ADVERTISEMENT
home / বিনোদন
ফিরে দেখা: লতা মঙ্গেশকরের সাংগীতিক যাত্রা

ফিরে দেখা: লতা মঙ্গেশকরের সাংগীতিক যাত্রা

সরস্বতী পুজোর পর দিন, অর্থাৎ যেদিন প্রতিমা নিরঞ্জন হওয়ার কথা, সেদিনই সঙ্গীত জগতের জীবন্ত সরস্বতী আমাদের ছেড়ে যাত্রা করলেন পরলোকের উদ্দেশ্যে। চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। স্তব্ধ হয়ে গেল সঙ্গীতের মূর্ছনা। শেষ হল একটি বিশাল অধ্যায়। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২। (lesser known facts about lata mangeshkar)

গত ১১ই জানুয়ারি, কোভিড আক্রান্ত হন তিনি। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করা মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। ধীরে ধীরে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতিও ঘটছিল। ৩০শে জানুয়ারি তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভও আসে। প্রায় সপ্তাহ চারেক তিনি হাসপাতালে ছিলেন। কিন্তু গত শনিবার অর্থাৎ ৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে হঠাতই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে। বয়সজনিত নানা সমস্যাও প্রকট হয়ে ওঠে। শেষরক্ষা আর হয় না। সুরোলোকে চলে যান কোকিলকন্ঠী।

গতকাল মুম্বইয়ে শিবাজি পার্কে রাজকীয় ঢঙে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় লতা মঙ্গেশকরের। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে নানা মহলের বিশিষ্টব্যক্তিবর্গ উপস্থিত হয়েছিলেন লতাজি-কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। লতা মঙ্গেশকর নিজেই ছিলেন একজন জীবন্ত ইনস্টিটিউশন। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত হোক বা বলিউডের রিদিমিক গান – সবেতেই তাঁর পারদর্শিতা ছিল দেখার মত, ছিল শেখার মত। শুধু হিন্দি ভাষায় না, ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষায় তিনি গান গেয়েছিলেন। তবে, প্রথম দিনেই তিনি সঙ্গীত জগতের শীর্ষে পৌঁছননি। লতা মঙ্গেশকরের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি মোড়ে ছিল স্ট্রাগল। চলুন আজ ফিরে দেখা যাক, কেমন ছিল লতা মঙ্গেশকর থেকে সুরসম্রাজ্ঞী হয়ে ওঠার যাত্রা

১৯২৯-এর ২৮শে সেপ্টেম্বর ইন্দোরে এক মারাঠি পরিবারে জন্ম হয় হেমার। হ্যাঁ, লতা মঙ্গেশকরের পিতৃদত্ত নাম হেমা। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর ছিলেন মঞ্চাভিনেতা এবং গায়ক। হয়ত সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ মঙ্গেশকর পরিবারে বংশগত। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় হেমা, তারপরে মীনা, তারপরে আশা, ঊষা এবং সবচেয়ে ছোট ভাই হৃদয়নাথ। (lesser known facts about lata mangeshkar)

ADVERTISEMENT

প্রথম বার হেমা মঞ্চে অভিনয় করে মাত্র নয় বছর বয়সে। বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের নট্টকম্পানিতে। তবে অভিনয়ের মেকআপ, আলো, জাঁকজমক একেবারেই না-পসন্দ ছিল ছোট্ট হেমার। তার চেয়ে সুর নিয়ে থাকতেই বেশি লাগত মেয়েটির। তবে, কথায় বলে ভাগ্যের লিখন! মাত্র ১৩ বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে তাঁকে খুঁজতে হল রোজগারের পথ। তত দিনে অবশ্য হেমা নাম পরিবর্তন করে হয়ে গিয়েছে লতা। বাবার নাটকে ‘লতিকা’ চরিত্রে অভিনয়ের পর থেকেই তাঁর নাম হয়ে যায় লতা।

পিতৃহারা হওয়ার পর মঙ্গেশকর পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান তাঁদেরই পারিবারিক বন্ধু বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকী। মারাঠি চিত্র পরিচালক এবং নবযুগ চিত্রপট প্রযোজনার মালিক বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকীই প্রথমবার ছোট্ট লতাকে মারাঠি সিনেমায়ে অভিনয় ও গানের সুযোগ দেন। কিশোরী লতা সেসময়ে উপার্জনের তাগিদে অভিনয় করেন ঠিকই, তবে অভিনয় জগত যেন কোনও দিনই তাঁকে টানেনি। ফলত এটিই ছিল তাঁর অভিনীত প্রথম ও শেষ ছবি। বিভিন্ন সময়ে নানা সাক্ষাৎকারে স্বয়ং লতা মঙ্গেশকর নিজে একথা অনেক বার বলেছেন।

প্রথম বারজনসমক্ষে মঞ্চে গান গেয়ে রোজগার ছিল মাত্র ২৫ টাকা। তবে হয়ত সে’সময়ে মঙ্গেশকর পরিবারের কাছে সেই টাকার মূল্যই ছিল অনেক! বম্বের সিনেমাজগতে সে’সময়ে নেপথ্যকণ্ঠের জগতে রাজত্ব করছেন নূর জাহান। তাঁর ভরাট গায়কীর পাশে লতা মঙ্গেশকরের ‘পাতলি আওয়াজ’-কে ঠাই দিতে নারাজ ছিলেন তৎকালীন ডাকসাইটে চিত্রপরিচালক শশধর মুখোপাধ্যায়। তবে ১৯৪৯-এ অশোক কুমার-মধুবালা অভিনীত ‘মহল’ ছবির ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ গানটি লতা মঙ্গেশকরের জীবনের ও কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এর পর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। (lesser known facts about lata mangeshkar)

৭০ বছরের মিউজিক্যাল কেরিয়ারে ৩০ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি। জীবদ্দশায় পেয়েছেন ‘ভারতরত্ন’। ভারতীয় সঙ্গীত জগতে সত্যিই ইন্দ্রপতন হল হয়ত, তবে ওই যে বলে, লেজেন্ডদের মৃত্যু নেই, তাঁরা বেঁচে থাকেন অগণিত মানুষের মনে, তাঁদের কাজের মাধ্যমে!

ADVERTISEMENT

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!      

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

07 Feb 2022

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT