প্রায় দিনই আমার এমন কিছু সাদা রঙের খাবার খেয়ে থাকি, যা আসলে বেজায় অস্বাস্থ্যকর। তাই তো চিকিৎসকেরা এমন সব খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। বিশেষ করে ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকলে তো no-white diet-এর কোনও বিকল্পই নেই। কিন্তু কোনও তিনটে খাবার না খাওয়ার কথা বলছেন? ময়দা, চিনি এবং সাদা ভাত খাওয়া মোটে চলবে না। কারণ কী? এই সব খাবারে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় স্টার্চ এবং কার্বোহাইড্রেট, যে কারণে glycemic index-এ এদের স্থান একেবারে উপরের দিকে। আর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স উপরের দিকে থাকা খাবার নিয়মিত খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা তো থাকেই, সেই সঙ্গে আরও হাজার রকমের রোগ ঘাড়ে চেপে বসতে পারে। তাই সময় থাকতে থাকতে সাবধান হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে এই পরিস্থিতিতে সেটা সম্ভব নয়, আমরা জানি। কারণ এখন সকলেই গৃহবন্দি। তাই যেটুকু রসদ মজুত রয়েছে, তা দিয়ে কাজ চালিয়ে নিন। কিন্তু লকডাউন কাটলে আপনি এগুলো ট্রাই করতে পারেন।
ময়দা এবং চিনির মতো রিফাইন্ড খাবারের কোনও পুষ্টিগুণই নেই। উল্টে বেশি মাত্রায় চিনি আর ময়দা খেলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা বাড়তে শুরু করে, তাতে করে ওজন বাড়ার আশঙ্কা বাড়ে! সেই সঙ্গে ডায়াবেটিসের মতো জটিল রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো ময়দা এবং চিনি রয়েছে এমন খাবার এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। সাদা ভাত খেলেও কি একই ক্ষতি হয়? ভাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরের উপকারে লাগে ঠিকই। কিন্তু একথাও অস্বীকার করলে চলবে না যে দেহে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আট থেকে আশি, সবারই পরিমিত হারে ভাত খাওয়া উচিত।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে চিনি, ময়দা এবং সাদা ভাত যত কম খাবেন, ততই মঙ্গল। তাই আজ থেকেই চিনির পরিবর্তে মধু, গুড়, ব্রাউন সুগার, নয়তো ম্যাপল সিরাপের ব্যবহার শুরু করতে পারেন। এদিকে সাদা ভাতের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস খাওয়া চলতে পারে। তাতে করে কার্বোহাইড্রেটের ঘাটতি টো মিটবেই, সেই সঙ্গে আরও অনেক পুষ্টিকর উপাদানের চাহিদাও পূরণ হবে। অন্যদিকে ময়দার তৈরি খাবার, যেমন- সাদা পাউরুটি, পাস্তা প্রভৃতি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। ময়দা দিয়ে তৈরি পরোটা বা লুচি খাওয়াও চলবে না।
আলবাত! চিনির মাত্রা কমানোর পাশাপাশি রোজের ডায়েট থেকে সাদা ভাত এবং ময়দাকে বাদ দিতে পারলে ওজন (weight loss) তো নিয়ন্ত্রণে থাকবেই, সেই সঙ্গে হার্টের রোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং হাই ব্লাড প্রেসারের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হবে। শুধু তাই নয়, হাই কোলেস্টেরল, ক্রনিক ইনফ্লামেশন এবং ফ্যাটি লিভারের মতো রোগও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না। তাছাড়া বেশি মাত্রায় রিফাইন্ড সুগার খেলে দাঁতে পোকা হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই তো ‘নো-হোয়াইট’ ডায়েটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
সুস্থ থাকতে চিনি, ময়দা এবং সাদা ভাতের মতো খাবারকে যেমন বাদ দিতে হবে, তেমনই পনির, দুধ এবং দইয়ের মতো সাদা খাবার বেশি মাত্রায় খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ, এই সব খাবারে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় উপকারী ভিটামিন এবং মিনারেল, যা শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!