উফ, যে কথাটা অনেক পোড়খাওয়া রাজনীতিক বলতে গেলে দুবার হোঁচট খান, সেই সহজ, সরল, সত্যি কথাটা রজত শর্মার আপ কী আদালত-এ (Aap Ki Adalat) দাঁড়িয়ে মিষ্টি করে অথচ জোর গলায় বলে এলেন নুসরত জাহান রুহি জৈন (Nusrat Jahan)। সঙ্গে যোগ দিলেন মিমি চক্রবর্তীও (Mimi Chakraborty)! সাংবাদিক ও টিভি শো হোস্ট রজত শর্মার আপ কী আদালত-এ গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এমন বোমা ফাটিয়েছেন এই দুই অভিনেত্রী টার্নড সাংসদ যে সর্ব ভারতীয় মিডিয়াও নড়েচড়ে বসেছে!
অবশ্য বিয়ের পর থেকেই সোজা ব্যাটে বিতর্কের বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন তিনি। সেই যে তুরস্কে গিয়ে সিঁদুর-চূড়া পরে বিয়ে করলেন তিনি, তারপর থেকেই বিতর্কের মেঘ ভিড় জমিয়েই চলেছে। প্রথমে তিনি কেন পশ্চিমি পোশাকে সংসদের বাইরে আইডি কার্ড হাতে লছবি তুললেন, তারপর কেন হিন্দু মারওয়াড়ি ছেলেকে বিয়ে করলেন, আর যদি বা করলেনই, তা হলে কেন হিন্দুমতে করলেন, কেন সিঁদুর পরলেন মুসলমান হয়ে, কেন রথযাত্রায় গেলেন, কেন সেখানে দড়ি ধরে টানলেন…এরকম হাজারও প্রশ্নের বাণ সামলাতে-সামলাতে নুসরত জেরবার! কিন্তু সত্যি কথা বলতে গেলে, নির্বাচনী প্রচারের সময়কার তিনি আর সাংসদ নুসরতের মধ্যে অনেক তফাত। তখন তিনি নবাগতা ছিলেন, তাই প্রচারের সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ছত্রিশ আর থার্টি ফোরে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু এখন তিনি পোড়খাওয়া। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। সময় এবং দিল্লি তাঁকে অনেককিছু শিখিয়েছে। তাই তিনি এখন একবারও গুলিয়ে ফেলেন না। যেখানে যা বলার, যা বললে খবর হওয়া যায়, সেটাই বলেন।
আর ম্যাচ জেতানো মিঁয়াদাদ মার্কা সিক্সারখানা তিনি মেরেছেন সম্প্রতি। দিল্লিতে রজত শর্মার আপ কী আদালতে দাঁড়িয়ে। এই শো-টি এমনিতেই বিতর্ক তৈরির আঁতুরঘর। সেলেব্রিটিদের এমন সব প্রশ্ন করা হয় এখানে যে, বিতর্কিত মন্তব্য করা ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় থাকে না। কিন্তু সেখানেও কী করে বিতর্ক না টেনে বরং নিজের দিকে নজর টেনে আনা যায়, তা লোকে শিখুক নুসরতকে দেখে! সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়া হয়েছে এই শো-এর প্রোমো, আর সঙ্গে-সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে! বলিউডি সেলেব্রিটিরাও ইদানীং এত তাড়াতাড়ি আগুন ধরাতে পেরেছেন কিনা সন্দেহ। আগে সেই প্রোমোটি দেখে চক্ষু সার্থক করুন, তারপর বলছি, নুসরতকে কেন রাজনীতির ময়দানের লম্বা রেসের ঘোড়া ভাবতে শুরু করেছেন সকলে!
কী বুঝলেন? সকলেরই উচিত ভালবাসার ভাষা শেখা, এই কথাটা কীরকম দাপটের সঙ্গে বললেন বলুন তো তিনি! পাশ থেকে মিমিও অবশ্য ভালবাসা নিয়ে কীসব বললেন-টললেন, কিন্তু বিশ্বাস করুন, পতিব্রতা স্ত্রীয়ের ভূমিকায় নুসরত এবং তাঁর চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁর বক্তব্য শোনার পর থেকে মিমির কথা জাস্ট আলুনি লাগছে! মিমি ভালই করেছেন, সময় এবং হাওয়া বুঝে, ‘তুই চালিয়ে খ্যাল, আমি এদিকটা ধরে খেলছি’ গোছের ব্যাপার করে। সকলকে সব সময় লাইমলাইটে থাকতে হবে, তার তো কোনও মানে নেই! প্রচারের সময় তিনি বেশি জ্বালাময়ী ছিলেন আর এখন তাঁর বেস্ট ফ্রেন্ড ফাটিয়ে দিচ্ছেন, ওপেনিং জুটি হিসেবে এক্কেবারে পারফেক্ট! বেশ একটা সচিন-সৌরভ গোছের ব্যাপার আছে, কী বলেন!
যাই হোক, বলছিলাম না, নুসরত লম্বা রেসের ঘোড়া! এই প্রোমো দেখার পরেও যাঁদের মনে তা নিয়ে সন্দেহ আছে, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি, জানেন কি, রথযাত্রার দিন গলা ফাটিয়ে কী বলেছিলেন তিনি? ‘যিনি জগন্নাথ, তিনিই আল্লা!’ বলে হাতে গঙ্গাজলের ঘট নিয়ে আমপাতা নিয়ে ছড়া দিতে-দিতে যখন এগোচ্ছিলেন নুসরত, তখন তাঁকে দেখে নাকি তৃণমূলের অনেক স্টার সাংসদই দীর্ঘনিশ্বাস ফেলেছিলেন! ফেলবেনই তো, তাঁরা নুসরতের চেয়ে অনেক বেশি হেভিওয়েট ছিলেন, কিন্তু রাজনীতির ময়দানেও যে ফিল্মের মতোই সিরিয়াস খেলতে হয়, এটা বুঝতে পারেননি বলে জয় রিপিট করেও পিছিয়ে পড়েছেন!
এই ফর্ম যদি নুসরত ধরে রাখতে পারেন, তা হলে আগামী দিনে হয়তো মন্ত্রিত্বও পেয়ে যেতে পারেন, কে জানে বাবা!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!