এরকম বোধয় কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যার মেকআপ করতে ভালো লাগেনা. কিন্তু মেকআপ করাটা একটা শিল্প আর এরকম কোনো কথা নেই যে সবাই এই শিল্পে পারদর্শী হবে. মেকআপ একটা বিশাল বিষয়. মেকআপ করার পদ্ধতি, মেকআপ (Makeup) করার সময়কার ছোটছোট ব্যাপার মনে রাখা এবং সেগুলোকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো, মেকআপ করার সময়কার কিছু ভুল – ত্রূটি সবই এই বিষয়ের অন্তর্গত. কেউ কেউ বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে কমপ্লিট মেকআপ করে বেরিয়ে, আবার অনেক মেয়ে একটু কাজল আর লিপস্টিক লাগানোকেই তাদের মেকআপ হিসেবে ধরে নেয়. একেক জনের কাছে মেকআপ-এর সংজ্ঞা একেকরকম. অনেকেই আবার মেকআপ করতে ভালোবাসে কিন্তু সঠিক টিপসের জ্ঞান না থাকায় তারা মেকআপ করে না বা করতে পারে না. আমরা এখানে আপনাকে মেকআপ (Makeup) সম্বন্ধে খুঁটিনাটি সমস্ত তথ্য দেব. আশা করি, এরপর থেকে আপনাকে আর নিজের মেকআপ করার জন্য পার্লারে ছুটোছুটি করতে হবে না.
মেকআপ করার সময় এই ভুলগুলো যেন না হয়
বিয়ের সময়কার মেকআপ (Bridal Makeup)
মেকআপ টিপস সংক্রান্ত প্রশ্ন-উত্তর
মেকআপ করার জন্য সবার আগে যা দরকার সেগুলি হলো মেকআপ করার সরঞ্জাম, যা আপনি খুব সহজেই বাজারে বা অনলাইন সাইটে পেয়ে যাবেন. যখনি কোনো মেকআপ-এর সরঞ্জাম কিনবেন, মাথায় রাখবেন যেন সেটা আপনার গায়ের রঙের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কেনা হয়. আর সব সময় জেনুইন প্রোডাক্ট কেনা উচিত. টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখে কিংবা সেলসম্যানের কথায় ভুলে আজেবাজে প্রোডাক্ট একেবারেই কিনবেন না. ল্যাকমে, মেবিলিন নিউইয়র্ক, লরিয়েল, কালারবারের মতো বেশ কয়েকটি কোম্পানি নানান স্কিনটোন অনুযায়ী তাদের প্রোডাক্ট বাজানে নিয়ে এসেছে. আপনি শুধু আপনার স্কিনটোন অনুযায়ী নিজের পছন্দের ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টটা কিনবেন. ভালো করে মেকআপ করতে গেলে আপনার কাছে কিছু ভালো ব্রান্ডের মেকআপ (Makeup) প্রোডাক্ট থাকাটা জরুরি. আপনাকে সেই প্রোডাক্টগুলো সম্বন্ধেই এখন জানাবো –
মেকআপ করার সময় সবার আগে ফাউন্ডেশন লাগাতে হয়, অর্থাৎ ফাউন্ডেশন হলো যে কোনো মেকআপ-এর ভিত বা বেস। আর বেস মেকআপ করার পদ্ধতি যদি ভালো না হয় তাহলে পুরো মেকআপ টাই জলে। সাধারণত ভারতীয় স্কিনটোন অয়েলি, ড্রাই, মিক্স, নর্মাল. লাইট আর ডার্ক হয়ে থাকে. ফাউন্ডেশনের টোনও এই সব স্কিনটোনের কথা মাথায় রেখেই তৈরী করা হয়. সেইজন্য যখনি ফাউন্ডেশন কিনবেন, দেখে নেবেন যে আপনার গায়ের রঙের সাথে ফাউন্ডেশনের কোন রঙটা সবচেয়ে বেশি ব্লেন্ড হচ্ছে. ফাউন্ডেশন কেনার সময় আপনার বুড়ো-আঙ্গুল আর তর্জনীর মাঝের অংশে লাগিয়ে দেখুন, যে শেডটা সবচেয়ে ভালো করে মিশে যাচ্ছে, সেটাই কিনুন. চাইলে আপনি গলায় লাগিয়েও দেখতে পারেন.
আরও পড়ুনঃ ত্বকের জন্য় আদর্শ কমপ্যাক্ট পাউডার
মুখের দাগ-ছোপ, চোখের তোলার কালোভাব (Dark Circle), লালচে ছোপ ইত্যাদি লুকোনোর জন্য কনসিলার ব্যবহার করা হয়. এমনকি, ব্রণও ঢাকা পরে যায় কনসিলারে. যদি আপনার গায়ের রং ফর্সা হয়, তাহলে কনসিলার কেনার সময় অবশ্যই নিজের মুখের রঙের সাথে ভালোভাবে ব্লেন্ড হচ্ছে এমং শেডই কিনবেন. যদি আপনার চোখের নিচে কালি থাকে, তাহলে তো এটা আরো বেশি জরুরি.
চোখের মেকআপ করার জন্য আইলাইনার একটি অত্যন্ত জরুরি প্রোডাক্ট. চোখের শেপকে আরো সুন্দর করতে এর তুলনা হয়না. আইলাইনার দিয়ে নানারকমের স্টাইলে চোখ আঁকা যায়, যা প্রতিবার আপনাকে এক একটা নতুন লুক দেয়. আপনি লিকুইড কিংবা পেন্সিল লাইনার ব্যবহার করতে পারেন. এমনিতে তো কালো আইলাইনারের চলই বেশি, কিন্তু আপনি চাইলে গতানুগতিক পদ্ধতি থেকে সরে নীল, গাঢ় সবুজ বা অন্যান্য যে কোনো রং নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারেন.
সুন্দর লম্বা ঘন চোখের পাতা পাওয়া সব মেয়েরই আকাঙ্খা. মাস্কারা আপনার সেই ইচ্ছেটাই পূরণ করতে সাহায্য করে. আপনার চোখের পাতা যাতে ঘন দেখায় তার জন্য সঠিকভাবে মাস্কারা লাগাতে হবে. মাস্কারা লাগানোর আগে চোখের পাতা আইল্যাশ কার্লার দিয়ে কার্ল করে নিন, এতে মাস্কারা লাগানোর পর চোখের পাতা আরো সুন্দর দেখতে লাগে.
চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে আই শ্যাডো ব্যবহার করা হয়. আপনার গায়ের রং হিসেবে আই শ্যাডোর শেড বাছাটা জরুরি. যদি আপনার রং শ্যামলা হয় তাহলে গোল্ড, কপার, মিক্স ব্রাউন, বেজ এইসব শেডের আই শ্যাডো লাগান. আবার যদি আপনি ফর্সা হন, তাহলে লাল, নীল, পার্পল, সবুজ, গোলাপি, গোল্ড এইসব রং খুব সুন্দর মানাবে.
লিপস্টিক এমন একটা প্রোডাক্ট, যেটা সব মেয়ের মেকআপ বক্সে থাকবেই থাকবে. লিপস্টিক একদিকে যেমন আপনার সাজ সম্পূর্ণ করে, আবার অন্যদিকে সুন্দর সাজ নষ্টও করে দেয়. সেইজন্যই লিপস্টিক খুব ভেবেচিন্তে বাছতে হয়. যদি আপনি প্রথমবার নিজের জন্য লিপস্টিক কিনতে যান, তাহলে নানারকম শেড ট্রাই করুন. প্রতিটা শেড নিজের হাতে লাগিয়ে দেখুন. দরকার হলে সেলসম্যান/গার্লের সাহায্য নিন. যদি আপনি একটু শ্যামলা হন, তাহলে লালচে, মারুন, ব্রাউনের মতো একটু গাঢ় রং আপনাকে মানাবে. আবার যদি আপনার রং ফর্সা হয়, সফ্টপিঙ্ক, নিয়ন শেডস, অরেঞ্জ এগুলো ভালো লাগবে.
আপনি কি জানেন যে মুখের গড়ন অনুযায়ী মেকআপ করা হয়? এখানে এমনই কিছু মুখের গড়ন আর তার জন্য উপযুক্ত মেকআপ পদ্ধতি সম্পর্কে জানাবো-
গোল মুখ দেখতে যতটা সুন্দর লাগে, ঠিক ততটাই বড়োও লাগে. গোল মুখের জন্য চোখের মেকআপ খুব গুরুত্বপূর্ণ. এছাড়া গোল মুখকে পাতলা দেখানোর জন্যও মেকআপ করা হয়. এক্ষেত্রে কন্টোরিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে. কনসিলার আর ফাউন্ডেশনের সাহায্যে আপনি সহজেই কন্টোরিং করতে পারেন. গোলাকার আকৃতির মেয়েদের চোখে মোটা করে কাজল বা ডার্ক আই শ্যাডো ব্যবহার করলে ভালো লাগে দেখতে. ব্লাশ লাগানোর সময়ে গালে কোণাকুণিভাবে স্ট্রোক লাগান, এতে শুধু চিকবোন হাইলাইট হয় তাই নয়, দেখতেই স্লিম লাগে.
চৌকো মুখের কন্টোরিংয়ের জন্য ম্যাট শেড বাছুন. শেড বাছার সময়ে খেয়াল রাখবেন তা যেন আপনার স্কিনটোনের থেকে ১ বা ২ শেড ডার্ক হয়. চৌকো মুখের অ্যাঙ্গেলগুলো কভার করার জন্য আই মেকআপ-এর ওপর জোর দিন. চোখের চারদিকে রং অ্যাড করা দরকার, এতে আপনার মুখের আকার স্পষ্ট হবে.
এই শেপের মুখ চিকবোনের থেকে চওড়া হলেও চোয়াল আর কপাল সরু হয়. এই শেপের মুখের কন্টোরিং করার জন্য জ-লাইন (চোয়াল) আর কপাল একটু চওড়া আর চিকবোন পাতলা করে দেখাতে হয়. ব্লাশ চিকবোনে লাগান, তার নিচে নয়. গোলাপি ব্লাশের বদলে ডার্ক পিচ অথবা ব্রাউন শেড বাছুন. কপাল চওড়া দেখানোর জন্য দুই ভুরুর মাঝে একটু জায়গা ছাড়ুন. যখন লিপস্টিকের শেড বাছবেন, গ্লসি লিপ কালারের বদলে ম্যাট শেড নিন আর ঠোঁট একটু ভরাট করে লিপস্টিক লাগান.
এরকম আকারের মুখে ঠিক করে মেকআপ করলে, দারুন লুক আসে. ওভাল শেপের মুখে বেশি কন্টোরিং করার প্রয়োজন হয়না. যদি আপনি চিকবোন হাইলাইট করতে চান, তাহলে চিকবোনের ঠিক নিচে একটু গাঢ় শেডের ব্রোঞ্জার বা ব্লাশ লাগাতে পারেন. চোখ সুন্দর দেখানোর জন্য ভুরুর স্বাভাবিক কার্ভ বজায় রাখুন.
এরকম মুখের ক্ষেত্রে কপাল সবচেয়ে বেশি চওড়া হয়, চিকবোন উঁচু হয় আর থুতনি খুব পাতলা হয়. এরকম শেপের মুখ যাদের, তাদের মুখের উঁচু জায়গা গুলোতে অর্থাৎ মাথা, নাকের যোগ আর চিকবোনে নিজের স্বাভাবিক রঙের থেকে ১-২ শেড গাঢ় ফাউন্ডেশন লাগানো উচিত. চোখের মেকআপ খুব বেশি করবেন না, তাতে চোখ ছোট লাগবে, কিন্তু আইলাইনার সবসময় গাঢ় করে পড়বেন.
শ্যামলা রং অর্থাৎ ডাস্কি কমপ্লেকশন. শ্যামলা রঙের মুখে এমন মেকআপ করা উচিত যাতে মুখের ফিচারগুলো ফুটে ওঠে. যখন আপনি প্রাইমার কিনবেন, মনে রাখবেন যেন সেটা আপনার ন্যাচারাল কমপ্লেক্সনের সাথে ম্যাচ করে. শ্যামলা রঙের জন্য সবসময় ব্যানানা শেডের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন. ম্যাজেন্টা, নীল, সবুজ বা কোনো নিয়ন রঙের আই শ্যাডোর বদলে ব্রোঞ্জ বা ব্রাউন শেড ব্যবহার করুন. ব্লাশও ব্রোঞ্জ বা ব্রাউন লাগান. লাইট শেড আর নিয়ন শেডের লিপস্টিক না লাগানোই ভালো.
ফর্সা রঙে বেশি মেকআপ ভালো লাগে না, সবসময় চেষ্টা করুন নিজের রঙের থেকে ১ শেড ডার্ক মেকআপ করার, যাতে ফ্যাটফ্যাটে সাদা না লাগে. এদের খুব বেশি কন্টোরিং করারও দরকার হয়না. একান্তই যদি করতে হয়, সফ্ট ব্রাউন বা সফ্ট ব্রোঞ্জ শেড দিয়ে করুন. কনসিলার সবসময় আপনার স্কিনটোনের সাথে ম্যাচ করে লাগান. যদি আপনার মুখে কোনো দাগ বা ছোপ থাকে তাহলেই এক শেড হালকা কনসিলার লাগান. কম্প্যাক্টও এক শেড ডার্ক নিন. যদি আই মেকআপ ব্রাইট করে থাকেন তাহলে ন্যুড শেডের লিপস্টিক লাগান. লাল লিপস্টিক লাগালে আই শ্যাডোর ওয়ার্ম কালার অর্থাৎ ব্রাউন, লাল, মেরুন বা গোল্ড শেড লাগান.
১. ভুল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করাটা একটা সাধারণ ভুল. মোটামুটি কমবেশি সবাই এটা করে ফেলে. আসলে ফাউন্ডেশন যেমন আপনার লুককে তাকে লাগিয়ে দিতে পারে, সেরকমই আপনার গোটা সাজটাই নষ্ট করে দিতে পারে. সঠিক ফাউন্ডেশন বছর জন্য কেনার আগে মুখের সাইডে লাগিয়ে দেখুন, যদি ফাউন্ডেশন আপনার স্কিনের সাথে সুন্দরভাবে ব্লেন্ড হয়ে যায়, তাহলে সেটাই আপনার জন্য সঠিক শেড.
২. আই শ্যাডো আর লিপস্টিকের একরকম রং আপনার গোটা মেকআপ নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট. যদি আপনি চোখে ডার্ক শেড ব্যবহার করেন, তাহলে ঠোঁটে হালকা রং লাগান. স্মোকি-আইস করার সময় ন্যুড বা পিচ রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করুন.
৩. ঠোঁটে সরাসরি কখনো লিপস্টিক লাগাবেন না. এতে আপনার ঠোঁট শুধু শুস্কই হয়না, ফাটতেও আরম্ভ করে. লিপস্টিক লাগানোর সময় সবসময় আগে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিন. এরপর লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁটের সাপের সাথে মিলিয়ে আউটলাইন করে নিন. এবার লিপস্টিক লাগান.
যেকোনো মেয়ের কাছে তার বিয়ের দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ. সেদিন সে চায় তাকে যেন সবচেয়ে সুন্দর দেখতে লাগে, আর কেনই বা চাইবে না! বরের সাথে সাথে আত্মীয়-স্বজন, নিমন্ত্রিত অতিথি এবং ফটোগ্রাফারের চোখও সেদিন শুধুই কনের দিকে থাকে. বিয়ের ছবি সুন্দর হওয়ার জন্য কনের মেকআপও সেইরকম হতে হয়. বিউটি পার্লার থেকে আরম্ভ করে এয়ারব্রাশ মেকআপ – নানা রকমের ব্রাইডাল প্যাকেজ আছে. যদি এই প্যাকেজগুলি আপনার বাজেটের বাইরে হয়ে থাকে, আপনি সহজেই বাড়িতেই ব্রাইডাল মেকআপ করে নিতে পারেন. সবার আগে নিজের পছন্দ অনুযায়ী চুল বেঁধে নিন. এরপর ফাউন্ডেশন আর লুজ পাউডার দিয়ে বেস করে করে নিন. যদি আপনার মুখে দাগ-ছোপ থাকে থাকে তাহলে কনসিলার লাগাতে একেবারে ভুলবেন না. আপনার শাড়ির রঙের কথা মাথায় রেখে আই শ্যাডো বাছুন. বিয়ের দিন কালো আইলাইনারই সুন্দর লাগবে. আইল্যাশ ঘন দেখানোর জন্য নকল আইল্যাশ লাগাতে পারেন. এবার লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁটের শেপ অনুযায়ী আউটলাইন তৈরী করে বাকি ঠোঁটে লিপস্টিক লাগান. শাইন আনার জন্য লিপগ্লস লাগাতে পারেন. ব্যাস, হয়ে গেলো বিয়ের জন্য মেকআপ!
প্রশ্ন: সিসি ক্রিম, ফাউন্ডেশন আর কনসিলারের মধ্যে কি তফাত?
উত্তর: প্রতিটি মেকআপ প্রোডাক্টের আলাদা আলাদা কাজ হয়. সিসি ক্রিম, ফাউন্ডেশন আর কনসিলারের কাজও একে অন্যের থেকে আলাদা. সিসি ক্রিম ফাউন্ডেশনের মতো দেখতে হলেও মোটেই এটা ফাউন্ডেশন না. এর পুরো নাম হলো ‘কালার কারেকশন’ ক্রিম. এটা আপনি রোজ অফিস বা কলেজ যাবার সময় ব্যবহার করতে পারেন. বেশি মেকআপ না করে সিসি ক্রিম লাগালেই মুখে একটা ন্যাচারাল গ্লো দেখা যায়. সেখানেই ফাউন্ডেশনের কাজ হলো মেকআপ-এর বেস তৈরী করা. আর মুখের দাগ-ছোপ বা লালচে ভাব ঢাকার জন্য কনসিলার ব্যবহার করা হয়.
প্রশ্ন: কত রকম ভাবে আইলাইনার লাগানো যায়?
উত্তর: নানারকমভাবে আইলাইনার লাগানো যেতে পারে. ক্যাটআই, গ্লিটারি, স্মোকিআইস আর উইংস – এগুলো এখন লেটেস্ট ফ্যাসিওন ট্রেন্ড.
প্রশ্ন: সময় অনুযায়ী কি ভাবে লিপস্টিক বাছবো?
উত্তর: কলেজ যাবার সময় হালকা পিঙ্ক শেডের লিপস্টিক লাগ্গান ঠিক, আবার যদি অফিসের মিটিং থাকে তাহলে গ্লসি লিপস্টিক না লাগিয়ে ম্যাট লিপস্টিক লাগান. কোনো বিয়েবাড়ি গেলে চেরি রঙের লিপস্টিক লাগান. এছাড়া কোনো ছোটোখাটো অনুষ্ঠান বা কলেজ বা অফিস পার্টির জন্য ন্যুড শেডের লিপস্টিক বেস্ট.
প্রশ্ন: মেকআপ ব্রাশ কতরকমের হয়?
উত্তর: প্রতিটি মেকআপ প্রোডাক্টের জন্য আলাদা আলাদা ব্রাশ হয়. বাজারে ফাউন্ডেশন ব্রাশ থেকে আরম্ভ করে আইলাইনার ব্রাশ, আই শ্যাডো ব্রাশ, ব্লাশার ব্রাশ এমনকি লিপস্টিকের ব্রাশও পাওয়া যায়.