আসলে সব ব্রতর গল্পই শুরু হয় এক ভাবে আর সময়ের বাঁকে তাতে এসে জোড়ে আরও নানা গল্প! সে আপনি শিবরাত্রিই বলুন কিংবা করওয়া চৌথ (Karva Chauth)! প্রথমটি বাঙালি মেয়েদের কাছে পরিচিত মনের মতো স্বামী পাওয়ার জন্য উপোসের দিন হিসেবে আর দ্বিতীয়টি নিয়ে তো এখন ভারতীয়দের মাতামাতি সুবিদিত, ক্রেডিট গোজ টু বলিউড! যদিও বাঙালিরা করওয়া চৌথ নিয়ে খুব একটা এখনও মাথা ঘামান না। কিন্তু ভেবে দেখুন, আজ থেকে বছরদশেক আগে ধনতেরাস নিয়েও আমরা মাথা ঘামাতাম না। কালীপুজোর আগের দিন চোদ্দো শাক খেয়েই মোটামুটি শান্তিতে থাকতাম! আর এখন রাত জেগে কোল্ড ড্রিঙ্কের বোতল হাতে গয়নার দোকানের বাইরে লাইন দিই কিনা! খাঁটি বাঙালি জুয়েলাররাও ধরতেরাস উপলক্ষে এখন ধনবর্ষা করে থাকেন! তাই কয়েকবছর পরে যদি দেখেন যে, লক্ষ্মীপুজোর পরে বাঙালি মহিলারা হামলে পড়ে করওয়া চৌথের জন্য শাড়ি-গয়না কিনছেন, একটুও অবাক হবেন না। আমরা হুজুগে জাতি, কখন কোন উৎসব (Festival) আমাদের মনে ধরে যায়, কিচ্ছুটি বলা যায় না!
যাক গে, সময় থাকতে-থাকতে বরং করওয়া চৌথ সম্বন্ধে ইনফো সংগ্রহ করে রাখুন, যুদ্ধের বাজারে কখন দরকার পড়ে বলা যায় না!
১. করওয়া চৌথ কেন পালন করা হয়
এখানে একটা মজা আছে! ওই যে, বলছিলাম না, সব ব্রত শুরু হয় এক গল্প (story) নিয়ে আর তারপর সেই গল্পের গোরু অন্য গাছে উঠে একেবারে যাচ্ছেতাই কাণ্ড করে…এটাও অনেকটা সেরকম। কার্তিক মাসের পূর্ণিমার চার দিন পরে চতুর্থীর দিন পালিত হয় করওয়া চৌথ। এটি উত্তর ভারতের অন্যতম নামী উৎসব, দিওয়ালির আগেই আসে বলে এর জাঁকজমকও বেশ। এটি আসলে নতুন শস্য বপনের উৎসব ছিল গোড়াতে! মানে, হেমন্তকালে যে রবি শস্য পোঁতা হবে, সেই নতুন শস্য বপনের আগে কিঞ্চিৎ হইচই আর কী। করওয়া মানে হল মাটির ঘট। এই মাটির ঘটে আগামী ঋতুতে যে-যে শস্য বপন করা হবে, তার বীজ রেখে, সেই ঘটের পুজো করা হত। এটি হল আদ্যিকালের কথা। এবার আসি বর্তমান প্রসঙ্গে। এই গল্পের সঙ্গে হিন্দি সিরিয়াল-ছবিতে যে করওয়া চৌথ দেখে আমরা অভ্যস্ত, তার গল্প একেবারেই মিলবে না। আসলে, পরবর্তীকালে এই শস্য বপন উদযাপনের পাশাপাশি, এটির সঙ্গে সংসার এবং পরবর্তীকালে স্বামীর মঙ্গলকামনা কীভাবে যেন জুড়ে যায়! তার জন্য দায়ী অনেক ধরনের লোকগাথা। এসবের তালোগোলেই শস্য গিয়েছে বেরিয়ে, তার জায়গায় জাঁকিয়ে বসেছে স্বামীর মঙ্গলকামনায় সারা দিন উপোস করে অথচ সেজেগুজে থাকা সুন্দরী বউ! যাই বলুন, চাট্টি বীজের চেয়ে টুকটুকে লাল সাজে সাজা বউ দেখতে অনেক ভাল!
২. কোথায়-কোথায় পালিত হয় এই উৎসব
সারা উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্য ভারতে পালিত হয় করওয়া চৌথ। তালিকায় আছে উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের নাম। উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে বিবাহিতা মহিলারা নিজেদের মধ্যে করওয়া পালটাপালটি করেন এদিন। উত্তরপ্রদেশে অনেকে আবার মাটি দিয়ে গৌর মাতা-র মূর্তি তৈরি করে তার পুজোও করেন এদিন। পঞ্জাব-হরিয়ানায় আবার যাঁরা ব্রত পালন করছেন, তাঁরা গোল হয়ে বসে ব্রতকথা শোনেন, হাতে-হাতে ঘুরতে থাকে পুজো স্পেশ্যাল থালিটি। সকলে লাল রংয়ের পোশাকে সাজেন, হাতে লাগান মেহন্দি। সারা দিন নির্জলা উপোস করে রাতে চালুনি কিংবা চুনরির মধ্যে দিয়ে চাঁদ দেখে স্বামীর হাত থেকে জল খেয়ে তবে উপবাস ভঙ্গ করেন।
যেখানেই পালিত হোক, যে কারণেই পালিত হোক, একটা দিন উপোস তো, করবেন কিনা ভেবে দেখতে পারেন! সারা দিন সেজেগুজে গুচ্ছের ফোটো অপ তো পাবেনই, উপরি পাওনা হিসেবে পতিদেবতাটি গদগদ হয়ে উপহার-টুপহারও দিয়ে ফেলতে পারেন কিন্তু!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…