ADVERTISEMENT
home / রিলেশনশিপ
বিয়ে টিকিয়ে রাখতে হলে আত্মীয়-বন্ধুদের এই পরামর্শগুলিতে কান দেবেন না প্লিজ!

বিয়ে টিকিয়ে রাখতে হলে আত্মীয়-বন্ধুদের এই পরামর্শগুলিতে কান দেবেন না প্লিজ!

বিয়ের বাঁধনে তো শুধু স্বামী-স্ত্রী জড়িয়ে পরেন না। তাঁদের পাশাপাশি দুই পরিবারের মধ্যেও একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই হানিমুন ডেস্টিনেশন হোক, কী ফ্যামিলি প্ল্যানিং, ছোট-বড় নানা বিষয়ে এক্সপার্ট কমেন্ট দেওয়ার মতো লোকের অভাব হয় না। বিশেষ করে মুষ্টিমেয় কিছু আত্মীয়-বন্ধুদের উৎসাহ এত বেশি থাকে যে, তাঁরা নানা অছিলায় ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলাতেও  পিছপা হন না। ফলস্বরূপ ‘নানা মুনির নানা মত’ হজম করতে-করতে এক সময় স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্য়েই গোলোযোগ বেধে যায়। তাই তো বিয়ে বাঁচানোর ইচ্ছে থাকলে বেশ কিছু উপদেশ (advices) উপেক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছিন বিশেষজ্ঞরা। সেই লিস্টে কোন-কোন এক্সপার্ট কমেন্ট রয়েছে, তা জানতে চান নাকি?

১. ‘ভালবাসাই শেষ কথা, শারীরিক সম্পর্ক তো পরের বিষয়’

এমন পরামর্শ যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত, তাঁকে নিজের জীবন থেকে ছেঁটে ফেলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ! এমন পরামর্শ কেন, তাই ভাবছেন? আসলে কী জানেন, বৈবাহিক সম্পর্ককে সুন্দর করে তুলতে ভালবাসাই প্রাথমিক চাহিদা হওয়া উচিত। কিন্তু একথাও উপেক্ষা করা সম্ভব নয় যে, স্বামী-স্ত্রীয়ের সম্পর্ক শারীরিক মিলনের মাধ্যমেই গভীরতা খুঁজে পায়। তাই এটা আসল, ওটা নকল, এমন ভাবে ভাবলে ভুল হবে। বরং একথা বলা যেতে পারে যে, ভালবাসা এবং সেক্স, দু’টি বিষয়ই সুখী দাম্পত্য জীবনের মূল ফ্যাক্টর। তাই স্বামীর সঙ্গে কোনও কারণে যদি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে মন না চায়, তা হলে নিজেকে একটু বোঝান। প্রয়োজনে সাইকোলজিস্টের সঙ্গেও পরামর্শ করতে পারেন। মোট কথা সেক্স লাইফকে ইন্টারেস্টিং করে তোলার জন্য যা কিছু করা দরকার, তা নির্দ্বিধায় করতে হবে। না হলে এক সময়ে সম্পর্ক একঘেয়ে হয়ে যাবে। তখন কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও সম্পর্কের ভিতকে মজবুত করে তুলতে পারবেন না। তাই ভুলেও এমন পরামর্শে কান দেবেন না যেন!

‘সন্তানই সব রকমের বৈবাহিক ঝামেলার একমাত্র সমাধান’

দু’জন অচেনা মানুষ হঠাৎ করে একসঙ্গে থাকতে শুরু করলে একটু ঠোকাঠুকি লাগতে বাধ্য। তাছাড়া প্রতিটা মানুষেরই ভাবনা-চিন্তা আলাদা হয়। তাই স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে অল্পবিস্তর ঝগড়াঝাঁটি হওয়াটা তো স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু তাই বলে কেউ যদি ভেবে থাকেন যে, বাচ্চা হলেই সম্পর্ক মসৃণ হয়ে যাবে, তা হলে ভুল ভাবছেন। তাই এমন উপদেশকে গুরুত্ব না দেওয়াই উচিত। বরং পার্টনারের সঙ্গে কোনও বিষয়ে মনোমালিন্য দানা বাঁধলে, তা মিটিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের দু’জনের। সেখানে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির পরামর্শ যেমন কোনও কাজে আসবে না, তেমনই বাচ্চা হলেই স্বামী, বউয়ের নাম জপ করতে শুরু করবেন, এমনও নয়। তাই সম্পর্কের জটিলতা না কাটিয়ে মা হওয়ার কথা ভুলেও ভাববেন না।

৩. ‘ঝামেলা মেটাতে পরিবারের সদস্যদের সাহায্য নেওয়া উচিত’

পার্টনারের সঙ্গে কথায়-কথায় ঝামেলা হতে থাকলে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিতে হতেই পারে। কিন্তু যদি ভেবে থাকেন পরিবারের সদস্যদের মধ্যস্থতায় ঝামেলা মিটে গেলেও যেতে পারে, তা হলে ভুল ভাবছেন। কারণ, নিরপেক্ষ ভাবে আপনাদের দু’জনের সমস্যাটা বোঝার চেষ্টা না করলে সমাধান খুঁজে পাওয়াটা সম্ভব নয়। তাই ছোট-বড় ঝামেলা মেটাতে মা-মাসিদের সাহায্য না চেয়ে বরং কাউন্সিলরের পরামর্শ নিন। তাতে একটু খরচ হবে ঠিকই, কিন্তু সমস্যাটা ঠিক কোথায় হচ্ছে, সেটা বুঝতে সুবিধে হবে বই কী! ফলে ঝামালাও মিটবে নিমেষেই। তাই পার্টনারের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি মনোমালিন্য চলাকালীন কোনও আত্মীয়-বন্ধু যদি কাউন্সিলরের সঙ্গে পরামর্শ করতে মানা করেন, তা হলে আজীবন তাঁর মুখ না দেখাই উচিত!

ADVERTISEMENT

৪. ‘বিয়ে করেছিস বলেই কী মাথা ঝোকাতে হবে নাকি!’

এমন পরামর্শ কিন্তু ভুলেও কানে তুলবেন না। কারণ, বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার প্রথমিক শর্তই হল স্বার্থত্যাগ। তাই ‘রেল লাইনে বডি দেব, কিন্তু মাথা দেব না’, এই নীতি মেনে চলেন কিন্তু ভুল করবেন। বরং কিছু বিষয়ে আপনি স্বার্থত্যাগ করুন, কিছু বিষয়ে আপনার পার্টনার, এই ভাবেই তো সম্পর্ক তৈরি হবে। তা না করে যদি একগুঁয়ের মতো ব্যবহার করেন, তা হলে তো সময় থাকতে থাকতেই কোনও ডিভোর্স লইয়ারকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে রাখতে ভুলবেন না যেন!

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

04 Sep 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT