ADVERTISEMENT
home / রূপচর্চা ও বিউটি টিপস
প্রাকৃতিক রঙে রাঙিয়ে তোলো চুল! (natural hair color)

প্রাকৃতিক রঙে রাঙিয়ে তোলো চুল! (natural hair color)

কেতাদুরস্ত জামাকাপড় তো রয়েছেই। সেই সঙ্গে নিজেকে আরও একটু ফ্যাশনেবল করে তুলতে আমার মনে হয় তোমরা সবাই প্রায় চুলে রং (hair color) করে থাকো, কি করো তো? কিন্তু একথা জানো কি এই সব বাজার চলতি হেয়ার ডাইগুলিতে এত পরিমাণে কেমিকাল থাকে যে তা চুলের সংস্পর্শে আসা মাত্র মাত্রাতিরিক্ত হারে হেয়ার ফল হওয়ার মতো সমস্যা তো লেজুড় হয়ই, সেই সঙ্গে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। শুধু কি তাই, গবেষণা বলছে এই সব হেয়ার ডাইগুলি বারে বারে চুলে লাগালে হেয়ার গ্রোথ আটকে যায়। সেই সঙ্গে চুল এবং স্ক্যাল্প সম্পর্কিত নানাবিধ সমস্যা ঘাড়ে চেপে বসার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো বলি, চুল যদি বাঁচাতে হয়, তাহলে আর বাজার চলতি রং নয়, বরং এবার থেকে ভরসা রাখো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি কালার ডাইয়ের উপর।

আসলে নানাবিধ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে কালার (natural hair color) তৈরি করতে খরচ যেমন কম হবে, তেমনি চুলের তো কোনও ক্ষতি হবেই না, উল্টে উপকার মিলবে হরেক রকমের। তাই আর অপেক্ষা নয়! চলো ঝটপট জেনে ফেলা যাক চুলের নানান শেডের জন্য কালার তৈরি করতে কী কী প্রাকতিক উপাদান, কতটা পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কে (how to make natural hair dye at home)…

১. লেবুকে কাজে লাগিয়ে করো হাইলাইট:

1
বিশেষ ধরনের এই ডাইটা বানাতে প্রয়োজন পড়বে পরিমাণ মতো লেবুর রস এবং জলের। সেই সঙ্গে জোগাড় করতে হবে একটা স্প্রে বোতলও। সবকটি উপাদান হাতের কাছে নিয়ে স্প্রে বোতলে সম পরিমাণে জল এবং লেবুর রস মিশিয়ে চুলের যে যে অংশে হাইলাইট করতে চাও, সেখানে ভালো রকমভাবে স্প্রে করতে হবে। তারপর কম করে এক ঘন্টা রোদে দাঁড়াতে হবে। কারণ লেবুর রস যত রোদের তাপ পাবে, ততই হাইলাইট ভালো রকমভাবে হবে। আর যদি রোদে দাঁড়াতে মন না চায়, তাহলে হেয়ার ড্রায়ারও ব্যবহার করতে পারো।

রোদে এক ঘন্টা দাঁড়ানোর পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিয়ে কন্ডিশানার লাগিয়ে ভালো করে মাসাজ করতে হবে। এইভাবে টানা এক সপ্তাহ যদি এই পদ্ধতিটি (natural hair color) অনুসরণ করতে পারো, তাহলে কাঙ্খিত ফল পেতে দেখবে একেবারেই সময় লাগবে না।

ADVERTISEMENT

২. লালের ছোঁয়া পাক চুল:

2
অনেকেই নিশ্চয় চুলে লাল বা বাদামী রং (hair color) করতে নানান কোম্পানির হেয়ার ডাই ব্যবহার করে থাকো। কিন্তু জানো কি বাজার চলতি এইসব কেমিকাল ভর্তি ডাই ব্যবহার না করেও চুলকে লাল শেড দেওয়া সম্ভব (homemade brown hair dye)। তবে তার জন্য গাজর এবং বিটের রসের সাহায্য নিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে ১ কাপ বিটের রস, হাফ কাপ গাজরের রস এবং একটা স্প্রে বোতলের। সবকটি উপাদান জোগাড় করার পর স্প্রে বোতলে দুটি রসকে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর সারা মাথায় সেই মিশ্রনটি স্প্রে করে কম করে এক ঘন্টা রোদ পোয়ানো জরুরি। আর সময় হয়ে গেলে ভালো করে চুলটা ধুয়ে নিতে হবে। ইচ্ছা হলে শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে পারো। তবে সবশেষে কন্ডিশানার লাগাতে ভুলো না যেন! সপ্তাহে ১-২ বার এই ঘরোটা টোটাকাটিকে কাজে লাগালে দেখবে চুল হয়ে উঠবে উজ্জ্বল রক্তিম বর্ণের।

৩. সাদা চুলকে কালো করো অ্যাপেল সিডার? ভিনাগার এবং সয়া সসের সাহায্যে:

3
অসময়ে চুল পেকে যাওয়ার কারণে কি চিন্তায় রয়েছো? তাহলে আজ থেকেই চুলের পরিচর্যায় কাজে লাগাও অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এবং সয়া সসকে। আসলে এই দুটি উপাদানের সাহায্যে চুলের পরিচর্যা করলে বাস্তবিকই একটাও সাদা চুল খুঁজে পাওয়া যাবে না (homemade hair dye for grey hair)। তবে এমন উপকার পেতে হাফ কাপ অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে হাফ কাপ সয়া সস। তারপর শ্যাম্পুর সাহায্যে চুল ধুয়ে নিয়ে ভালো করে কন্ডিশনার লাগিয়ে নিতে হবে। কিছু সময় অপেক্ষা করার পর অ্যাপেল সিডার ভিনিগার এবং সয়া সস দিয়ে তৈরি মিশ্রনটির সাহায্যে আরও একবার চুল ধুয়ে নিতে হবে। এরপর কিন্তু চুলে আর জল লাগানো চলবে না। কারণ এই মিশ্রনটি চুলে যত বসবে, ততই কিন্তু দারুন ফল মিলবে! সপ্তাহে ২-৪ বার এইভাবে চুলের পরিচর্যা করলেই দেখবে উপকার মিলতে শুরু করেছে।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

22 Feb 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT