সম্পূর্ণ অচেনা একটা মানুষের সামনে হঠাৎ করে নিজেকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে মেলে ধরাটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু লজ্জার এই পর্দা সরিয়ে যদি পার্টনারের কাছাকাছি আসতে না পারেন, তা হলে যে তাঁকে চিনে উঠতেই পারবেন না! একই ঘটনা ঘটবে আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গেও। ফলে আপনাদের মাঝে দূরত্ব বাড়বে। তাতে কি আর সম্পর্ক নিজের গভীরতা খুঁজে পাবে? মনে তো হয় না। ফলে অকালেই ভালবাসার চারাগাছটি শুকিয়ে যাবে, যা কোনওভাবেই কাঙ্খিত নয়। তাই বৈবাহিক সম্পর্কের বুনিয়াদকে প্রথম দিন থেকেই যদি মজবুত করে তুলতে চান, তা হলে এই ভুলগুলি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়!
১. লজ্জার চোটে মুখে কুলুপ আঁটবেন না যেন
আপনার মনের কথা পড়ে ফেলার ক্ষমতা আপনার পার্টনারের নেই। তাই নিজের ভাল-মন্দের কথা মন খুলে বলুন। কিসে আপনার ভাল লাগে, আর কিসে মন্দ, তা আপনার পার্টনারের জানা থাকলে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার আশঙ্কা কমবে। তাছাড়া দু’জনে মিলে যত গল্প করবেন, ততই তো একে অপরকে আরও কাছ থেকে চেনার সুযোগ পাবেন। তাতেই তো লজ্জা ঘুচবে। ফলে মানসিক এবং শারীরিক দূরত্ব কমতেও সময় লাগবে না। বাড়বে ভালবাসাও।
২. শারীরিক মিলনের সময় লজ্জা না পাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ
ভালবাসার মানুষটির চেয়ে কাছের আর কে-ই বা আছে বলুন! সেই তো আপনার আনন্দের সঙ্গী, দুঃখের দিনের একমাত্র সাথী, তা হলে তাঁর সামনে লজ্জা কীসের। তাই শারীরিক মিলনের সময় কোনও কারণেই কুণ্ঠা বোধ করবেন না। বরং নিজেকে উজাড় করে দিন। দেখবেন, এতদিনের অচেনা মানুষটা কেমন এক রাতেই আপনার খুব কাছের হয়ে উঠবেন। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, অনেক মহিলাই শরীরে নানা দাগ-ছোপের কারণে স্বামীর সামনে নিজেকে শারীরিকভাবে মেলে ধরতে লজ্জা পান। এমন মানসিকতা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ, একে অপরকে ভালবেসেছেন বলেই না আপনারা বিয়ে করেছেন। আর যেখানে ভালবাসা রয়েছে, সেখানে মানুষের মনটাই যে আসল, সেকথা ভুলে যান কেন! তাই মনের এই জটিলতাগুলি কাটিয়ে উঠে চোখ বন্ধ করে প্রেমের সাগরে গা ভাসিয়ে দিন। দেখবেন, মনের মানুষটির আরও কাছাকাছি চলে আসতে সময়ই লাগবে না।
৩. জোর করে কিছু করানো উচিত নয়
বিয়ে করেছেন মানেই যে স্বামীর দাসখত লিখিয়েছেন, এমনটা নয় কিন্তু। তাই পার্টনারের সব কথাই আপনাকে মেনে চলতে হবে, এমন কোনও দায়বদ্ধতা আপনার নেই। তাই কোনও কাজ করতে যদি মন না চায়, তা হলে খোলাখুলি তা সঙ্গীকে জানান। তাতে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার আশঙ্কা কমবে। একইভাবে আপনার পার্টনারের ভাল-মন্দের খোঁজ নিন। তাঁকে দিয়েও জোর করে কোনও কাজ করাতে যাবেন না। তাতে আপনাদের মাঝে যে দূরত্ব দানা বেঁধেছে, তা যেমন ধীরে-ধীরে মিটে যাবে, তেমনই ভালবাসাও বাড়বে। সঙ্গে বিশ্বাসের বুনিয়াদও আরও মজবুত হয়ে উঠবে।
৪. শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলুন
বেড রুম হল প্রেমের আঁতুড় ঘর। এখানে লজ্জার কোনও জায়গা নেই। তাই যৌন মিলনের বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলতে লজ্জা পাবেন না যেন! কারণ, লজ্জা পেলে আপনাদেরই ক্ষতি। তাতে আপনাদের মাঝে দূরত্ব বাড়বে বই কী! এমনকী, সম্পর্কের ভিতও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই বিয়ের (Marriage) কয়েকদিন পর থেকে, বিশেষ করে হনিমুনের সময় নিজেদের শারীরিক এবং মানসিক চাহিদাগুলি সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলতে দ্বিধা বোধ করবেন না। বিশেষত, যৌন মিলনের সময় আপনার কী-কী প্রত্যাশা রয়েছে, সে সম্পর্কে সরাসরি পার্টনারকে বলে ফেলুন। তাঁর কথাও মন দিয়ে শুনুন। তাতে আপনাদের মাঝে থাকা লজ্জার পর্দা যেমন সরে যাবে, তেমনই মিলনের সেই বিশেষ মুহূর্ত আরও রোম্যান্টিক হয়ে উঠবে। ফলে অচিরেই ভালবাসা গভীরতা খুঁজে পাবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!