আপনারা চাঁদনি সাহাকে (Chandni Saha) যতটা চেনেন তার চেয়ে অনেক বেশি চেনেন মনসা (Manasa) ধারাবাহিকের ‘মনসা’( Manasa) কে।সম্প্রতি এক বছর পূর্ণ করল কালার্স বাংলার এই জনপ্রিয় ধারাবাহিক।ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়োতে শুটিং চলাকালীনই ইন্টারভিউ দিলেন মনসারূপী (Manasa) চাঁদনি (Chandni)। সত্যি বলতে কী মুখের উপর একদম সত্যি কথা বলা বিরল মানুষদের মধ্যে একজন এই মিষ্টি অভিনেত্রী (actress)। চাঁদনির (Chandni) সঙ্গে কথোপকথনের কিছু অংশ তুলে ধরলাম আপনাদের জন্য।
এটা আমার চতুর্থ সিরিয়াল। এর আগে বিন্দি, কাছে আয় সই আর বেনেবউতে কাজ করেছি। আলাদা তো বটেই। প্রথমবার কোনও দেবীর চরিত্রে অভিনয় করছি।তার উপর এটাকে প্রায় কস্টিউম ড্রামাই বলা চলে। আমি খেয়ালী দস্তিদারের কাছে ওয়ার্কশপ করেছি।কারণ এর আগে কোনও পৌরাণিক চরিত্র আমি করিনি। আসলে আমাদের পরিচালক যাকে বলে সুপারফাস্ট।তাই তার সঙ্গে একবছর ধরে কাজ করতে করতে অভ্যাস্ত হয়ে গেছি।
মনসা ইজ জাস্ট লাইক মি!মনসা খুব রাগী। আর আমিও খুব দুমদাম রেগে যাই (হাসি)!আসলে দেবী মনসা সত্যি কথা বলতে ভালোবাসেন আর আমিও মুখের উপর সত্যি কথা বলে দিই। তাই এই চরিত্র করতে আমার অসুবিধা হয় না। মনসার মতো আমিও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই না। বরং গুডি গুডি চরিত্র করাটাই আমার পক্ষে সমস্যার হতো।
বড়বেলায় বেশি দুষ্টুমি করি (জোরে হাসি)। ছোটবেলায় হাতে পায়ে দুষ্টুমি করতাম না। কিন্তু কেউ ধরো নাম জিগ্যেস করল, আমিও বানিয়ে বানিয়ে নাম বলে দিতাম এরকম আর কী! শুটিং-এর সেটেও খুব আনন্দ করি। আমার যিনি বাবা মা হন এই সিরিয়ালে বা নেতি ধোপানীর চরিত্র যিনি করছেন, সবার সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। এতটাই মজা করি যে এমনও হয়েছে সিরিয়াস সিনে ফিকফিক করে হেসে ফেলেছি!
২০১০-এ আমার বাবা মারা গেছেন। বাড়িতে মা আছেন। দিদি মুম্বাইতে থাকেন। এছাড়াও কাকা কাকিমা আছেন।
এখন যা নিয়ম হয়েছে, এখন আর অতটা চাপ নেই। আগে সত্যিই কোনও জীবন ছিলনা। তাই বাড়ির লোকজন বা বন্ধুদের সঙ্গে অনেকটাই সময় কাটাই।এখন দশ ঘণ্টার বেশি কাজ করার নিয়ম নেই। আর আগেই বললাম না আমাদের পরিচালক সুপার ফাস্ট, তাই বিকেলের মধ্যেই আমাদের প্যাকআপ হয়ে যায়।
আমি যাকে বলে গান পাগল। আমাদের বাড়ির সবাই গান জানেন। সবাই খুব সুরেলা। অবসরে আমি গান শুনি, গান গাই, একটু আধটু গান লিখিও। গান আসলে আমার জিনে আছে। আমি গর্বিত যে আমি এই মিউজিক্যাল পরিবারে জন্মেছি।
একদম না। আমি খেতে খুব ভালোবাসি। ডাল, ভাত আর আলুভাজা আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার। বাইরে বেরোলে চাইনিজটাই প্রেফার করি।
আমি নানারকম স্বাদের চরিত্র করতে চাই। প্রার্থনা করছি এর পরের ধারাবাহিক যদি করি সেটা যেন পৌরাণিক না হয়।
সবাই চায়। আমিও চাই। কিন্তু সুযোগ কে দেবে? কারও দরজায় গিয়ে কড়া নেড়ে তো বলতে পারিনা আমায় কাজ দিন। আসলে আমার পিআর নেটওয়ার্ক খুব খারাপ। তাই আট বছর ইন্ডাস্ট্রিতে থেকেও বুঝলাম না কীভাবে লোকের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতে হয়!ছোটবেলা থেকে চাইতাম হিরোইন হতে, সেটাই হয়েছি। আরও ভালো তো অবশ্যই চাই। কিন্তু এখন আমি ধারাবাহিক করেই খুব খুশি।
কলকাতার লোক খুব স্মার্ট। তাই আমায় রাস্তায় দেখলে কেউ হামলে পড়ে না। আমি তো দেব বা প্রসেনজিৎ নই। আমি তো সিরিয়াল করি। আমি এমন কী বিশাল কাজ করেছি যে আমায় লোকে মাথায় তুলে নাচবে? আমি তো রিকশা করে এখনও দিব্যি ঘুরে বেড়াই।
আমি শুধু স্ল্যাপ ডে আর কিক ডে পালন করি! বাকিগুলো আমি মানিনা।
আমি সিঙ্গল নই। কিন্তু “তাঁর” নাম প্রকাশে আমি অনিচ্ছুক!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!