Uneven Skin tone, মানে সোজা বাংলায় যাকে বলে মুখের ত্বকের নানা অংশের নানা রকম রং! এটি একটি বড় অদ্ভুত সমস্যা। অনেকসময় রোদে পুড়ে, নানা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট কিংবা মেকআপ সরঞ্জামের উল্টোপাল্টা ব্যবহার, হরমোনাল চেঞ্জ ইত্যাদি নানা কারণে ত্বকের রং বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন শেডের হয়ে যায় অনেক সময়। আর মেকআপ ছাড়া সেই স্কিন টোন সমান করার কোনও উপায়ই থাকে না। আবার মেকআপ বেশি ব্যবহার করাও সম্ভব নয় সব সময়। বেশ একটা শাঁখের করাতের মতো ব্যাপার আর কী। যদি হরমোনাল চেঞ্জের কারণে এই সমস্যা ঘটে থাকে, তা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। আর যদি বাকি কারণগুলি এই আনইভন স্কিন টোনের কারণ হয়, তা হলে এখানে বলে দেওয়া ঘরোয়া উপায়গুলিকে আপন করে নিন। এগুলি প্রতিটিই ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক (natural ways), তাই এগুলো ব্যবহার করলে ক্ষতি তো হবেই না, আখেরে লাভের অঙ্কই বাড়বে।
১. নারকেল তেল, লেবু আর চিনি
লেবু হল ন্যাচারাল ব্লিচ, যা ত্বকের দাগছোপ দূর করতে অব্যর্থ। অন্যদিকে নারকেল তেল ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। আর এই টোটকায় চিনি ব্যবহার করা হচ্ছে ত্বকের উপরে জমে থাকা মরা কোষ সরানোর জন্য। এক চা চামচ নারকেল তেল, আধ চা চামচ লেবুর রস আর এক টেবিলচামচ বড় দানার চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে তা দিয়ে মুখ আলতো হাতে স্ক্রাব করুন যতক্ষণ না চিনি গলে যাচ্ছে। চোখের চারপাশে এই স্ক্রাবটি লাগাবেন না। এরপর ঈষদুষ্ণ জলে মুখে ধুয়ে ফেলুন।
২. টোম্যাটো, মধু আর লেবুর রস
টোম্যাটো ত্বকের দাগছোপ দূর করে মুখে ইভন টোন ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে পুরোমাত্রায়। এই তিনটি প্রাকৃতিক উপাদানের সম্পূর্ণ সুফল পেতে চাইলে এক টেবিল চামচ করে মধু ও টোম্যাটোর রস মেশান একসঙ্গে, তার মধ্যে দিয়ে দিন দুই-তিন ফোঁটা লেবুর রস। এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে মিনিটপনেরো রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৩. কাঁচা পেপে ও দুধ
কাঁচা পেপেতে আছে প্যাপিন এবং আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড। এই দু’টি উপাদানই ত্বকের রং সমান করতে এবং ব্রণ-ফুসকুড়িজনিত দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আর কাঁচা দুধের উপকারিতা সম্বন্ধে নতুন করে বলার মতো কিছুই নেই। এক কাপ পেঁপের টুকরো নিয়ে তা ভাল করে গ্রেট করে নিন। এবার তার সঙ্গে দুই টেবিলচামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে তা মুখে সমানভাবে লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পরে মুখ ধুয়ে নেবেন ঠান্ডা জলে।
৪. কমলালেবুর রস এবং কাঁচা হলুদ
পিগমেন্টেশন এবং ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে এই টোটকাটিতে কাজে লাগানো হচ্ছে কমলালেবুর রস। আর কাঁচা হলুদ কাজে আসবে ত্বকের স্বাভাবিক টোন ফিরিয়ে আনতে। এক টেবিলচামচ কমলালেবুর রস ও এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন মিনিটদশেকের জন্য। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
৫. লাল চন্দনবাটা, হলুদবাটা ও কাঁচা দুধ
সাদা নয়, এই টোটকায় কাজে লাগাতে হবে লাল চন্দনবাটা। রক্তচন্দনের অ্যান্টি এজিং প্রাপার্টিজ আছে। তাই যদি আনইভন স্কিনটোন বয়স বাড়ার কারণে হয়ে থাকে, তা হলে এই চন্দনবাটা তা কমাতে সাহায্য করবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..