের মহিলাদের দারুণ মানায়। তবে যাঁদের রাউন্ড অথবা পিয়ার শেপড বডি টাইপ, তাঁরা এড়িয়ে চলুন।
জ্যাকেট স্টাইল কুর্তির (Jacket Style Kurti) নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, কুর্তির উপর আলাদা করে একটা জ্যাকেট থাকবে। যেটা লং অথবা শর্ট দু’রকমই হতে পারে। সব বয়সের মহিলাদেরই ভাল লাগে। আর অফিস পার্টি যেখানে ইচ্ছে, লেগিংস ও পালাজোর সঙ্গে পরে যেতে পারেন।
এই ডিজাইন খুবই দেখা যায়। ফ্যান্সি, স্মার্ট আর সফিস্টিকেটেড এই স্টাইল কম থেকে মধ্য বয়সি মহিলাদের জন্য পারফেক্ট। অফিস পার্টিতে অথবা অফিসে পরে চলে যেতেই পারেন অ্যাসিমেট্রিক্যাল কুর্তি (Asymmetrical Kurti)।
ডাবল লেয়ারড কুর্তি (Double Layered Kurti) আপনার রেগুলার স্ট্রেট কাট অথবা লং কুর্তি (Kurti) স্টাইলের (Style) মতোই। শুধু উপরে একটা এক্সট্রা লেয়ার থাকবে। ড্রেস হিসেবেও পরা যেতে পারে। এটাও কম থেকে মধ্য বয়সি মহিলাদের জন্য পারফেক্ট। পার্টি থেকে অফিস- সব জায়গায় লেগিংসের সঙ্গে পরে যেতে পারেন। আর সব চেয়ে বড় কথা, সব বডি টাইপেই পরা যায়।
এ বার আসি কুর্তির কলার (Collar) আর নেক ডিজাইনের (Neck Design) কথায়।
নামটা শুনেই বুঝতে পারছেন যে, এই ধরনের কুর্তির (Kurti) কলার একেবারেই শার্টের কলারের (Shirt Collar) মতো হবে। অফিসে বা কলেজে তো আরামসে পরে যেতেই পারেন। একটু বস-মার্কা লুক চাইলে তো চোখবুজে এই স্টাইলের (Style) কুর্তি ট্রাই করতে পারেন। এর সঙ্গে লেগিংস, জেগিংস, প্যান্টস, পালাজো আর নানা ধরনের সালোয়ারও ভাল যায়। আর বিয়েবাড়ি বা অনুষ্ঠানবাড়িতে এই ধরনের কলার স্টাইলের লং কুর্তি পরলে তার সঙ্গে ওড়না নিতেই পারেন। বা ছোট জমকালো জ্যাকেট ও ট্রাই করতে পারেন।
আপনি কি অঙ্গরক্ষা পছন্দ করেন? আর যদি করেন, তা হলে এই কলার (Collar) স্টাইলটা (Style) আপনার দারুণ লাগবে। রেগুলার ফিট প্যান্টস, লেগিংস আর জেগিংসের সঙ্গে ট্রাই করে দেখুন।
কুর্তির (Kurti) কলার (Collar) স্টাইলের মধ্যে বেশ পপুলার ম্যান্ডারিন কলার স্টাইল (Mandarin Collar)। ছেলেদের কুর্তা বা শার্টেও রয়েছে ম্যান্ডারিন কলার স্টাইলের চল। এই স্টাইল এসেছে চিনা রাজপরিবারের মহিলাদের থেকে। রাজপরিবারের মহিলারা ম্যান্ডারিন কলারের ওয়েস্টার্ন গাউন পরতেন। এই কলার শুরু হয় নেকলাইন এরিয়া থেকে। আর এর দৈর্ঘ্য হয় ৩-৫ সেন্টিমিটার। এই কলার স্টাইলের কুর্তির একটা আলাদাই আভিজাত্য রয়েছে। আপনার কম হাইট হলেও এই কলার স্টাইলের কুর্তিতে আপনাকে বেশ লম্বা দেখাবে। জিন্স, লেগিংস আর পালাজোর সঙ্গে অনায়াসে পরা যাবে ম্যান্ডারিন কলার কুর্তি।
কাফতানে সাধারণত যেমন কাটের নেক ডিজাইন হয়, কাফতান কলার (Kaftan Collar) কুর্তির ক্ষেত্রেও তাই। কাফতান কলারকে অনেক সময় সিউডো কলার বলা হয়ে থাকে। তবে অনেকে হয়তো ভাববেন যে, কাফতান কলার শুধুমাত্র কাফতান স্টাইল (Style) কুর্তির সঙ্গে ভাল লাগবে। কিন্তু তা নয়! রেগুলার কুর্তির সঙ্গেও এই স্টাইলের কলার (Collar) ভাল মানাবে। কাফতান স্টাইলের কুর্তি লেগিংস বা জেগিংসের সঙ্গেই খুব ভাল যাবে। কারণ এই স্টাইলের কুর্তি একটু ব্যাগি বা খোলামেলা টাইপের হয়। তাই বটমওয়্যার হিসেবে ন্যারো বা বডিকোন টাইপ বেশি মানাবে।
বিশেষ করে সোয়েটার বা কার্ডিগানের ক্ষেত্রে এই কলার (Turtleneck Collar) স্টাইল (Style) বেশি ফলো করা হয়। কিন্তু আপনি কুর্তি বা ব্লাউজেও এই কলার ডিজাইন ট্রাই করতে পারেন। কারণ ইউরোপীয় এই স্টাইল কুর্তির মাধ্যমেই ইন্ডিয়ান স্টাইলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এই স্টাইলের কলার আপনার নেক এরিয়া পুরো ঢেকে রাখবে। চুড়িদার বা স্ট্রেট প্যান্টসের সঙ্গে এই কলার স্টাইল কুর্তি খুব ভাল যাবে। তবে এই কলার স্টাইলের কিছু পরলে গলায় ভুলেও হেভি জুয়েলারি পরবেন না!
বোট নেক স্টাইল (Boat Neck Collar) ফ্যাশনে বেশ ইন। যে কোনও কাটের যে কোনও ডিজাইনের সঙ্গে দারুণ যায় এই ধরনের নেক স্টাইল। এটা আপনাকে একটা স্মার্ট লুক দেবে।
এই নেক স্টাইল (Halter Neck Design) আপনার দেশি স্টাইলে একটা ওয়েস্টার্ন টাচ এনে দেয়। স্টাইলিশ আর স্মার্ট এই স্টাইল। বিশেষ করে একটা স্ট্রেট পালাজোর সঙ্গে পরলে দারুণ লাগবে। তবে এই লুকটায় কিন্তু ওড়না নেবেন না।
ব্যাকলেস ব্লাউজ পরতে ভালবাসেন, কিন্তু কুর্তিতে কী ভাবে ব্যাকলেস পরবেন, বুঝতে পারছেন না? তা হলে এই স্টাইলটা আপনার জন্য একদম পারফেক্ট। অফিস ওয়্যারে কিন্তু নয়, পার্টি বা অনুষ্ঠানে ফ্লন্ট করতে পারেন এই স্টাইলটা। তার এই স্টাইলে লুকটা কমপ্লিট করতে নিয়ে নিন একটা বেনারসি অথবা ফুলকারি ওড়না।
এই স্টাইলটা একটু ঘেরওয়ালা কুর্তির সঙ্গে ট্রাই করে নিতে পারেন। এই স্টাইলটা খুবই কমন। র’ সিল্ক, চান্দেরি বা একটু ভারি সিল্ক কিনে এই স্টাইলের কুর্তি বানিয়ে নিতে পারেন।
এ সব তো গেল, কুর্তির ধরন (Kurti Design) আর নেক-কলার স্টাইল (Neck Collar Style)। এ বার বলব কুর্তি পরে কী ভাবে একটু অন্য রকম ভাবে স্টাইল (Kurti Styling Tips) করা যায়।
এইটা আমার ফেভারিট স্টাইল। শাড়ির সঙ্গে ক্রপ টপ তো নিশ্চয়ই ট্রাই করে ফেলেছেন, এ বার কুর্তির (Kurti) সঙ্গে শাড়ি পরে দেখুন। একটা স্টাইলিশ (Stylish), স্মার্ট আর বোল্ড লুক দেবে আপনাকে।
এটাও বেশ ইন্টরেস্টিং। শর্ট থেকে লং সব রকম কুর্তির সঙ্গে লং ফ্লেয়ার্ড স্কার্ট পরে নেওয়া যায়। দারুণ দেখাবে। আর এই মুহূর্তে ফ্যাশনে বেশ ইন এই স্টাইলটা।
পাকিস্তানে শারারা পপুলার। এখানেও বিশেষ করে পাঞ্জাবি আর সিন্ধি মহিলারা শারারা পরে থাকেন। শর্ট কুর্তির সঙ্গে শারারা ট্রাই করতে পারেন। সঙ্গে নিতে পারেন একটা দোপাট্টা। বেশ অন্য রকম একটা লুক।
ছবি সৌজন্যে: ইউটিউব
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!