ADVERTISEMENT
home / ওয়েলনেস
চোট-আঘাত থেকে জ্বর-জ্বালা, নানা রোগের চিকিৎসায় বাড়িতে রাখুন এই হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলি

চোট-আঘাত থেকে জ্বর-জ্বালা, নানা রোগের চিকিৎসায় বাড়িতে রাখুন এই হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলি

অ্যালোপ্যাথিক ওষুধে রোগ সারে দ্রুত। তাই তো ছোট-বড় নানা রোগ-ব্যাধির চিকিৎসায় সিংহভাগই অ্যালোপ্যাথিক মেডিসিনের উপর ভরসা রেখে থাকেন। আমরা অনেকে তো আবার নিজেরাই ডাক্তার! কিংবা ওযুধের দোকানের কেমিস্টের উপরই বেশি ভরসা করি! তাই ছোটখাটো সর্দি-কাশি-জ্বরজারিতে ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ওষুধের দোকানের ছেলেটির উপর ভরসা করে তার পরামর্শমতো ওষুধ খেয়েও ফেলি! অথচ ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ ওষুধ কিনতে বরাবর বারণ করেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু সেকথায় কর্ণপাত করেন না কেউই। ফলে নানা ঝক্কি সামলাতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যখন অ্যালোপ্যাথিক মেডিসিন খাওয়া চলবে না, তখন ছোটখাটো নানা রোগের চিকিৎসায় কিন্তু হোমিওপ্যাথি মেডিসিনের উপর ভরসা রাখতে পারেন। কারণ, হোমিও মেডিসিনও সমান দক্ষতায় রোগ-ব্যাধির চিকিৎসা করে। উপরন্তু এই সব মেডিসিনের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই। তাই তো এই হোমিওপ্যাথি (homeopathy) ওষুধগুলি বাড়িতে মজুত রাখতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছোটখাটো রোগের চিকিৎসায় ৩০ সি potency-এর হোমিওপ্যাথি মেডিসিন খেলেই উপকার মেলে। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে ছোট বাচ্চা বা বয়স্ক মানুষদের হোমিওপ্যাথি মেডিসিন খাওয়াতে যাবেন না যেন!

১. অ্যাকোনাইট (ACONITE)

গলা ব্যথা এবং মাথা যন্ত্রণা কমাতে এই ওষুধটির কোনও বিকল্প নেই। স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটির প্রকোপ কমাতেও অ্যাকোনাইট দারুণ কাজে আসে। হঠাৎ করে কোনও খারাপ খবর শোনার কারণে মানসিক ধাক্কা পেলে এই ওষুধটি খেতে পারেন, তাতে মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কমবে।

২. অ্যাপিস (APIS)

পোকামাকড় কামড়ানোর যন্ত্রণা কমাতে এই ওষুধটি যেমন বেশ কাজে আসে, তেমনই অ্যালার্জির প্রকোপ কমাতেও অ্যাপিসের জুড়ি মেলা ভার।

৩. আর্নিকা (ARNICA)

ব্যথা-যন্ত্রণা এবং ট্রমার চিকিৎসায় কাজে আসে এই ওষুধটি। তাই তো যাঁরা নিয়মিত খেলাধুলো করেন, তাঁরা বাড়িতে এই ওষুধটি রাখতে ভুলবেন না! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আর্নিকা খেলে jet-lag-এর প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না।

ADVERTISEMENT

৪. আর্সেনিকাম (ARSENICUM)

food-poisoning-এর মতো রোগের চিকিৎসায় আর্সেনিকামের মতো ওষুধকে কাজে লাগালে চটজলদি উপকার মিলবে। পেট খারাপের সঙ্গে যদি শরীরের তাপমাত্র কমে যাওয়া, স্ট্রেস লেভেল বেড়ে যাওয়া এবং পেটে জ্বালা হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়, তা হলেও এই ওষুধটি খাওয়া যেতে পারে।

৫. বেলেডোনা ( BELLADONNA)

জ্বর, সানস্ট্রোক এবং ফোঁড়ার চিকিৎসায় এই ওষুধটিকে কাজে লাগাতে পারেন। তবে দিনে কত বার, কতটা পরিমাণে ওষুধটি খেলে উপকার মিলবে, সে সম্পর্কে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে ভুলবেন না।

৬. ক্যালেনডুলা ( CALENDULA)

মুখে কি আলসার হয়েছে? তা হলে ঝটপট এই ওষুধটি কিনে এনে খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন, রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগবে না। কাটাছেঁড়া এবং বার্ন ইনজুরির চিকিৎসাতেও ক্যালেনডুলা কাজে লাগালে বেশ উপকার মেলে।

৭. নাক্স ভমিকা (NUX VOMICA)

শরীর খারাপের কারণে কি মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে? খেতে পারেন নাক্স ভমিকা। তাতে চটজলদি উপকার মিলবে। পেট খারাপ এবং মাথা যন্ত্রণার চিকিৎসাতেও এই ওষুধটি বেশ কাজে আসে।

ADVERTISEMENT

৮. রাস টক্স (RHUS TOX)

জয়েন্ট এবং পেশির যন্ত্রণা কমাতে যেমন রাস টক্স ওষুধটিকে কাজে লাগানো যেতে পারে, তেমনই আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমাতেও এই ওষুধটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। চিকেন পক্সের চিকিৎসাতেও কাজে আসে ওষুধটি।

৯. হাইপেরিকাম (HYPERICUM)

নার্ভে লাগা চোট-আঘাতের চিকিৎসায় কাজে লাগাতে পারেন এই ওষুধটি। কোনও কারণে হওয়া তীব্র যন্ত্রণা কমাতেও হাইপেরিকাম ওষুধটি বেশ কাজে আসে।

১০. সালফার (SULPHUR)

itchy skin-এর মতো সমস্যার প্রকোপ কমাতে এই ওষুধটিকে কাজে লাগালে উপকার পেতে সময় লাগে না।

সবশেষে একটা কথাই বলার, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা রোগীর অনুভূতি এবং রোগের লক্ষণকে মাথায় রেখে করা হয়। তাই ছোটখাটো রোগের চিকিৎসায় এই ওষুধগুলিকে কাজে লাগানো গেলেও বড় কোনও শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও ওষুধ খাবেন না!

ADVERTISEMENT

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

07 Aug 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT