ব্রিটেনে নতুন করে কিন্তু করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন করে সংক্রমিত হচ্ছেন অনেকেই। অন্তত কোভিড-১৯ এর থেকে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাস (new strain of coronavirus found in UK) । একইভাবে মানুষ অসুস্থ হচ্ছেন। ব্রিটেনের নতুন করোনা স্ট্রেন কিন্তু আতঙ্ক ছড়াচ্ছে আবার। তবে এই করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর থেকেও ভয়ঙ্কর কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। এদিকে আজ অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর সকালেই ভারত-ব্রিটেনের সমস্ত উড়ান বাতিল করা হয়েছে। অন্তত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব উড়ান বাতিল থাকবে। লন্ডন থেকে যে বিমান আজ সকালে কলকাতা এসে পৌঁছায়, সেই বিমানে যাত্রীদের মধ্যে দুজন করোনায় আক্রান্ত। তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তবে তাঁরা দুজনেই উপসর্গহীন।
ভারতে এই মুহূর্তে সংক্রমণের হার যথেষ্ট কম। আজ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজারেরও নিচে। যা জুলাই মাসের পর এই প্রথম। অর্থাৎ, তুলনামূলক ভাল পরিস্থিতিতে রয়েছে ভারত। অন্তত, সেপ্টেম্বর মাসে করোনা সংক্রমণের যে হারের সাক্ষী ছিল দেশ, তার থেকে অনেকাংশেই আজ সংক্রমণের হার কম। লকডাউনের পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে একটু একটু করে। কিন্তু এই মুহূর্তে ব্রিটেনের পরিস্থিতি (new strain of coronavirus found in UK)সবাইকে আবার ভাবাচ্ছে।
এই সময়ে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে…
কলকাতায় আজ সকালে বিমানে যে দুজন করোনা সংক্রমিত মানুষ এসেছেন, তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি নতুন স্ট্রেনই হয়, তবে তা বেশ চিন্তার হবে অবশ্যই। কিন্তু নতুন স্ট্রেন আরও দ্রুত হারিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে অবশ্যই, তবে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হলেও উপসর্গ সেই একইরকম হবে বা আক্রান্ত ব্যক্তি উপসর্গহীনও থাকতে পারেন (new strain of coronavirus found in UK)।
কী কী উপসর্গ দেখা দিতে পারে
আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন…
- জ্বর
- গলা ব্যথা
- ক্লান্তিভাব
এর সঙ্গে
- গায়ে ব্যথা
- ডায়রিয়া
- মাথা যন্ত্রণা
- স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি চলে যেতে পারে
এইসব উপসর্গও আসতে পারে।
তাহলে এই মুহূর্তে কী করা উচিত?
আমাদের আগের মতোই খুবই সতর্ক থাকতে হবে। বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেরকম প্রায় সম্পূর্ণ বছরটাই আমরা অনেক কিছু স্যাকরিফাইস করেছি। সেইরকমই এই সময়টাও আমাদের সেভাবেই চলতে হবে। যাতে অন্তত ২০২১টা আমাদের ভাল কাটে খুব। আর কোনও সংক্রমণ আমাদের জীবন বদলে দিতে না পারে (new strain of coronavirus found in UK)। তার জন্য
- নিয়মিত হাত ধুতে হবে।
- বাইরে বের হওয়ার সময় স্যানিটাইজ়ার নিয়ে বের হতে হবে। প্রয়োজন মত হাত স্যানিটাইজ় করে নিতে হবে।
- মাস্ক পরে থাকতে হবে।
- সংক্রমিত ব্যক্তি বা যিনি কোভিড সংক্রমিতের কাছে এসেছেন, তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
- ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।
- ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে।
- নিজেদের আরও অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে।
- যেভাবে সংক্রমণ হতে পারে, তার প্রতিটা দিকই খেয়াল রাখতে হবে।
করোনার নতুন স্ট্রেনকে রুখে দিতে পারব আমরাই…
এই মুহূর্তে যেহেতু দেশে এখনও ভ্যাক্সিনেশন শুরু হয়নি, তাই সতর্কতার ও নিরাপত্তার অনেকটাই আমাদের উপরেই নির্ভর করছে। আমাদের জীবনশৈলীর উপরেই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়ার অনেকটাই নির্ভরশীল। আরও একটা লকডাউনের কথা আমরা ভাবতে পারি না। তাই এই মুহূর্তে সতর্কতাই এক মাত্র পথ। যেন ভারতের সুস্থতার হার আরও বাড়তে থাকে। যেন আরও বেশি পরিমাণে মানুষ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। সবরকম পরিস্তিতিতেই আমরা কোভিডের মোকাবিলা করতে পারি। শুধু ভয় না পেয়ে মানুষের পাশে থাকতে হবে, তাহলেই আমরা যেকোনও পরিস্থিতিতে লড়াই চালিয়ে যেতে পারব ! ব্রিটেনের নতুন করোনা স্ট্রেন আমাদের কাবু করতে পারবে না।
POPxo এখন চারটে ভাষায়!ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন
#POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন
নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!