যে কোন সম্পর্ক (relationship) তৈরি করা খুব সহজ কিন্তু সেই সম্পর্কটিকে ঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়। দুটো মানুষ যখন একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, বিশেষ করে তা যদি বিয়ের মতো সম্পর্ক হয়, তাহলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য ভালোবাসার সাথে সাথে আরও অনেকগুলো ফ্যাক্টর মাথায় রাখা জরুরি। মিউচুয়াল রেসপেক্ট (mutual respect) বা পারস্পরিক বোঝাপড়া এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি আপনার পার্টনারকে (partner) সম্মান করতে না পারেন কিম্বা আপনার পার্টনার যদি আপনাকে সবসময়েই ডমিনেট করেন তাহলে কিন্তু বড় সমস্যা! মুখে শুধু ভালোবাসি বললেই হয়না, আপনার সঙ্গীর মতামতকেও সম্মান দেওয়াটা সমানভাবে প্রয়োজন একটা সুস্থ সম্পর্কে থাকার জন্য। এই ৬টা বিষয় একটু মাথায় রাখেলেই কিন্তু সম্পর্কের (relationship) সমীকরণ সহজ হয়ে উঠতে পারে –
আরো পড়ুনঃ কোটস যা সম্পর্কের বাঁধন আরও মজবুত করবে
১। সারাক্ষন পার্টনারকে দোষারোপ করবেন না
কোন মানুষই পারফেক্ট নয়, কিন্তু সেটা নিয়ে যদি আপনি সারাক্ষন আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে দোষ দিতে থাকেন, তাহলে একটা সময় পরে কিন্তু অন্য মানুষটি আপনার কথায় আর কোন গুরুত্বই দেবেন না; এবং সেটা যে আপনাদের সম্পর্কে (relationship) আরও বেশি তিক্ততা সৃষ্টি করবে সেবিষয়ে নিশ্চই আমাকে নতুন করে আর কিছু বলে দিতে হবেনা!
২। পার্টনারের যেকোনো জয় সেলিব্রেট করুন
ধরুন আপনার পার্টনার (partner) অফিসে প্রমোশন পেয়েছেন, ওনার সেই আনন্দটাকে ওনার সাথে অবশ্যই ভাগ করে নিন। ওনার পছন্দের কোন খাবার রান্না করতে পারেন কিম্বা নিদেন পক্ষে একগোছা ফুল তো উপহার দিতেই পারেন, তাই না? এতে উনিও খুশি হবেন এবং আপনাদের সম্পর্কের উন্নতিও ঘটবে।
৩। স্পর্শ করুন
স্পর্শ মানে এখানে সেক্সুয়াল টাচের কথা বলা হয়নি। মাঝেমধ্যেই পার্টনারকে (partner) জড়িয়ে ধরুন কিম্বা গালে বা কপালে আলতো করে চুমু খান। হিউম্যান টাচ একটা সম্পর্কের ভীত মজবুত করতে অনেক সাহায্য করে।
৪। উৎসাহ দিন
হতেই পারে যে আপনার পার্টনার হয়ত খুব ভালো গান গাইতেন কিম্বা ছবি আঁকতেন; কিন্তু এখন কাজের চাপে কিম্বা অন্য কোন কারণে সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। ওনাকে আবার নিজের হবি পারস্যু করতে উৎসাহ দিন, সেরকম হলে আপনিও ওনার সাথে নিজের হবি আবার পারস্যু করতে পারেন।
৫। “মি টাইম”-কে গুরুত্ব দিন
আপনারা একটা সম্পর্কে আছেন মানে কিন্তু এই নয় যে সারাক্ষন একে অপরের সাথে চিপকে থাকবেন। ‘উই টাইম’ যেমন জরুরি, ঠিক সেরকমই ‘মি টাইম’ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের সাথে কিছুটা সময় আপনিও কাটান আর ওনাকেও সেই স্পেসটা দিন। তা নাহলে কিছুদিন বাদে সম্পর্কটা দমবন্ধ লাগতে পারে।
৬। তুলনা করা বন্ধ করুন
অমুকের বর কত ভাল আর তমুকের বউ কত সুন্দর ঘরকন্না করতে পারে, সেবিষয়ে আলোচনা বন্ধ করুন। এইসব তুলনা সম্পর্কে তিক্ততা ছাড়া আর কিছুই সৃষ্টি করেনা। আপনার সঙ্গী কীরকম, সেটা বিয়ের আগে আপনি নিশ্চই জানতেন; তাহলে এখন তাঁকে কেন অন্যের সাথে তুলনা করছেন?
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
Lip Kiss শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী
Boyfriend কে ভালোবেসে এই Nickname এ ডাকুন