আজকাল না ডবল ইঞ্জিন না হলে সংসার চলে না। মানে বুঝলেন না? স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই রোজগার না করলে সংসার চালানো আজকাল খুবই কষ্টকর। জিনিসপত্রের দাম যে হারে বেড়ে চলেছে তাতে একার রোজগারে শখ-আহ্লাদ পূরণ করে চলা যায় না। আর আগেকার দিনের মত যৌথ পরিবারও নেই যে বিপদে-আপদে পরিবারের অন্যরা টুক করে সাহায্যের হাতখানি বাড়িয়ে দেবে!
নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে (nuclear family) যেমন সুবিধে রয়েছে, তেমনই অসুবিধেও কম নেই। আর বিশেষ করে নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে ছেলেমেয়েদের (kids) বড় করাটা যেন একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে বাবা-মায়েদের (parenting) কাছে। তার জন্য কয়েকটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রেখে চলতে হবে –
সন্তানকে সময় দিতেই হবে
সব সময় একটা বিষয় মনে রাখবেন, আপনার সন্তানের (kids) সব থেকে আগে প্রয়োজন আপনাকেই। তাই কেরিয়ারের থেকে সময় বাঁচিয়ে হলেও সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে। খবর নিতে হবে ছেলেমেয়ের পড়াশুনার বিষয়েও।
ছুটির দিনগুলোতে সন্তানকে নিয়ে বেড়িয়ে আসুন কাছেপিঠে কোথাও। আজকাল প্রায় সবই নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি (nuclear family)। তাই দাদু-ঠাকুরমাদের সে ভাবে পায় না বাচ্চারা। ফলে আরও একাকীত্বে ভোগে।
তাই সময় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওদের মনের কথা জানতে হবে। বয়ঃসন্ধির সময় ওদের মনে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসবে। আর আপনাকে জিজ্ঞেস করলে কোনও রকম রাখঢাক না করেই সন্তানের প্রশ্নের জবাব দিন।
বই পড়ার অভ্যেস করিয়েছেন কি?
আপনি তো সব সময় ল্যাপটপে ব্যস্ত। বাড়িতে থাকলেও অফিসের কাজ, ই-মেল, হোয়াটসঅ্যাপ চলতেই থাকে। সেই বিষয়টাও কিন্তু আপনার বাচ্চার উপরও প্রভাব ফেলে। যার ফলে একাকীত্ব কাটাতে ওরাও মোবাইল আর ইন্টারনেটে অ্যাডিক্টেড হয়ে যায়।
আজকাল প্রায় সব বাচ্চাই (kids) ফোনে গেম খেলতে ভালবাসে আর ইউটিউবে নানা রকম ভিডিও দেখতে ভালবাসে। সেখান থেকেও অনেক সময় প্রভাব পড়ে ওদের মনের উপর। তাই ওদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যেস তৈরি করতে হবে।
নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে (nuclear family) যখন সন্তান বড় হচ্ছে, তখন ছোট থেকে (parenting) আপনিও ওকে নানা রকম গল্প শুনিয়ে বড় করুন। তাতে ওরও গল্পের বই পড়ার অভ্যেস তৈরি হবে। ইলেকট্রনিক গ্যাজেটস সে ভাবে ওদের হাতে না দেওয়াই ভাল!
বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে দিন
আজকাল তো পড়াশোনার চাপ আছেই। তার সঙ্গে তো রয়েছে এক্সট্রা ক্যারিকুলামও। যার জেরে বাচ্চাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। খেলার সময় তো নেইই। স্কুলের বাইরেও যাতে ওরা ওদের সমবয়সিদের সঙ্গে খেলাধুলো করতে পারে, সেই দিকটাও দেখতে হবে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মেলামেশা করলেই তো ওদের একাকীত্বও কাটবে আর ওদের মানসিক বিকাশও সম্ভব হবে।
অকারণ জেদকে একদম প্রশ্রয় নয়
আপনি হয়তো সন্তানকে সময় দিতে পারছেন না। আর সেই অভাবটা পূরণ করতে আপনি সন্তানের বায়না ও অন্যায় আবদারগুলো (parenting) মেনে নিচ্ছেন। অথবা না-চাইতেই দামী দামী গিফট এনে হাজির করছেন। এতে কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে আপনার সন্তানটির (kids)। তাই সন্তানের অন্যায় আবদার বা জেদ মেনে না নিয়ে যেটুকু প্রয়োজন, সেটুকুই দেওয়ার চেষ্টা করুন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!