কাল যে মাদার্স ডে ছিল সে আর আলাদা করে আপনাদের নিশ্চয়ই বলতে হবে না! অন্যদিন মায়ের (mother) খোঁজ নিই কি না নিই, কাল টুকুস করে মায়ের সঙ্গে “তুমি আমার সব কিছু, তোমায় দিয়েই জীবন শুরু” মার্কা পোস্ট প্রত্যেকেই করেছে। আর তারকারা তো আছেনই। মওকা দেখে চওকা মেরেছেন অনেকেই। বেশিরভাগ তারকারাই কেঁদে-কেটে মায়ের পুরনো ছবি, মানে নিজেদের ছোটবেলার ছবি দিয়েছেন। তবে তার মধ্যে বিশেষ ব্যতিক্রম হলেন মিলিন্দ সোমন (Milind Soman)। তিনি মাতৃদিবস পালন করেছেন একদম অন্য মেজাজে!
সকলেই জানেন, মিলিন্দ কী অসম্ভব রকমের ফিটনেস ফ্রিক। আপনি হয়তো বলবেন, সে তো অনেক তারকাই ফিটনেস নিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি মাথা ঘামান। এতে আর নতুন কী আছে? সুপারমডেল মিলিন্দের সঙ্গে অন্য তারকাদের তফাত কোথায় জানেন? মিলিন্দ শুধু নিজে এক্সারসাইজ করে ক্ষান্ত হন না, অন্যদেরও অনুপ্রাণিত করেন শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হতে। এর জন্য খালি পায়ে ম্যারাথন দৌড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মোটিভেশনাল স্পিচ দিয়ে থাকেন তিনি। আর এমন ছেলের মা যে খুব সাধারণ হবেন না, সে কি আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে? ছেলের উপর দিয়ে আরও এক কাঠি ফিটনেস সচেতন মিলিন্দ সোমনের মা (mother) ঊষা সোমন।
স্প্লিট, বারপি থেকে শুরু করে পারফেক্ট স্প্লিট পর্যন্ত অনায়াসে করতে পারেন ঊষা। অসম্ভব মনে হচ্ছে? আজ থেকে বছরদশেক আগে শাড়ি পরে ম্যারাথন দৌড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীমতী ঊষা সোমন। আর এই আশিতে এসেও তাঁর জোশ এখনও অটুট আছে। আর তাই তো ছেলের সঙ্গে মাদার্স ডে পালন করতে ছেলের সঙ্গে কোমর বেঁধে পাল্লা দিলেন তিনি। সমুদ্র সৈকতে একসঙ্গে ১৬ খানা ডন বৈঠক দিতে দেখা গেল ঊষাকে। বিষয়টা যত সহজ বলে মনে হচ্ছে, তা কিন্তু নয়। ৮০ বছরের একজন বৃদ্ধার কাছে কোনও বিরতি ছাড়াই ১৬ খানা পুশ আপ বেশ কঠিন।তবে এতে বেজায় খুশি এবং গর্বিত হয়েছেন মিলিন্দ। ইন্সটাগ্রাম আর টুইটারে মায়ের সঙ্গে এই আশ্চর্য যুগলবন্দির ভিডিয়ো তুলে পোস্ট করেছেন তিনি। বলেছেন, ঊষা যে রীতিমতো বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিব্যি হেসে-খেলে আছেন, সেটা বেশ স্পষ্ট। আর তাই দুর্দান্ত এই মায়ের হ্যান্ডসাম ছেলে বলেছেন, “ইনি হচ্ছেন আমার মা ঊষা সোমন, যাঁর বয়স আশি!” মিলিন্দ এ-ও বলেছেন, ঊষা হচ্ছেন আশি বছরের তরুণী! আর সত্যিই তো, ভিডিয়ো দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন, কতটা উচ্ছ্বসিত এবং স্বতস্ফুর্ত ভাবে তিনি পুশ আপ করছেন। দেখুন সেই ভিডিয়ো।
মিলিন্দ বলেছেন, “ইটস নেভার টু লেট!” তাঁর মতে, প্রতিদিনই নাকি মাতৃদিবস। সত্যিই তো, ঊষার মতো এমন সুপার মম যাঁর, তাঁর কাছে প্রতিদিন মাদার্স ডে হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমরাও চাই মিলিন্দ এভাবে আরও অনেক-অনেক বছর তাঁর আদর্শ ও অনুপ্রেরণা অর্থাৎ তাঁর মায়ের সঙ্গে মাদার্স ডে পালন করুন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!