কীভাবে ওজন বেড়ে যায়? এই হিসেব খুবই সহজ। যে পরিমাণ ক্যালোরি আপনি বার্ন করছেন তার থেকে বেশি পরিমাণে ক্যালোরি ইন টেক করলে ওজন কিন্তু লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কীভাবে তবে ক্যালোরিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এই হিসেবও সহজ। খাবার খাওয়ার সময়েই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।
একটি ব্যালেন্সড ডায়েট মেনে চললেই হবে। তার মানে এই নয় যে কোনও খাবার খাবেন না, বরং এমন খাবার খেতে (oats ragi or jowar atta)হবে যা আপনার শরীরকে পুষ্টি জোগায়, একইসঙ্গে আপনাকে সুস্থ রাখে ও ওজনও নিয়ন্ত্রণে (weight loss) রাখে।
ওজন কমানোর প্রথম ধাপই হল পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। এটি শরীরকেও ডিটক্স করে এবং শরীরের কার্যকলাপ ভাল রাখে। আমরা সবাই সুস্বাদু খাবার খেতে ভালবাসি কিন্তু শরীরের ওজন বা বডি শেপ কিন্তু সুস্বাদু খাবারের উপর নির্ভর করে না। তাই জন্যই বিশেষজ্ঞরা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার (oats ragi or jowar atta)খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই জাতীয় খাবার যেমন ওজন কমাতে (weight loss) সাহায্য করে, একইভাবে আপনাকে সুস্থ রাখে।
ওটস
যাঁরা ব্যালেন্সড ডায়েট মেনে চলছেন, তাঁদের জন্য় ওটস (oats ragi or jowar atta) খুবই কার্যকরী। ওটস খেয়ে অনেকেই ওজন কমিয়েছেন, সুস্থ থেকেছেন। ওটস আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে সাহায্য করে। এই আটা পেটও ভর্তি রাখে, তাই বার বার খিদে পায় না। নিউট্রশিনস্টরাও ওজন কমানোর জন্য ওটস খাওয়ার পরামর্শ দেন সব সময়। ওটসকে জলে সিদ্ধ করে খাওয়া যায়। ওটসের সঙ্গে ইয়োগার্ট ও ফল দিয়েও খাওয়া যায়। তবে প্যাকেট জাত রেডি টু ইট ওটস এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। ওজন কমার (weight loss) ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
রাগি আটা
রাগি আটাও ওজন কমাতে সাহায্য় করে। রাগিতে রয়েছে এক প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে, এমনকী খিদেও নিয়ন্ত্রণ করে। রাগিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে, যা হজম ক্ষমতা ভাল করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ভাল ঘুম হয়। তাই রাতে রাগি খেলে ভাল হয়। এমনকী রাগিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রনও রয়েছে। রাগির আটা দিয়ে রুটি বানিয়ে আপনি খেতে পারেন। তাহলে সহজেই রাগি খেতে পারবেন আপনি। এছাড়াও রাগির ইডলি, বিস্কুট বানিয়েও আপনি খেতে পারেন। শিশুদেরও রাগির আটা খাওয়াতে পারেন।
জোয়ার আটা
কোন আটা খেলে শরীর ভাল হয় (oats ragi or jowar atta), এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? তবে চোখ বন্ধ করেই আপনি জোয়ার আটা বেছে নিতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। একইসঙ্গে রয়েছে প্রোটিন, মিনারেল ও ভিটামিন। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে খুব ভাল কাজ করে এই আটা। এক কাপ জোয়ারে ২২ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তাই খিদেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। জোয়ার দিয়ে আপনি রুটি, জোয়ার ও পেঁয়াজের পুরি বানিয়ে খেতে পারেন। স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু!
কোনটা ওজন কমাতে বেশি সাহায্য় করে
ওটস, জোয়ার ও রাগি আটা তিনটিই স্বাস্থ্যকর। খেলে আপনার শরীর ভাল থাকবে। তবে রাগি আটার থেকে ওটস ও জোয়ারের আটাকে বেশি প্রেফার করা হয়। কারণ, এগুলির ১০ শতাংশই ফাইবার। যা আপনার পেটকে ভরতি রাখে। তবে ওজন কমানোর জন্য শুধুমাত্র জোয়ার, রাগি ও ওটসের উপর ভরসা করে থাকলেই হবে না। তার সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে ও হেলদি ডায়েট মেনে চলতে হবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!