ডাঃ ম্যাট্রিক্সের (dr matrix)নামটা শুনেছে এমন মানুষের সংখ্যাটা যে নেহাতই নগণ্য, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো এই লেখায় মার্টিন গ্র্যান্ডনারের লেখা দা ম্যাজিক নাম্বারস অব ডক্টর ম্যাট্রিক্স নামক বইটি থেকে এমন একটা বিষয় তুলে ধরা হবে, যা পড়তে পড়তে হয়তো শিউরে উঠতে পারো।
কী লিখতে চলেছি তাই ভাবছো নিশ্চয়? আসলে বন্ধু এই বইয়ে এমনটা দাবী করা হয়েছে যে বেশ কিছু সংখ্যার সঙ্গে নাকি যোগ রয়েছে ইতিহাসের সবথেকে নির্মম দুটো হত্যাকাণ্ডের (lincoln kennedy death and numerology)।
কী সেই মিল? আচ্ছা এটা কি নেহাতিই কাকতালীয়, নাকি সত্যিই আমাদের জীবন এবং আশেপাশে ঘটে চলা প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে যোগ রয়েছে সংখ্যার (numarology)? এই সব নানা প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হবে এই লেখায়। তবে তার আগে জানিয়ে রাখি, আজ যে দুজনের খুনের ঘটনার দিকে আমারা নজর ফেরাতে চলেছি, তার একজন হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ তম রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিঙ্কন এবং আরেকজন হলেন প্রথম চন্দ্র অভিযানের জনক এবং ৩৫ তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি (american president assassination)।
তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলো খোঁজ লাগানো যাক এই দুই খুনের ঘটনা এবং বেশ কিছু সংখ্যার মধ্যেকার যোগসূত্র সম্পর্কে…
ইতিহাস ঘাঁটলে জানতে পারবে আব্রাহাম লিঙ্কন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন ১৮৬০ সালে। আর এর ঠিক ১০০ বছর পরে, ১৯৬০ সালে রাষ্ট্রপতির আসনে বসেছিলেন জন এফ কেনেডি।
LINCOLN=৭ টা অক্ষর। আর KENNEDY-এর নামও অক্ষর সংখ্যা ৭। দেখো কেমন মিল!
দুই রাষ্ট্রনায়ক ক্ষমতায় এসেছিলেন ১০০ বছরের ব্যবধানে। কিন্তু দুই প্রেসিডেন্টেরই রাজনৈতিক জীবনের উত্থান ঘটেছিল সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষদের হয়ে লড়াই করার মধ্যে দিয়ে। বিশেষত আফ্রিকান আমেরিকানদের অধিকার পাইয়ে দেওয়ার লড়াইয়ে লিঙ্কন এবং কেনেডির অবদানকে কোনও দিন ভুলতে পারবে না আমেরিকার ইতিহাস।
লিঙ্কন এবং কেনেডি (jfk assassination)দুজনেই মারা গিয়েছিলেন শুক্রবার এবং দুজনেরই মৃত্যুর সময় সঙ্গে ছিলেন তাঁদের স্ত্রী।
প্রেসিডেন্ট লিঙ্কন এবং প্রেসিডেন্ট কেনেডি, এই দুজনকেই পিছন থেকে মাথায় গুলি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, আঘাতের জায়গাও ছিল এক।
কোনও একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন খুন করা হয়েছিল আব্রাহাম লিঙ্কনকে। আর অনুষ্ঠানটা ছিল ফোর্ড থিয়েটারে। আর কেনেডিকে যখন খুন করা হয়, তখন তিনি যে গাড়িতে ছিলেন সেই গাড়ির নাম ছিল “লিঙ্কন কনভার্টেবল”। আর গাড়িটি তৈরি করেছিল ফোর্ড কোম্পানি। খেয়াল করলে তো কীভাবে মিলে গেল দুই প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর স্থান।
লিঙ্কনের মৃত্যুর পরে মসনদে বসেছিলেন অ্যান্ড্র জনসন, যিনি জন্ম গ্রহন করেছিলেন ২৯ ডিসেম্বর, ১৮০৮ সালে। আর কেনেডির অবর্তমানে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিন্ডন জনসন। তাঁর জন্ম ১৯০৮ সালে ২৭ অগাস্ট। দেখো নামেও কেমন মিল রয়েছে। আর দুজনের জন্ম হয়েছিল ঠিক ১০০ বছরের ব্যবধানে।
লিঙ্কনের প্রাইভেট সেক্রেটারির নাম ছিল জন। আর কেনেডির প্রাইভেট সেক্রেটারির সারনেম ছিল লিঙ্কন।
লিঙ্কনের হত্যাকারী জন বুথ জন্ম নিয়েছিলেন ১৮৩৯ সালে। আর কেনেডিকে যিনি খুন করেছিলেন, সেই লি হার্ভে অসওয়াল্ডের জন্ম ঠিক ১০০ বছর পর, ১৯৩৯ সালে। এখানেই শেষ নয়, দুই হত্যাকারীর মৃত্যু ঘটেছিল সাজা পাওয়ার আগেই। শুধু তাই নয়, বুথ এবং অসওয়াল্ড, দুজনের নামেই ছিল ১৫ টা করে অক্ষর। JOHN WILKES BOOTH=১৫। LEE HARVEY OSWALD=১৫।
থিয়েটারে ঢুকে লিঙ্কনকে মারার পরে জন বুথ একটা কারখানায় গিয়ে লুকিয়েছিলেন। আর কেনেডিকে হত্যা করতে অসওয়াল্ড গুলি চালিয়েছিল একটা কারখানা থেকে। আর প্রান বাঁচাতে পালিয়ে গিয়েছিল একটা থিয়েটারে। কী আজব মিল!
১৯৬৩ সালে ২২ নভেম্বর, শুক্রবার হত্যা করা হয়েছিল জন এফ কেনেডিকে। মানে তারিখটা হল ২২, আর মাস ১১। যোগ করলে ফল দাঁড়াবে ৬, অর্থাৎ ২+২+১+১। আর friday=৬ টা শব্দ। কেনেডি মারা যাওয়ার পর খুনিকে ধরতে কাজে লাগানো হয় এফ বি আই ডিটেকটিভদের। FBI, অর্থাৎ F থেকে ছটা অক্ষর পরে আসে L, B থেকে ছটা অক্ষর পরে আসে H এবং I থেকে ছটা অক্ষর পরে আসে O। প্রসঙ্গত, কেনেডিকে যিনি হত্যা করেছিলেন তার নামের প্রথম অক্ষরগুলি ছিল L,H এবং O। অর্থাৎ LEE HARVEY OSWALD। এখানেই শেষ নয়, যে কারখানা থেকে গুলি চালানো হয়েছিল তার ষষ্ঠতম ফ্লোরে লুকিয়ে ছিলেন অসওয়াল্ড।
তথ্য সূত্র: মার্টিন গ্র্যান্ডনারের লেখা দা ম্যাজিক নাম্বারস অব ডক্টর ম্য়াট্রিক্স নামক বই
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!