ছেলেদের মনে পিরিয়ড সংক্রান্ত অনেক ভাবনা-চিন্তা ঘুরপাক খায়. তার কারণ অবশ্য, ছেলেদের পক্ষে এটা বোঝা প্রায় অসম্ভব যে পিরিয়ডের দিনগুলোতে মেয়েরা ঠিক কোন কোন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে. এই অজ্ঞানতা থেকেই ছেলেরা নানারকম পিরিওডিক্যাল মিথ মনের মধ্যে গড়ে তোলে. আজ কথা বলবো সেই মিথগুলো নিয়েই যেগুলো ছেলেদের মনের মধ্যে রয়েছে –
আরও পড়ুনঃ HIV/AIDS এর লক্ষণগুলো কী কী?
১. পি-এম-এস = বিপজ্জনক পরিস্থিতি
যখনি মেয়েদের ‘মুড্ সুইং’ হয় অর্থাৎ যখনি তারা অস্বাভাবিকভাবে খিটখিটে হয়ে যায়, তখন শুধু ওদের জন্য না, আমাদের জন্যও পরিস্থিতি অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে. নিজের সংযম হারিয়ে কখন কি বলে আর করে মেয়েরা নিজেরাও বোধয় জানে না. আর আমাদের অবস্থা তো বুঝতেই পারছো!
২. আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে বুঝি যে মেয়েদেরকে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা প্রতি মাসেই করতে হয়
আমরা জানি যে পিরিয়ডের সময় যোনী থেকে রক্ত বার হয় আর এটা সহ্য করা কতটা কষ্টকর. ব্যাপারটা শুনতেই কিরকম… আমরা সত্যিই মহিলাদের সম্মান করি!
৩. প্যাড পড়লে কি মনে হয় ডায়পার পড়েছো?
হুম, আমরা এটাও ভাবি যে মেয়েদের প্যাড পড়ে কোনো অস্বস্তি হয় কিনা. এটা কি বিজ্ঞাপনে দেখানো ডায়াপারের করে পড়তে হয়? কি রকম ফীল হয় ভেবেই আশ্চর্য লাগে!
৪. পিরিয়ড চলাকালীন সেক্স করলে কি হবে?
সত্যি কথা বলতে কি, আমরা সবসময় সেক্সের জন্য তৈরী! কিন্তু এটাও ভাবি যে পিরিয়ড চলাকালীন যদি আমরা সেক্স করি তাহলে কি হবে? পিরিয়ডের রক্ত যদি আমাদের না লাগতো, তাহলে হয়তো ভাবতাম!
৫. ফ্লো কি সবসময় চলে নাকি মাঝেমধ্যে?
আমরা এটাও ভাবি যে পিরিয়ডের সময় কি সব সময় রক্ত বেরোয় নাকি মাঝে মাঝে নাকি দিনে ১-২ বার? যদি সারাক্ষন রক্ত বেরোয় তাহলে তোমরা বেঁচে আছো কি করে!!!
৬. যদি সবসময় রক্ত বেরোয়, তাহলে তোমরা বেঁচে কি করে আছো?
এমন পরিস্থিতিতে তো তোমরা পরেও যেতে পারো… কারণ তোমরাও তো মানুষই। ক্রমাগত রক্তপাত হলে কিভাবে নিজেকে সামলাও? দুর্বল লাগে না? সত্যিই কি এরকম হয়?
৭. যখন আমাদেরকে দোকানে পাঠাও প্যাড কিনতে, আমাদের খুব লজ্জা করে
কিছু মনে করো না, কিন্তু এটাই সত্যি! আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না যে আমরা কেন প্যাড কিনতে যাবো? এখন থেকে আর আমাদেরকে পাঠাবে না.. আমরা যেতে চাইনা…
৮. তোমাদের পিরিয়ড শুরু হলে এটা ভেবে নিশ্চিন্ত লাগে যে তোমরা প্রেগন্যান্ট না
গুগল করে জেনেছি, যে পিরিয়ড শুরু হওয়া মানে ‘আর কোনো ভয় নেই’, সব ঠিক আছে!
৯. পিরিয়ড চলাকালীন সব কাজ কিভাবে এতো সহজে করে নিতে পারো?
গুগল বলে যে পিরিয়ড হওয়ার সময় শরীরে নানারকম অসুবিধে হয়, যেন শরীরের ভেতরে কিছু একটা বয়ে যাচ্ছে… তাহলে এই অবস্থায় রোজকার কাজকর্ম কিভাবে সহজেই করো?