মিমি চক্রবর্তী একজন আবেগপ্রবণ মানুষ। এই তথ্য অনেকেই জানেন। কিন্তু তিনি জানেন আবেগকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। এর আগে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে তার বহু চর্চিত ‘ব্রেক আপ’ এর কথাই ধরুন। কাগজে, পত্রিকায় প্রচুর লেখালিখি হল এই নিয়ে। মিমি কিন্তু প্রকাশ্যে কখনও কিছু বলেননি।খুব সুন্দরভাবে সামলেছেন নিজেকে। বেশি করে কাজে মন দিয়েছেন।কিন্তু বিতর্ক তাকে সহজে ছাড়ে না। ইন্ডাস্ট্রি জানে এক সময় মিমি ও অন্যান্য অভিনেত্রীরা গড়ে তুলেছিলেন বিখ্যাত ‘গার্ল গ্যাং’। মিমি ছাড়াও সেই দলে ছিলেন নুসরত জাহান, শ্রাবন্তি ও সায়ন্তিকা।সায়ন্তিকা আর শ্রাবন্তি আপাতত এই দলে নেই বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু নুসরতের সঙ্গে মিমির বন্ধুত্ব এখনও অটুট। মিমি আর নুসরত পরস্পরকে নিজের বোন বা ‘বনু’ বলে পরিচয় দেন। সমস্যা কোথায় তাহলে? নুসরত ছিলেন এসভিএফ এর একচ্ছত্র রানি। পরপর ছবিতে তিনি ছিলেন নায়িকার ভূমিকায়। কথা ছিল এসভিএফের আগামী ছবি ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ এ যশের বিপরীতে থাকবেন নুসরত। নায়িকার ভূমিকায় থাকার জন্য নুসরত বিগত তিনমাস ধরে নিজেকে তৈরিও করছিলেন। রাতারাতি সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেন এসভিএফ কর্তৃপক্ষ। নুসরতের জায়গায় আসেন মিমি। সমস্যার শুরু এখানেই। যদিও এরকম হওয়া ফিল্মি জগতে নতুন কিছু নয়। নুসরত বলছেন তিনি ছবির পরিচালক শগুফতা রফিকের অন্য ছবি ‘সেভেন’ করছেন তাই এই ছবিটা করতে পারছেন না। আর মিমি বলছেন সামান্য একটা সিনেমা নিয়ে তার আর নুসরতের মধ্যে মনোমালিন্য হওয়া খুব হাস্যকর। এই ঘটনার পরেও মিমি ও নুসরতকে একসঙ্গে দেখা গেছে। ফটো সেশানও করেছেন তারা। মিমি অসম্ভব সোশ্যাল মিডিয়া কনসাশ। তিনি কথা কম বলেন কিন্তু তার ছবি অনেক কিছু বলে দেয়। কিছুদিন আগেই র্যাপ আপ হয়েছে ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ এর। আর সেই ছবিই তিনি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছেন। দেখা যাচ্ছে ছবির পুরো দলের সঙ্গে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন মিমি। সবার মুখ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে শুটিং করার সময় দারুণ মজা করেছেন সবাই। ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ শগুফতা রফিকের বাংলাতে প্রথম ছবি। এর আগে বলিউডে তিনি বিশেষ ফিল্মসের হিট ছবি, ‘রাজ- দা মিসট্রি কনটিনিউজ’ ‘রাজ থ্রি’, জিসম ২’ , ‘জন্নত ২’, ‘আশিকি ২’ র চিত্রনাট্য লিখেছিলেন। ট্যাক্সি ড্রাইভার রোম্যান্টিক থ্রিলার। এর আগে যশ ও মিমিকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল বিরসা দাশগুপ্তর ছবি ‘গ্যাংস্টার’ এ। দর্শকদের ভালো লেগেছিল এই ছবি। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য এই ছবির শুটিং করার সময়ই টার্কিতে শুটিং কো- অরডিনেটার মিলির সঙ্গে বন্ধুত্ব ঘিরেই রাজের সঙ্গে দুরত্ত্ব তৈরি হয় মিমির। যাইহোক মিমি একা একা সময় কাটাতে ভালোবাসেন। মাঝে মাঝে উত্তরবঙ্গে তার বাড়িতেও সময় কাটিয়ে আসেন। তবে কলকাতায় তার দুই সঙ্গী হল চিকু আর ম্যাক্স। মিমির দুই আদরের পোষ্য।গান শোনেন, বই পড়েন, ভক্তদের টুইটের জবাব দেন। মোদ্দা কথা হল অতীত আঁকড়ে পড়ে থাকেন না। সাহসী মিমির সাফ কথা হল যে কোনও স্বাভাবিক মানুষেরই ব্রেকআপ হয়। আমারও হয়েছে। আমি এখন সিঙ্গল তার মানে এই নয় যে আমি অতীতে আটকে আছি।
দেখে নেব মিমির জীবনের কিছু বিশেষ মুহূর্ত।
‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’ এর র্যাপ আপের ছবি পোস্ট করেছেন মিমি
মাকে তিনি অসম্ভব ভালোবাসেন
ভালোবাসেন পোষ্য ম্যাক্স ও চিকুকে
মিমির বাড়িতে হয় লক্ষ্মীপুজো