নায়িকাদের নিয়ে এই হচ্ছে বিপদ জানেন তো! আমাদের মনে হয় তাঁরা বুঝি সেই স্বপ্নলোক থেকে ঝপাং করে নেমে আসা সুন্দরী! কিন্তু তাঁরা নিজেরাই দিনরাত নিজেদের নিয়ে খুব টেনশনে ভোগেন। আয়নার দিকে বিনা মেকআপে তাকান আর বলেন, “ওমা তোর নাকটা যে বেঁকা লো!” আবার কখনও তাঁদের মনে হয়, এই যে চক্ষু জোড়া সেটা যতক্ষণ না পর্যন্ত ফুটবলের আকারে ড্যাবাড্যাবা হচ্ছে, ততক্ষণ ভাল লাগছে না। তার সঙ্গে আবার ঠোঁটও আছে। লোকের তো পয়সা কড়ি হলে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয় শুনেছি। নায়িকাদের আবার ঠোঁট ফুলে কোলবালিশ না হলে ঠিক ইয়ে হয় না।
স্বর্ণযুগের যারা নায়িকা ছিলেন, যেমন, সুরাইয়া, মধুবালা, নার্গিস এমনকী, আমাদের মহানায়িকা সুচিত্রা সেন ছিলেন প্রকৃত সুন্দরী। মেকআপ ছাড়াও তাঁরা পাবলিক অ্যাপিয়ারেন্স দিতেন এবং তখনও লোক তাঁদের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে থাকত। এখন অবিশ্যি দিনকাল পাল্টেছে। কমপিটিশনের যুগ ভাই। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হবে তো নাকি? তা হলে আর কী, চলো প্লাস্টিক সার্জেনের (plastic surgery) কাছে। বদলে দাও মুখের নকশা। দেখুন, টাকা থাকলে ভুতের বাবারও হ্যাপি বার্থডে হয়, বিড়ালের অন্নপ্রাশন হয়, আরও না জানি কত কী হয়! কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, এই চোখ-নাক সার্জারি করাটা ধীরে-ধীরে একটা নেশায় পরিণত হয়। তখন বোধ হয় নায়িকারা স্কেল নিয়ে মাপতে বসেন। কই, ওর নাকটা তোমা পয়েন্ট ১ ইঞ্চি বেশি লম্বা, আমারটা নয় কেন? তা হলে কি আমার নাক বোঁচা?
শেষে কিনা মৌনী রায়ও (Mouni Roy) এই চক্করে পড়লেন? আর নেটিজেনরা যে মুখে (trolled) কুলুপ এঁটে বসে থাকার লোক নন, সে তো আপনারা জানেনই। একের পর এক প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে মৌনীর আসল সৌন্দর্য কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। মৌনী নিজে অবশ্য বলেছেন তাঁকে নাকি অমন পুতুলপানাই দেখতে। ফোলা ঠোঁট আরও ফুলিয়ে বলেছেন, “যাও তোমরা যারা এসব লিখেছ, তাঁদের আমি জম্মেও ইন্টারভিউ দেব না!” যাক গে, আসল কথা হল, কাল ছিল সলমন খানের ভারতবিখ্যাত ‘ভারত’ ছবির প্রিমিয়ার। সেখানে মৌনীকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল আবার সার্জারি করেছেন তিনি! আর এই নিয়েই ট্রোলড হতে হয়েছে তাঁকে।
মৌনীর ছবিতে এই কমেন্ট দেখা গেছে
আগের বার বোধ হয় ঠোঁট ফুলিয়েছিলেন সার্জারি করে, আর এবার গাল উঁচু করিয়েছেন। দেশে এই সব সার্জারি আকছারই ঘটে। সেখানে এসব নিয়েও কেউ পাত্তা দেয় না। আর কেউ লুকোয় না। আমার নাক আমি শূর্পণখার মতো কেটে ফেলি আর গালের মাংস ছেঁটে ফেলি তাতে আপনার কী? কিন্তু আমাদের ভারতীয় নায়িকারা হলেন ঘোমটা ও খ্যামটার অপূর্ব যুগলবন্দী। তাঁরা সার্জারি করাবেন কিন্তু ধরি মাছ না ছুঁই পানি গোছের ভাব করবেন।
এই ধরনের কমেন্ট করা হয়েছে মৌনীর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে
আর মৌনী আপনাকে বলছি, সার্জারি নয়, সাফল্য পেতে দরকার পরিশ্রম আর প্রতিভা। কোয়না মিত্রকে আমরা কেউ মনে রাখিনি। আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমরা প্লাস্টিক বর্জনের কথা বলব, প্লাস্টিক সার্জারির কথা নয়। আশা করছি আপনি বুঝতে পারবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!