ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছে না থাকলেও অনুরাধার ফ্যাশন (fashion) সেন্স দারুণ। তবে জামাকাপড় নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে বরাবরই ভালবাসে ও। মাঝেমধ্যে ট্রেন্ডের (trend) বাইরে গিয়েও এক্সপেরিমেন্ট (experiment) করে অনুরাধা। এই তো সে দিন কলেজের সোশ্যালে একটা শর্ট কুর্তির সঙ্গে দিব্যি একটা হ্যান্ডলুমের শাড়ি পরে চলে গেল। সকলেই দেখে অবাক! নিন্দুকেরা মুখে সেটা না বললেও মনে মনে তারিফই করতো। আসলে অনুরাধা যেটা পরে, সেটা অবশ্য একেবারেই সুপারহিট! দারুণ লাগে ওকে। বন্ধুবান্ধব আর চেনাশোনারা তো প্রশংসা করেই, অন্যরাও প্রশংসার চোখে ওর দিকে তাকিয়ে থাকায়। আসলে অনুরাধার সব থেকে ইন্টরেস্টিং পার্ট হল, ও সব সময় সুন্দর ভাবে যে কোনও ড্রেস ক্যারি করে আর যদি ফিউশনওয়্যার ট্রাই করে, তার মধ্যেও একটা ব্যাপার থাকে! অনুরাধা যখন এক্সপেরিমেন্ট করছে, আপনারাই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন? আপনারাও বানিয়ে ফেলুন নিজেদের স্টাইল স্টেটমেন্ট! স্বতন্ত্র ভাবে সাজগোজ করুন, পোশাক (outfits) পরুন। জেনে নিন, কী ভাবে তৈরি করবেন, নিজেদের ফ্যাশন স্টেটমেন্ট (fashion statement)।
ওয়ার্ড্রোবের গোছগাছ
আপনার ওয়ার্ড্রোব গুছিয়ে নিন। যেগুলো ফিট করছে না, সেগুলো বাতিল করে দিন। তবে তার মধ্যে কিছু ইন্টরেস্টিং জামা-কাপড় থাকবে- সে জিন্স হোক, টপ হোক বা কুর্তি হোক অথবা শাড়িই হোক, যা আপনার পছন্দের ছিল। তাই ফেলতেও মন চাইছে না। এক কাজ করুন, ওই সব জামা-কাপড়গুলোকে (outfits) রিসাইকল করে ব্যবহার করতে পারেন।
ড্রেসের কাপড়
নিজের পছন্দমতো ড্রেস, গাউন কুর্তি বানানোর জন্য পছন্দমতো কাপড় কিনে আনুন। কেমন ধরনের ড্রেস (outfits) বানাবেন, সেটা নির্ভর করবে কাপড়ের প্রিন্ট বা ডিজাইনের উপর। আর ভাল টেলর খুঁজে বার করুন।
ফলো করুন
যাঁদের স্টাইল ভাল লাগে, তাঁদের ফলো করুন। তবে পরার সময় আপনাকে কোনটায় বেশি মানাবে, সেটা দেখে তবেই পরুন। পাশাপাশি, ফ্যাশন (fashion) ট্রেন্ড বা স্টাইল ট্রেন্ডেও (trend) নজর রাখুন। পছন্দের সেলিব্রিটিদের স্টাইল স্টেটমেন্ট (fashion statement) ফলো করুন। তার পর নিজের মতো করে সাজগোজ করুন।
আলোচনা করুন
ফ্যাশন ট্রেন্ড (trend) ফলো করেও বুঝতে না পারলে বন্ধু বা পরিবারের কারও স্টাইল স্টেটমেন্ট পছন্দ হলে তাঁর সঙ্গে কথা বলুন। কী ভাবে কোন ড্রেস বানাবেন, বা কোন বটমওয়্যারের সঙ্গে কেমন টপ যাবে, সে সব বুঝতে না পারলে আলোচনা করুন এমন কারও সঙ্গে যাঁর ভাল ফ্যাশন (fashion) সেন্স।
জুতোর কথা ভুললে চলবে না
কী ড্রেস পরবেন, সেটা নিয়ে তো এক্সপেরিমেন্ট (experiment) করার কথা ভাবছেন। কিন্তু জুতো আর অ্যাকসেসরিজ ভুললে চলবে? আপনার পারফেক্ট ড্রেসের সঙ্গে চাই পারফেক্ট জুতোজোড়াও।
এ সব তো প্রথম দিককার কথা! এ বার আসি ট্রেন্ড কী ভাবে ভাঙবেন, সেই কথায়। মানে ধরুন, এখন যে ট্রেন্ড ফ্যাশনে (fashion) ইন, সেই ট্রেন্ড ফলো করছেন। কিন্তু মাঝেমধ্যে একঘেয়ে লাগছে। তাই মাঝেমধ্যে ফ্যাশনে ইন থেকেই ট্রেন্ড (trend) ভাঙুন। আর সকলের নজর কাড়ুন।
একসঙ্গে নানা প্রিন্টস
টপ ও বটমওয়্যার বা শাড়ি ব্লাউজের ক্ষেত্রে বলা হয় একসঙ্গে নানা রকম প্রিন্টস না পরতে। কিন্তু আপনি ট্রাই করে দেখতেই পারেন। তবে হ্যাঁ নির্ভর করবে, আপনি কতটা ক্যারি করতে পারছেন আর কতটা রুচিশীল ভাবে সাজতে পারছেন। যেমন ধরুন, দু’টো বড় প্রিন্ট একসঙ্গে না পরে ছোট-বড় পরতে পারেন। আর কালারের ক্ষেত্রে একটা হালকা-একটা গাঢ় ব্যবহার করতে পারেন। আবার ধরুন, চেকস বা গামছা শাড়ি পরেছেন, তার সঙ্গে চেকস ব্লাউজ পরলে ভাল লাগবে না। বলা হয়, এক রঙা ব্লাউজ পরার কথা। কিন্তু একেবারে ছোট কিছু না হলেও তার থেকে একটু বড় প্রিন্টের ব্লাউজ পরতে পারেন।
ডেনিম অন ডেনিম
ডেনিম অন ডেনিম পরার নিয়ম না থাকলেও আজকাল সব সেলিব্রিটিরাই মোটামুটি ডেনিম অন ডেনিম ট্রেন্ডস ফলো করছেন। আপনিও ট্রাই করে দেখুন। ডেনিম শার্টের সঙ্গে প্যান্টস অথবা ডেনিম টপের সঙ্গে ডেনিম স্কার্ট।
সলিড কালার একসঙ্গে
সলিড কালার একসঙ্গে পরলে ভাল লাগবে না বলে শুনে আসছেন। কিন্তু ২টো সলিড কালার কনট্রাস্ট করে পরতেই পারেন। দারুণ লাগবে। হ্যাঁ কালারগুলো যেন একই গোত্রের হয়। আর কোন কালার কোন কালারের সঙ্গে ভাল কনট্রাস্ট, সেটাও আপনাকে বুঝতে হবে।
ছবি সৌজন্য: ইউটিউব ও পেক্সেলস
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি এবং বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
স্লিম ফিট প্যান্ট পরার স্টাইলিং টিপস