ADVERTISEMENT
home / রিলেশনশিপ
বয়স্ক বাবা ও মায়ের সঙ্গে মতের অমিল হতেই পারে, শান্ত ভাবে কথা বলুন

বয়স্ক বাবা ও মায়ের সঙ্গে মতের অমিল হতেই পারে, শান্ত ভাবে কথা বলুন

আমরা বড় হয়েছি। আর বাবা ও মায়েরা বুড়ো হচ্ছেন। কথাটা খুবই সত্যি। আমাদের প্রজন্মের সঙ্গে তাঁদের প্রজন্মের একটি বিরতি রয়েছে। তাই অনেক সময়ই তাঁদের সঙ্গে আমাদের মতামতের মিল হয় না। তাই নিয়ে কথা কাটাকাটিও হয়। কিন্তু মনে রাখবেন, তাঁরাও বৃদ্ধ হচ্ছেন। তাই কথায় কথায় তাঁদের উপর চিৎকার একদম নয়! বাবা ও মা (parents)-কে আগলে রাখুন। তাঁদের ভুল হলে ভুল ধরিয়ে দিন। মতবিরোধ হলে শান্ত ভাবে কথা বলুন। কিন্তু চিৎকার, চেঁচামেচি কেন করবেন?

আমার গল্প

এই বিষয়টা আমিও কোনওদিন ভেবে দেখিনি (parents) । মায়ের (parents) সঙ্গে প্রায়ই মতবিরোধ হত। মা’কে কথা শুনিয়ে দিতাম। বাবার সঙ্গও মতবিরোধ হত। বাবার সঙ্গে ঝগড়াও লেগে যেত। আর ভাবতাম তাঁরা এত ভুল কেন করেন। নিজের ভুলটা দেখতেই পাইনি। আমার এক বন্ধু হঠাৎ আমায় আমার ব্যবহার পরিবর্তন করতে বলেন। তাঁর সেই কথা শুনে আমার রাগ হয়। আমি বলি, “আমি কী ভুল করেছি? ভুল তো বাবা করেছে!” তিনি বলেন, “ভুল বাবা করেছেন। কিন্তু ছোটবেলায় যেমন তাঁরা আমাদের ভুল শুধরে দিয়েছেন। আমাদেরও তাঁদের ভুল শুধরে দেওয়ার দায়িত্ব আছে। তা ভুলে গেলে চলবে না!” তাঁর কথা শুনে আমি একতলায় আসি। দেখি বাবা সোফার উপর চুপ করে শুয়ে আছে। ঘুমাচ্ছে না। চোখ বন্ধ করে আছে। হঠাৎ চোখে জল চলে আসে। কেন বাবার উপর অত চিৎকার করলাম ভেবে কুণ্ঠা হয়। বাবাকে (parents) সরি বলি। পরে বাবাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। ভুল শুধরে দিই। ঠিক সেভাবেই, যেভাবে ছোটবেলায় বাবা আমায় বুঝিয়ে বলে ভুল শুধরে দিত। যতই হোক, আমি তো “পাপা’স গার্ল!”

Deepika Padukone Bollywood GIF - Find & Share on GIPHY

বাবা ও মা (parents) কী ভাবেন?

আপনি যতই বড় হয়ে যান না কেন, বাবা-মায়ের চোখে তো আপনি তাঁদের সন্তান। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা নিজের মতামত আপনার উপর চাপিয়ে দেবেনই। কারণ, তাঁরা ভাবেন তাতেই আপনার মঙ্গল। এদিকে বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে যে আপনারও মতামত গড়ে উঠেছে। ভাল-মন্দের জ্ঞান হয়েছে, সে কথা অনেক সময়ই বাবা-মায়েরা (Parents) বুঝে উঠতে পারেন না। আর তখনই সমস্যাটা তৈরি হয়। তাই এমন পরিস্থিতিতে চিৎকার-চেঁচামেচি না করে তাঁদের পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে বলুন। আপনি যে বড় হয়েছেন, তা নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরন থেকে বুঝিয়ে দিন। সেই সঙ্গে একটু মানসিকতার পরিবর্তনও জরুরি। যখন বাবা-মা আপনার কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন কিছু বলার আগে মনে মনে একবার ভাবুন তো এমন পরিস্থিতিতে আপনার দু’জন বন্ধু সামনে থাকলে কীভাবে কথা বলতেন। ঠিক সেই মতো কথোপকথন শুরু করুন। এমন ব্যবহার করুন, যাতে বাবা-মাও বুঝতে পারেন যে, আপনি তাঁদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে চান। সব কথা খুলে বলুন। তাঁদের কথাও মন দিয়ে শুনুন। নিজেদের মধ্যে একটা সুস্থ পরিবশ তৈরি করুন। এমন চেষ্টা চালিয়ে গেলে দেখবেন বাবা-মাও (parents) আপনার বন্ধু হয়ে উঠবেন। তখন আর কোনও সমস্যাই থাকবে না। হাজার হোক, ওঁরা আছেন বলেই আমরা আছি। ওঁরাই (parents) আমাদের লাইফলাইন!

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজিহিন্দিমারাঠি আর বাংলাতেও!      

ADVERTISEMENT

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

26 Aug 2021

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT