মিঠুন (mithun) চক্রবর্তীর বাবা বসন্তকুমার চক্রবর্তী প্রয়াত হলেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে মুম্বইতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বসন্তকুমার। কিন্তু লকডাউনের কারণে শেষ সময়ে বাবার কাছে থাকতে পারলেন না মিঠুন। তিনি আপাতত বেঙ্গালুরুতে।
সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুতে ছবির শুটিংয়ে গিয়ে আটকে পড়েছেন মিঠুন। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়েও ফিরতে পারলেন না তিনি। মিঠুনের বড় ছেলে মিমো এই মুহূর্তে মুম্বইতে রয়েছেন। তিনিই সামলাচ্ছেন পারিবারিক দায়িত্ব। শোনা গিয়েছে, মুম্বইতে ফেরার চেষ্টা করছেন মিঠুন। তবে তা আদৌ সম্ভব হবে কিনা, জানা নেই।
মৃত্যুকালে বসন্তকুমারের বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিডনি ফেলিওর হয়ে প্রয়াত হন তিনি। মিঠুনের মা শান্তিময়ী চক্রবর্তী রয়েছেন। মিঠুনরা চার ভাই-বোন। তিন বোনের তিনি বড় দাদা।
ক্যালকাটা টেলিফোনে কর্মরত ছিলেন বসন্তকুমার। পারিবারিক এই দুঃসময়ে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে এখনও পর্যন্ত সকলের পাশে থাকতে পারলেন না মিঠুন। যদিও এ নিয়ে তিনি বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।
দিন কয়েক আগে ঠিক একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী সানা সইদ। গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর দিন প্রয়াত হন সানার বাবা আব্দুল আহাদ সইদ। কিন্তু সে সময় তিনি লস এঞ্জেলসে ছিলেন। একটি অনুষ্ঠানে সেখানে যান তিনি। কিন্তু অনুষ্ঠানটিও বাতিল হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই বাড়িতে আসা সম্ভব হয়নি। ফলে বাবার শেষকৃত্য ভিডিও কলে দেখতে হয় তাঁকে।
সানার বাবা জনপ্রিয় কবি ছিলেন। তিনি উর্দুতে কবিতা লিখতেন। সানা ভেবেছেন, বাবার লেখা সব উর্দু কবিতা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করবেন তিনি। কবিতা লেখার বিষয়ে তাঁর বাবা নাকি অত্যন্ত প্যাশনেট ছিলেন। ফলে মেয়ে হিসেবে সেই সব কবিতা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াটা নিজের দায়িত্ব বলে মনে করেন সানা।
এই ব্যক্তিগত শোকের সময় সানা পাশে পেয়েছিলেন তাঁঁর বৃহত্তর পরিবারকে। অর্থাৎ তাঁর কাজ যাঁরা পছন্দ করেন, তাঁরা এই দুঃসময়ে সানাকে সমবেদনা জানিয়েছেন। মুম্বইতে মা এবং বোনেদের জন্য চিন্তা হলেও এখন ফিরে আসার কোনও উপায় নেই তাঁর। এই পরিস্থিতিতে মানসিক ভাবে আরও শক্ত থাকতে হবে তাঁকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি মুম্বইতে ফিরবেন। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত নিজেকে সুস্থ রাখার দায়িত্ব নিজেরই। আপাতত একাই রয়েছেন তিনি। তাই এই পরিস্থিতিতে তাঁর জন্যও চিন্তায় রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।