সময়টা বড্ড খারাপ যাচ্ছে কোয়েনা মিত্রের (Koena Mitra) ! তাঁর গানে নোরা ফতেহি নেচেকুঁদে নাম কুড়িয়ে ফেললেন! তিনি ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে অসন্তোয প্রকাশও করলেন, কিন্তু কিচ্ছুটি হল না! লোকে বলল, তিনি নাকি আরও বিদঘুটে দেখতে হয়ে গিয়েছেন। প্রথমে তাঁকে মাইকেল জ্যাকসনের ভারততুতো বোন বলে মনে হত, মাঝখানে অনেকটা নিয়েন্ডারথাল মানবের মতো দেখতে হয়ে গিয়েছিলেন আর এখন তো তাঁকে দেখে কোয়েনা বলে মনেই হচ্ছে না! কাজেই সাকি-সাকি গানে তিনিই (original saki girl) নেচেছিলেন কিনা, সেবিষয়ে তো অতি অবশ্যই ইন্ডিয়া ওয়ান্টস টু নো আর কী!
কিন্তু এ তো ছিল গান, এবার তো মানটাই যেতে বসেছে কোয়েনার! কিছুদিন আগে মুম্বইয়ের নিম্ন আদালত তাঁকে ছ বছর আগের একটি চেক বাউন্স করার মামলায় ছ মাসের জেলের সাজা শুনিয়েছে। কোয়েনা প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন খবরটা চেপে যাওয়ার! কিন্তু ওই যে, দুঃখ আর সুখ কিছুতেই চাপা দেওয়া যায় না। ছাইচাপা আগুনের মতো ধিকি-ধিকি জ্বলতে-জ্বলতে ঠিক বেরিয়ে পড়ে! এটাও তা-ই হয়েছে। সক্কলে শেষমেশ জেনেই গিয়েছে!
তা ব্যাপারটা ঠিক কী হয়েছিল? দাঁড়ান, ছ বছর আগের মামলা তো, একটু মনে করে-করে বলতে হবে। ২০১১ সালে নাকি মডেল পুনম শেঠির কাছ থেকে কোয়েনা কয়েক লক্ষ টাকা ধার নেন! কী দরকারে, সেটা বলতে পারব না। তা নিয়ে কোয়েনা কিংবা পুনম, কেউই মুখ খোলেননি! তবে তারপর থেকে নাকি পুনম টাকা ফেরত চেয়ে-চেয়ে হদ্দ হয়ে যাচ্ছেন আর কোয়েনা দিচ্ছি-দেব করে পাশ কাটিয়েই যাচ্ছেন! পুনমেরও সহ্যের সীমা আছে। তিনি বছদুয়েক অপেক্ষা করে আর থাকতে না পেরে লিগাল নোটিস পাঠান কোয়েনাকে। তাতেই নাকি নড়েচড়ে বসেন তিনি এবং তিন লাখ টাকার একটি চেক দেন। সেটাও বাউন্স করে মহা সমারোহে! তাই বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত মামলা ঠুকতে বাধ্য হন পুনম। সেই মামলা চলেছে প্রায় ছ বছর ধরে। তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ পেতে-পেতে শেষে রায় দিয়েছেন মহামান্য় আদালত। সেখানে কোয়েনার কথা মোট্টেও শোনা হয়নি। উল্টে তাঁকে বলা হয়েছে, ৪.৬৮ লক্ষ টাকা এখনই পুনমকে ফেরত দিতে, তিন লাখ আসল, ১.৬৪ লাখ সুদ! তা ছাড়াও চেক বাউন্স করার অপরাধস্বরূপ তাঁকে ছ মাস কারাবাসও (Jail) করতে হবে!
তা কী করছেন কোয়েনা এখন? না, না, টাকাপয়সা মিটিয়ে দিয়ে জেলে যাওয়ার একটুও ইচ্ছে নেই তাঁর! কারণ তাঁর মতে, পুরো ব্যাপারটাই সাজানো। তিনি কোয়েনা মিত্তির, কোন কারণে পুনমের কাছে টাকা ধার চাইতে যাবেন? তাঁর হাতে থোড়ি কাজের অভাব আছে! আর কাজের অভাব না থাকলে টাকাপয়সারও অভাব নেই। তাই তাঁর উকিলের টিম উচ্চ আদালতে আপিল করবেন এই রায়ের বিরুদ্ধে! তাঁর বিশ্বাস, সত্যের জয় হবেই!
তা বিশ্বাসে যে মিলায়ে বস্তু, তা আমরা সক্কলেই জানি। কিন্তু কোয়েনার মনে হয় উকিল বদলের প্রয়োজন আছে। এঁরা তো ছ বছর ধরে চেষ্টা করলেন…
মূল ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউব
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!